শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক

পেটেন্ট কপিরাইট নিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়ার সরলীকরণের ফলে ভারত উদ্ভাবনের কেন্দ্র হয়ে উঠছে : শ্রী পিযুষ গোয়েল

Posted On: 01 AUG 2021 6:33PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১লা আগস্ট, ২০২১  

 

কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য, উপভোক্তা বিষয়ক এবং বস্ত্র মন্ত্রী শ্রী পিযুষ গোয়েল বিশেষ অধিকার অর্থাৎ পেটেন্ট, নক্সা, স্বত্ত্ব এবং ট্রেড মার্কের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি এবং সেগুলির অনুমোদন প্রক্রিয়ায় সংস্কার কার্যকর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এর ফলে সহজে ব্যবসা বাণিজ্য করা সম্ভব হচ্ছে, দেশ উদ্ভাবনের কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

মন্ত্রী গতকাল অফিস অফ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ পেটেন্টস, ডিজাইনস অ্যান্ড ট্রেড মার্কস (সিজিপিডিটি) –এর কাজকর্মের পর্যালোচনা করেন। তিনি মেধা স্বত্ত্বাধিকার দেবার পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেবিষয়ে আলোচনা করেন।    

শ্রী গোয়েল বিশেষ অধিকার, নক্সা, ট্রেড মার্কস এবং ভৌগলিক সূচক যথাযথ ব্য়বস্থাপনার মাধ্যমে দেবার ফলে  উদ্ভাবন, গবেষণা এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে উৎসাহ দেবার জন্য সরকারের অঙ্গীকার আবারও ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সাল থেকে এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে শ্রী গোয়েল জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সিজিপিডিটি বিভিন্ন আবেদনগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করছে। এর ফলে বকেয়া আবেদনের সংখ্যা যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে। যে কোনো আবেদন মাসের পর মাস ফেলে না রেখে কয়েক দিনের মধ্যে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।    

মন্ত্রী বলেন, স্টার্টআপ, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের জন্য মাসুলের পরিমাণ ৮০ শতাংশ কমানো হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। আবেদনপত্র অনলাইনে জমা দেওয়া, টেলিফোনের মাধ্যমে শুনানির ফলে পেটেন্ট অফিসে কাউকে আসতে হচ্ছে না। মন্ত্রী পুরো প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করার জন্য কিছু পরামর্শ দেন। ভৌগলিক সূচকের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানান। যে সব ছাত্রছাত্রী মেধাস্বত্ত্ব আইন নিয়ে পড়াশোনা করছে, তাদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা এবং বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে পেশাদার ব্যক্তিদের নিয়ে এসে পড়ানোর উপর তিনি গুরুত্ব দেন। এর ফলে পেটেন্ট দেবার জন্য পর্যালোচনার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।

সিজিপিডিটি –র আধিকারিকরা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার সরলীকরণের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তারা বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পুরো কাজ হওয়ায় এখন সময় কম লাগছে। এছাড়াও ট্রেড মার্ক নিয়মাবলীর ৭৪টি ফর্মের বদলে বর্তমানে ৮টি ফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় আবেদন জমা দেওয়ার পরিমাণ ৩০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫ শতাংশের বেশি হয়েছে। বিগত ৫ – ৬ বছরে পেটেন্ট এবং কপিরাইট অনেক বেশি পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে। ২০১৫ – ১৬ অর্থবর্ষে পেটেন্ট, ট্রেড মার্ক নিবন্ধীকরণ এবং কপিরাইট বিতরণ করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৩২৬, ৬৫০৪৫ এবং ৪৫০৫ টি। সেখানে ২০২০ – ২১ সালে পেটেন্ট, ট্রেড মার্ক নিবন্ধীকরণ এবং কপিরাইট দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ২৮৩৯১, ২৫৫৯৯৩, এবং ১৬৪০২ টি। এর ফলে ভারত, আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৩৩ ধাপ উঠে ২০২০ সালে ৪৮তম স্থানে পৌঁছেছে। ২০১৫ – ১৬ অর্থবর্ষে ভারতের অবস্থান ছিল ৮১তম।

সিজিপিডিটি, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ শিল্পোৎসাহ ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দপ্তরের আওতায় কাজ করে। পেটেন্ট অফিসের সদর দপ্তর কলকাতায়। ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রির মুখ্য কার্যালয় মুম্বাইতে এবং ভৌগলিক সূচক রেজিস্ট্রির কার্যালয় চেন্নাইয়ে। দ্য পেটেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনটেলেকচ্যুয়াল প্রোপাটি ম্যানেজমেন্টের দপ্তর নাগপুরে অবস্থিত।      

 

CG/CB/SFS



(Release ID: 1741344) Visitor Counter : 267