ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্রওমাঝারিশিল্পমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

মহিলা ও তপশিলী জাতি / উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত যুবক যুবতী সহ যুব সম্প্রদায়ের জন্য শিল্পোদ্যোগ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ

Posted On: 07 FEB 2022 3:51PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৭ই ফেব্রুয়ারী , ২০২২
 
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক শিল্পোদ্যোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। যুব সম্প্রদায়কে এবিষয়ে যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করাই মূল উদ্দেশ্য। তবে, মহিলা এবং তপশিলী জাতি / উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁরা যাতে ছোট খাটো ব্যবসা করতে পারেন, সেদিকে বিশেষ জোর দেওয়া হয়। 
 
শিল্পোদ্যোগ সংক্রান্ত দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি বা এন্টারপ্রেনারশিপ স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইএসডিপি) কর্মসূচির মাধ্যমে শিল্পস্থাপনার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে যুবক যুবতীদের তথ্য সরবরাহ করা হয়। তারা যাতে নতুন শিল্প সংস্থা তৈরি করেন, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির দক্ষতা বৃদ্ধি করেন, এবং দেশজুড়ে ব্যবসা বাণিজ্যে আগ্রহ গড়ে তোলার পরিবেশ তৈরি হয়, তার জন্য এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ – ১৯ অর্থবর্ষে যে ৯৫৩৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে মহিলা ২৭৮৩ জন, তপশিলী জাতিভুক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহিতা ৯১৪ জন, তপশিলী উপজাতিভুক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহিতা ৩৫১ জন, অন্যান্য প্রশিক্ষণ গ্রহিতা ৫৪৮৬ জন। ২০১৯ – ২০ অর্থবর্ষে যে ২,৪১,৫৮৯ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে মহিলা ১০৩৯৮০ জন, তপশিলী জাতিভুক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহিতা ১৩,৩৫২ জন, তপশিলী উপজাতিভুক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহিতা ৪,৮৩৭ জন, অন্যান্য প্রশিক্ষণ গ্রহিতা ১,১৯,৪২০ জন। ২০২০ – ২১ অর্থবর্ষে যে ২৭,৬৫৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে মহিলা ১৩,৬৬৪ জন, তপশিলী জাতিভুক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহিতা ১০৭৮ জন, তপশিলী উপজাতিভুক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহিতা ৬০৩ জন, অন্যান্য প্রশিক্ষণ গ্রহিতা ১২,৩১২ জন। ২০২১ – ২২ থেকে ২০২৫ – ২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৪৯৫ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১) শিল্পোদ্যোগ সংক্রান্ত সচেতনতা কর্মসূচি, ২) শিল্পোদ্যোগ ও দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি, ৩) উন্নত শিল্পোদ্যোগ ও দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি, ৪) ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কর্মসূচি, ৫) উন্নত ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কর্মসূচি। 
 
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগঃ 
 
১) জাতীয় তপশিলী জাতি – উপজাতি হাব প্রকল্পের আওতায় তপশিলী জাতি ও উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত শিল্পোদ্যোগী এবং উচ্চাকাঙ্খীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০১৮ – ১৯ অর্থবর্ষে ৬৩৭৩ জন, ২০১৯ – ২০ অর্থবর্ষে ৩৩৬২ জন এবং ২০২০ – ২১ অর্থবর্ষে ৫২৩৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
 
২) কয়ার (নারকোলের ছোবড়া) বিকাশ যোজনার আওতায় মন্ত্রক, দক্ষতা বিকাশ ও মহিলা কয়ার যোজনার আওতায় মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ২০১৮ – ১৯, ২০১৯ – ২০ এবং ২০২০ – ২১ অর্থবর্ষে যথাক্রমে ২১৯৫ জন, ২০৭৫ জন এবং ৩৫৯১ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।  
 
৩) অ্যাসিস্ট্যান্স টু ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কর্মসূচিতে বিভিন্ন শাখায় ন্যাশনাল স্মল ইন্ড্রাস্টিস কর্পোরেশন লিমিটেড, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মাইক্রো স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ এবং সেন্ট্রাল টুল রুমসের মতো সংস্থাগুলি নানা ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। 
 
৪) প্রাইম মিনিস্টার এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রামের আওতায় সকল সুবিধাভোগী শিল্পোদ্যোগ বিকাশ কর্মসূচির মাধ্যমে অনলাইন অথবা অফলাইনে শিল্পসংস্থা স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। 
 
৫) দেশজুড়ে ১৮টি টুল রুমস অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নির্মাণ ও অনুসারী শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। 
 
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী নারায়ণ রানে। 
  
CG/CB/SFS

(Release ID: 1796350)
Read this release in: English , Urdu , Tamil