আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী জনজাতীয় গৌরব দিবসে রাঁচিতে ভগবান বিরসা মুন্ডা স্মারক উদ্যান ও স্বাধীনতা সংগ্রামী সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছেন

Posted On: 15 NOV 2021 5:07PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৫  নভেম্বর, ২০২১

 

        কেন্দ্র ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মদিন জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই উপলক্ষ্যে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঁচিতে ভগবান বিরসা মুন্ডা স্মারক উদ্যান ও স্বাধীনতা সংগ্রামী সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছেন। অনুষ্ঠানে ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল শ্রী রমেশ বিয়াস, কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা, কেন্দ্রীয় পর্যটন, সংস্কৃতি ও উত্তরপূর্বাঞ্চল বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হেমন্ত সোরেন উপস্থিত ছিলেন।

          এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার অমৃতকালে আমাদের আদিবাসী সংস্কৃতি এবং তার বীরত্ব গাঁথা আরও অর্থবহভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই প্রতি বছর ১৫ নভেম্বর ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মদিনকে জনজাতীয় গৌরব দিসব হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।   

          প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, তাঁর অদম্য ইচ্ছায় ঝাড়খন্ড রাজ্য গঠন হয়েছে। তিনিই প্রথম পৃথক একটি আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক গঠন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ভগবান বিরসা মুন্ডা স্মৃতি উদ্যান ও স্বাধীনতা সংগ্রামী সংগ্রহশালার জন্য আদিবাসী সমাজ সহ প্রত্যেক ভারতবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমাদের বৈচিত্র্যময় আদিবাসী সংস্কৃতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসীদের ভূমিকা সম্পর্কে এই সংগ্রহশালা থেকে মানুষ জানতে পারবেন।

          ভগবান বিরসা মুন্ডার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভগবান বিরসা জানতেন বৈচিত্র্যর মধ্যে আঘাত হেনে, প্রাচীন ঐতিহ্য ও প্রকৃতিকে আধুনিকতার নামে অগ্রাহ্য করলে সমাজের ভালো হয়না। একইসঙ্গে তিনি আধুনিক শিক্ষা রীতির সমর্থক ছিলেন এবং তাঁর সমাজের বিভিন্ন পশ্চাৎপদ রীতি-নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রমের মূল লক্ষ্য ভারতের ক্ষমতা হস্তান্তর  ছিল। একইসঙ্গে ‘ধরতী আবা’র জন্য লড়াই করার মধ্য দিয়ে ভারতের আদিবাসী সমাজের স্বীকৃতিকে তারা আদায় করেছেন। তিনি বলেন, ভগবান বিরসা সমাজের জন্য পৃথিবীতে ছিলেন। তিনি তাঁর সংস্কৃতি এবং দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন। তাই তিনি আমাদের সবার বিশ্বাসে রয়েছেন, তাঁকে আমরা ভগবানের মতো শ্রদ্ধা করি। ‘ধরতী আবা’ এই পৃথিবীতে বেশিদিন থাকেন না। কিন্তু তিনি দেশের জন্য জীবনের স্বল্প সময়ে এক ইতিহাস রচনা করেছেন এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ভারতবাসীকে পথ দেখিয়েছেন।  

          শ্রী অর্জুন মুন্ডা বলেন, মাতৃভূমির জন্য বহু আদিবাসী বীর নেতা লড়াই করেছেন। তাঁদের কথা জানাতে আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক ১০টি স্বাধীনতা সংগ্রমী সংগ্রহশালা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

          মন্ত্রী ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সহ কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রকের আধিকারিকদের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকায় ধন্যবাদ জানান। ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, রাঁচির পুরনো জেল চত্ত্বরে আজ ১৫ নভেম্বর এই উদ্যান ও সংগ্রহশালার উদ্বোধন হওয়ায় এক নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে এই চত্ত্বর নতুনভাবে সেজে উঠেছে। এখানে শহিদ বুধু ভগত, সিধু - কানু, নীলাম্বর – প্রীতম্বর, দিবা – কিষুণ, তেলেঙ্গা – খাদিয়া, গয়া মুন্ডা, যাত্রা ভগত, ভাগীরথী মাঝি, গঙ্গা নারায়ণ সিং -এর মতো  আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথাও  ভগবান বীরসা মুন্ডার সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। এই সংগ্রহশালায় ভগবান বীরসা মুন্ডার ২৫ ফুট লম্বা মূর্তি এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ৯ ফুট মূর্তিও উন্মোচন করা হয়।   

স্মৃতি উদ্যান কারাগার সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ২৫ একর জমি নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। এই সংগ্রহশালায় সঙ্গীতের মূর্ছনা, খাবার জায়গা, শিশু উদ্যান, বাগান ও অন্যান্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা  থাকবে।

          এরপর বিরসা মুন্ডার জন্মস্থান খুন্তি জেলার উলিহাতুতে বিরসা মুন্ডা কমপ্লেক্সে তাঁর মূর্তিতে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাল্যদান করেন।  

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1772272) Visitor Counter : 349


Read this release in: Hindi , English