স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
কুকুরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জলাতঙ্ক রোগ ২০৩০-এর মধ্যে দূরীকরণে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা
Posted On:
28 SEP 2021 4:44PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ শ্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এবং কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ, গবাদি পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রী শ্রী পুরুষোত্তম রুপালা ২০৩০-এর মধ্যে কুকুরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জলাতঙ্ক রোগ দূর করতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। এই উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডঃ ভারতী প্রবীণ পাওয়ার এবং মৎস্যচাষ, গবাদি পশুপালন ও ডেয়ারি প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জীব কুমার বলিয়ান উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে আজকের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা র্যাবিসকে আরও কয়েকটি জটিল রোগের তালিকায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান। শ্রী মাণ্ডব্য ও শ্রী রুপালা যৌথভাবে ২০৩০-এর মধ্যে জলাতঙ্ক রোগ দূর করতে যৌথ আন্তঃমন্ত্রক ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন।
শ্রী মাণ্ডব্য বলেন, মানুষ কোনও বিচ্ছিন্ন প্রাণী নয় এবং পরিবেশে থাকা অন্যান্য পশু-প্রাণীর কাছ থেকেই রোগাক্রান্ত হয়। মনুষ্য সমাজের বাইরে পশু-প্রাণীরাও ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালায়। এই প্রেক্ষিতে মানুষ ও পশু-প্রাণীর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগের বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে এমন এক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে যাতে পশুর কাছ থেকে ছড়িয়ে পড়া অসুস্থতাজনিত চ্যালেঞ্জগুলি দূর করা যায়। তিনি আরও বলেন, বৃষ্টিপাত, তাপপ্রবাহের মতো পরিবেশগত বিষয়গুলি রোগ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করে।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শ্রী মাণ্ডব্য বলেন, এখন মানুষ তাঁর এলাকার ২০-২৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে যেতে চাইছেন না। বর্তমান পরিস্থিতি আধুনিক জীবনকে পুরো পালটে দিয়েছে। তাই, দ্রুত ও অনিয়ন্ত্রিত রোগ-ব্যাধি সংক্রমণ প্রতিরোধ করা জরুরি হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, র্যাবিস-এর মতো রোগ-ব্যাধি বহু মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। এমনকি, এ ধরনের ঘটনা পরিবারের উপার্জনের ওপরও প্রভাব ফেলে।
মৎস্যচাষ, গবাদি পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রী শ্রী রুপালা বিশেষ করে গ্রামীণ জীবনে র্যাবিস-এর ভীতি সম্পর্কে সচেতন করে দিয়ে বলেন, গ্রামাঞ্চলে জলাতঙ্ক নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে সচেতনতা প্রচারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জলাতঙ্কের কারণে প্রতিটি মৃত্যু সঠিক সময়ে টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে এড়ানো সম্ভব। তবে, মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে সুস্থ করার আর কোনও ওষুধ নেই।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলকে জাতীয় স্তরের এই কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে অভিনন্দন জানিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডঃ পাওয়ার বলেন, জলাতঙ্ক ১০০ শতাংশ মারাত্মক হলেও সঠিক সময়ে টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে তা রোধ করা সম্ভব। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে মোট জলাতঙ্কে মোট মৃত্যুর ৩৩ শতাংশই ঘটে ভারতে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল তার অভিজ্ঞতা ও কৌশল দিয়ে নিপা, জাইকা, অ্যাভিয়েন ফ্লু-এর মতো রোগ দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে সরকারের প্রয়াসগুলিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে বলেও ডঃ পাওয়ার অভিমত প্রকাশ করেন।
এই উপলক্ষে গবাদি পশুপালন ও ডেয়ারি দপ্তরের সচিব শ্রী অতুল চতুর্বেদী, স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত মহানির্দেশক ডঃ সুনীল কুমার, গবাদি পশুপালন দপ্তরের কমিশনার ডঃ প্রবীণ মালিক সহ দুই মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
CG/BD/DM/
(Release ID: 1759090)
Visitor Counter : 1117