কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, ‘মিশন কর্মযোগী’-এর লক্ষ্য হলো সিভিল সার্ভিসে ভবিষ্যৎমূলক দৃষ্টিভঙ্গি কার্যকর করা, যা ২০৪৭ সালে দেশের স্বাধীনতার শতবর্ষে আগামী ২৫ বছরের জন্য পথ নির্দেশিকা নির্ধারণ করতে পারে
Posted On:
23 DEC 2021 3:31PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, কর্মীবর্গ, গণ অভিযোগ, পেনশন, আনবিক শক্তি এবং মহাকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, ‘মিশন কর্মযোগী’-এর লক্ষ্য হলো সিভিল সার্ভিসে ভবিষ্যৎমূলক দৃষ্টিভঙ্গি কার্যকর করা, যা ২০৪৭ সালে দেশের স্বাধীনতার শতবর্ষে আগামী ২৫ বছরের জন্য পথ নির্দেশিকা নির্ধারণ করতে পারে।
সুশাসন সপ্তাহ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে ‘মিশন কর্মযোগী – সামনের পথ’ শীর্ষক এক কর্মশালার ভাষণে একথা জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভারতের লক্ষ্য পূরণের জন্য সরকার পরিচালন ব্যবস্থায় ‘শাসন’ থেকে ‘ভূমিকায়’ স্থানান্তর অপরিহার্য। তিনি বলেন, সর্বজনীন অধিকারের যুগ শেষ হয়েছে। দেশ এখন ‘সুপার স্পেশালাইজেশন’-এর যুগে প্রবেশ করেছে। তিনি জানান, সিভিল সার্ভিসের ক্ষেত্রে ‘উদ্দেশ্যের জন্য উপযুক্ত’ এবং ‘ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত’ একটি যোগ্য দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মিশন কর্মযোগী সেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শ্রী সিং বলেন, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইআইপিএ) মিশন কর্মযোগী রিসোর্স সেল প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সেল জাতীয় দক্ষতা গঠন কমিশন, এলবিএসএনএএ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করছে। সিভিল সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সৃজনশীল ও গঠনমূলক হতে প্রধানমন্ত্রী যে পরামর্শ দিয়েছিলেন সেকথাও তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার এই বিষয়টির কথা মাথায় রেখে ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর সিভিল সার্ভিসেস ক্যাপাসিটি বিল্ডিং চালু সহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে।
ডাঃ জিতেন্দ্র সিং আশা প্রকাশ করেন যে, মিশন কর্মযোগী আগামী দিনে সিভিল সার্ভিসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশের অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছেন, তার সঙ্গে সমঞ্জস্য বজায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। শ্রী সিং বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ডিজিটাল ক্ষেত্রে প্রবেশ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারিদের আরও গতিশীল ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন ডাঃ জিতেন্দ্র সিং। তিনি বলেন, নাগরিক কেন্দ্রীক শাসন ব্যবস্থাকে ভিত্তি করে মিশন কর্মযোগী দেশে সরকার পরিচালন ব্যবস্থাপনায় নতুন মানচিত্র রচনাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এবং সমাজ কল্যাণে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এদিন ডাঃ জিতেন্দ্র সিং iGOT প্ল্যাটফর্মের উন্মোচন করেছেন।
দক্ষ, স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও দায়িত্বপূর্ণ শাসন ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ‘ন্যূনতম সরকার – সর্বোচ্চ শাসন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আরও বেশ কয়েকটি সুশাসনের উদ্যোগ নিয়েছে। ই-সমীক্ষা, ই-অফিস, নিয়োগের জন্য নথির স্ব-প্রত্যয়িত, সামগ্রিক পদ্ধতিতে ই-গভর্নেন্স ক্ষেত্রে প্রচার ইত্যাদি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এদিন এই কর্মশালায় কর্মী প্রশিক্ষণ দপ্তরের সচিব সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
CG/SS/SKD/
(Release ID: 1784776)
Visitor Counter : 197