বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
ট্রান্স- হিমালয় অঞ্চল বিশ্বজুড়ে আশাব্যঞ্জক জ্যোতির্বিজ্ঞান স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে
Posted On:
30 SEP 2021 1:13PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, লাদাখের লে-র কাছে হ্যানলে-তে অবস্থিত ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, আইএও, বিশ্বব্যাপী একটি আশাব্যঞ্জক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এরকম একটি কেন্দ্র হয়ে ওঠার কারণ হচ্ছে, সেখানে পরিষ্কার রাতের সুবিধা, ন্যূনতম আলো দূষণ, পটভূমিতে অ্যারোসোলের ঘনত্ব, অত্যন্ত শুষ্ক বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা এবং বর্ষার বিরামহীনতা।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে স্থানীয় আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাদের পরবর্তী বড় টেলিস্কোপ তৈরির জন্য বিশ্বজুড়ে আদর্শ জায়গার অনুসন্ধান করছেন। এই ধরনের অধ্যায়ন গুলি ভবিষ্যতের পর্যবেক্ষণের জন্য পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়ের সাথে তা কীভাবে পরিবর্তিত হবে তারই পূর্বাভাস বলা চলে।
ভারতের গবেষক এবং তাঁদের সহযোগীরা দেশের তিনটি উচ্চতর স্থানে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে রাতের মেঘের আবরণ ভগ্নাংশ নিয়ে একটি বিস্তারিত গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁরা উপগ্রহ থেকে ২১ বছরের ডেটা সহ ৪১ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ থেকে মিলিত রিঅ্যানালাইসিস ডেটা ব্যবহার করেছেন। গবেষণায় দৈনন্দিন ভিত্তিতে ফটোমেট্রি এবং স্পেক্ট্রোস্কোপির মতো বিভিন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ব্যবহার্য যন্ত্র রাতের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধীনস্থ স্বশাসিত সংস্থা
ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-এর বিজ্ঞানী ডক্টর শান্তি কুমার সিং নিঙ্গম্বাম এবং নৈনিতালের আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজারভেশনাল সাইন্সেস-এর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ব্যাঙ্গালোরের সেন্ট জোসেফ কলেজ এবং জাতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র, দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো ও কেমিক্যাল সাইন্সেস ল্যাবরেটরি এই সমীক্ষাটি রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত হয়েছে।
CG/ SB
(Release ID: 1759798)
Visitor Counter : 193