ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

২০২০-২১ সালে ভারত, ইউক্রেন থেকে ১৭.৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে ৩.৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি করেছে


রান্নার তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্র অপরিশোধিত পাম তেল, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের উপর থাকা আড়াই শতাংশ শুল্ক তুলে নিয়েছে

পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের উপর শুল্ক বর্তমানের ৩২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং পরিশোধিত পাম তেলের উপর শুল্ক ১৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ করা হয়েছে

Posted On: 23 MAR 2022 3:33PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৩ মার্চ, ২০২২
 
লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় ক্রেতা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি গত তিন বছরে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে ভোজ্য তেল আমদানির বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৮-১৯ সালে ইউক্রেন থেকে ২৪.৮৭ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে ০.৪৬ লক্ষ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়েছিল। ২০১৯-২০ সালে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৯.৭৭ লক্ষ মেট্রিক টন এবং ৩.৮১ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ সালে ইউক্রেন থেকে ১৭.৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে ৩.৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়। 
 
ভোজ্য তেল আমদানি করা হয় ওপেন জেনারেল লাইসেন্স পদ্ধতিতে (ওজিএল)। চাহিদা অনুযায়ী বেসরকারি ক্ষেত্র বিদেশ থেকে ভোজ্য তেল আমদানি করে। আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করতে সরকার বেসরকারি ক্ষেত্র/ ভোজ্য তেল অ্যাসোসিয়েশনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে। 
 
ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকার দেশের মধ্যে তৈলবীজের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে। এজন্য ২০১৮-১৯ সাল থেকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের আওতায় তৈলবীজ ও পাম তেলের জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এতে তৈলবীজ চাষের জমির পরিমাণ বাড়ানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে। 
 
ভোজ্য তেলে আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে সরকার এখন একটি আলাদা জাতীয় ভোজ্য তেল মিশনও চালু করেছে। এর আওতায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে তৈলবীজের চাষ বাড়ানোর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। 
 
দেশীয় বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ যাতে বাড়ে এবং এর দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য সরকার ২০২১-২২ সালে ভোজ্য তেলের উপর শুল্কের পুনর্বিন্যাস করেছে। যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা হল – 
 
• ২০২০-২১ সালে ভারত, ইউক্রেন থেকে ১৭.৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে ৩.৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি করেছে। এগুলির উপর কৃষি সেসের পরিমাণ ৫ শতাংশে আনা হয়েছে।
• রান্নার তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্র, অপরিশোধিত পাম তেল, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের উপর থাকা আড়াই শতাংশ শুল্ক তুলে নিয়েছে।
• শুল্ক বিহীন পরিশোধিত পাম তেল আমদানির সময়সীমা ৩১.১২.২০২২ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
• বর্তমানে অপরিশোধিত পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্কমুক্ত করা হয়েছে এবং এই সুবিধা ২০২২ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যাবে। পরিশোধিত পাম তেলের উপর ১২.৫ শতাংশ এবং পরিশোধিত সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের উপর আমদানি শুল্ক ১৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। তার সুবিধাও ২০২২ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যাবে। 
• ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য এনসিডিইএক্স-এ সরিষার তেলের ফিউচার ট্রেডিং-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর সর্বোচ্চ মজুতের পরিমাণও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
 
এছাড়া, খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তর ৮ই অক্টোবর ২০২১ থেকে ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজ মজুতের সর্বোচ্চ সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত এই সীমা বলবৎ থাকবে। 
 
২০২২ সালের তেসরা ফেব্রুয়ারি “লাইসেন্সিং, মজুতের সর্বোচ্চ সীমা এবং নির্দিষ্ট খাদ্যদ্রব্যের স্থানান্তরকরণের উপর নিয়ন্ত্রণ অপসারণ (সংশোধনী নির্দেশ ২০২২)” শীর্ষক একটি নির্দেশে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোজ্য তেল ও তৈলবীজের সর্বোচ্চ মজুতসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। দেশের সব জায়গায় যাতে সহজে ভোজ্য তেল ও তৈলবীজ পাওয়া যায় সেজন্য এই নির্দেশ জারি করা হয়।
 
CG/SD/AS/


(Release ID: 1808931) Visitor Counter : 485


Read this release in: English , Gujarati , Kannada