সড়কপরিবহণওমহাসড়কমন্ত্রক
“স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রণ” সংক্রান্ত নিয়মাবলী ২৩ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জারি করা হয়েছে
Posted On:
25 SEP 2021 8:29AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
১৯৮৮ সালের মোটর ভেহিকেলস্ আইনের ৫৬ (২) ধারা সংশোধন করে ২০১৯-এর মোটর ভেহিকেলস্ সংশোধনী আইনের ২৩ নম্বর ধারায় কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা কেন্দ্রের স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা কেন্দ্রে যানবাহনের ফিটনেস সংক্রান্ত নানাবিধ পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্য নেওয়া হয়। বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলিকে ৮ বছর পর্যন্ত প্রতি দু’বছর অন্তর পরীক্ষা করাতে হয়। ৮ বছর পর প্রতি বছর এই পরীক্ষা করা হয়। ব্যক্তিগত গাড়ি ১৫ বছর পর নিবন্ধীকরণের সময় পরীক্ষা করাতে হয়। এরপর, প্রতি ৫ বছর অন্তর নিবন্ধীকরণের সময় পরীক্ষা করানো হয়।
গাড়ির সুরক্ষা ও গ্যাস নিঃসরণের বিষয়গুলি বিবেচনা করে এ সংক্রান্ত নিয়মাবলী তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভারতের যানবাহন সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়ম বিবেচনা করা হয়েছে।
স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা কেন্দ্র ব্যক্তি-বিশেষ অথবা কোনও সংস্থা কিংবা রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারে।
যে কোনও স্বার্থের সংঘাত এড়াতে এক্ষেত্রে কোনও আর্থিক বা পেশাদারী বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। গাড়ির মালিকের অথবা স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিচালকের কোনও আচরণে গাড়ি পরীক্ষায় যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, সেদিকে নজর রাখা হয়। এই কেন্দ্রগুলিতে শুধুমাত্র পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকে। এখানে যানবাহনের মেরামতি বা বিক্রি অথবা যানবাহনের কোনও অংশের বিক্রি কিংবা মেরামতি করা যাবে না। পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত গোপন রাখা হবে।
কেন্দ্রের প্রাক্-নিবন্ধীকরণ অথবা নিবন্ধীকরণের জন্য এক জানালা ব্যবস্থা করতে হবে। স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাড়পত্র দেবেন রাজ্যের পরিবহণ কমিশনার অথবা তারও উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
পরীক্ষা কেন্দ্রে যথাযথ জায়গা থাকতে হবে, যাতে যানবাহনের কাঠামো অনুযায়ী পরীক্ষা করা যায়। এছাড়াও, সেখানের ক্যাশ কাউন্টার, বৈদ্যুতিন ব্যবস্থাপনা এবং গাড়ি রাখার জায়গা থাকতে হবে। বৈদ্যুতিন ব্যবস্থাপনায় ‘বাহন’– এর নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা রাখতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাঁদের নিয়োগ করা হবে, তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলা রয়েছে।
১৯৮৯ সালের সিএমভিআর অনুযায়ী, বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী করা হবে। পরীক্ষার ন্যূনতম নিয়মাবলী এবং বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা আছে।
ফিটনেস পরীক্ষার জন্য অ্যাপয়েনমেন্ট সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের নির্ধারিত ওয়েবসাইট মারফৎ করতে হবে।
ফলাফল সংক্রান্ত সমস্ত স্বয়ংক্রিয় এবং হাতে লেখা তথ্য কেন্দ্রীয় ইউনিটে পাঠাতে হবে। ফিটনেস পরীক্ষার ফলাফল সমস্ত পরীক্ষার পর নিবন্ধীকৃত মালিক অথবা স্বীকৃত স্বাক্ষরকারীর কাছে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে পাঠানো হবে।
যদি কোনও যানবাহন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারে, তা হলে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে সেই গাড়িটিকে আবারও পরীক্ষা করানো যাবে। তবে, এক্ষেত্রেও উত্তীর্ণ হতে না পারলে ঐ যানবাহনকে ‘এন্ড অফ লাইফ ভেহিকেল’ বলে ঘোষণা করা হবে।
যদি গাড়ির নিবন্ধীকৃত মালিক অথবা স্বীকৃত স্বাক্ষরকারী ফলাফলে সন্তুষ্ট না হন, সেক্ষেত্রে তিনি নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে আবারও আবেদন করতে পারেন। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে অ্যাপিলেট কর্তৃপক্ষ ঐ গাড়িটির আংশিক অথবা পুরো পরীক্ষা করার নির্দেশ দিতে পারে। এরপর, গাড়িটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে অ্যাপিলেট কর্তৃপক্ষ ফিটনেস সংক্রান্ত শংসাপত্র দেবে। তবে, অ্যাপিলেট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরির প্রতি ছ’মাস অন্তর স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির অডিট করবে। অডিটের ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের পরিচালককে বহন করতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে হঠাৎ করে নির্ধারিত সময়ের আগেও অডিট হতে পারে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে।
নিবন্ধীকৃত কর্তৃপক্ষের কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন নির্ধারিত পদ্ধতি মেনে করতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধীকরণ/নিবন্ধীকরণের পুনর্নবীকরণ/অডিট এবং আবেদন সংক্রান্ত ফর্মের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
CG/CB/SB
(Release ID: 1758122)