পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক

দেশ জুড়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রাপ্যতা বাড়ানোর জন্য ৩৩,৭৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন নেটওয়ার্ককে একটি জাতীয় গ্যাস গ্রীড তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে

Posted On: 26 JUL 2021 2:16PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৬ শে জুলাই, ২০২১

 

        পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ন্ত্রক পর্ষদ (পিএনজিআরবি) ৩১শে মে দেশজুড়ে ৩৩ হাজার ৭৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন নেটওয়ার্ককে প্রাকৃতিক গ্যাস গ্রীড গড়ে তোলার অনুমতি দিয়েছে। অনুমোদিত প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন সংস্থাটিকে নতুন লাইন বসানোর কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে সাব ট্রান্সমিশন পাইপ লাইন এবং মূল পাইপ লাইনের সংযোগের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই ১৯ হাজার ৯৯৮ কিলোমিটার পাইপ লাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহর কাজ শুরু হয়েছে। আরো ১৫ হাজার ৩৬৯ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। এর ফলে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস গ্রীড পরিকাঠামো গড়ে উঠবে। পর্ষদ বিভিন্ন অঞ্চলে গ্যাসের চাহিদা মূল্যায়ণ করে পাইপ লাইন পরিকাঠামোর বিস্তার ঘটানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।   

        সরকার স্বচ্ছ জ্বালানী ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

        ১. পাইপের মাধ্যমে বাড়িতে ও শিল্প কারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাস পৌঁছে  দেওয়ার জন্য এবং যানবাহনের জন্য কম্প্রেসড প্রাকৃতি গ্যাসের ব্যবস্থা করতে সিটি  গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (সিজিডি) নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পিএনজিআরবি ২০০৬ সালের আইন অনুযায়ী বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চলে সিজিডি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়ে থাকে। এর জন্য পিএনজিআরবি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপ লাইন বসানো এবং গ্যাসের প্রাপ্যতার জন্য বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চল চিহ্নিত করে। এ পর্যন্ত ২৩২টি অঞ্চলকে চিহ্নিত করে সেখানে সিজিডি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে দেশের ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪০০টিরও বেশি জেলার জন্য দশম নিলাম প্রক্রিয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। এর ফলে দেশের ৫৩ শতাংশ এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস পৌঁছে যাবে, যার মাধ্যমে মোট জনসংখ্যার ৭১ শতাংশ উপকৃত হবেন। পিএনজিআরবি ২০২০র চৌঠা ফেব্রুয়ারি সর্বসাধারণের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী একাদশ সিজিটি নিলাম প্রক্রিয়ার জন্য ৪৪টি ভৌগলিক অঞ্চলকে চিহ্নিত করা হয়েছে।  

        ২. দক্ষ ও বিশাল গ্যাসের বাজার গড়ে তোলার জন্য এবং দেশে গ্যাসের ব্যবসাকে উৎসাহিত করতে  ২০২০র ২রা ডিসেম্বর পিএনজিআরবি, গ্যাস এক্সচেঞ্জ গড়ে তুলে সেখান থেকে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য ইন্ডিয়ান গ্যাস এক্সচেঞ্জ লিমিটেডকে অনুমতি দিয়েছে।   

        ৩. প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস যাতে সহজেই পাওয়া যায় তার জন্য পিএনজিআরবি ২০২০র ২৩ নভেম্বর সুসংহত মাশুল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

        ৪. জ্বালানীর কারণে পরিবেশ দূষণ কমাতে ভারতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য পিএনজিআরবি যেকোন ভৌগলিক অঞ্চলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস স্টেশন গড়ে তুলে তা সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে অনুমতি দিয়ে থাকে। তবে এই গ্যাস শুধুমাত্র পরিবহণ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়।  

        ৫. সিজিডি অঞ্চলে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য পিএনজিআরবি বিভিন্ন শহরে নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করেছে।  স্থানীয় পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাস বন্টন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য পর্ষদ তৃতীয় পক্ষকে সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সংক্রান্ত নীতিও ঘোষণা করা হয়েছে।   

        সহজে পরিবহণের জন্য স্থিতিশীল বিকল্পের উদ্দেশ্যে ২০১৮র পয়লা অক্টোবর সাসটেইনেবল অলটারনেটিভ টুওয়ার্ড অ্যাফর্ডেবল ট্রান্সপোর্টেশন (এসএটিএটি)-এর সূচনা করা হয়। বিভিন্ন বর্জ্য ও জৈব পদার্থ থেকে কমপ্রেসড জৈব গ্যাস উৎপাদনের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এসএটিএটি বছরে ১ কোটি ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন কমপ্রেসড জৈব গ্যাস উৎপাদনের জন্য ৫ হাজার প্ল্যান্ট গড়ে তুলছে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, গেইল ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং ইন্দ্রপ্রস্থ গ্যাস লিমিটেড কমপ্রেসড জৈব গ্যাস সংগ্রহের জন্য ইচ্ছাপত্র প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তৈল সংস্থাগুলি ২০২০র জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৪৭৯টি এ ধরণের ইচ্ছাপত্র প্রকাশ করেছে। বর্তমানে পুনে এবং কোলাপুর দুটি প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত কমপ্রেসড জৈব গ্যাস পরিবহণ শিল্পে বিক্রি করা হচ্ছে।   

        কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি জগদীশপুর-হলদিয়া/বোকারো-ধামরা প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্প এবং নর্থ ইস্ট গ্যাস গ্রীড প্রকল্পের জন্য কার্যকর ঘাটতি তহবিল গঠনের অনুমোদন দিয়েছে। কমিটি ২০১৬র ২১ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে জগদীশপুর-হলদিয়া/বোকারো-ধামরা প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্পের জন্য যে ১২,৯৪০ কোটি টাকার মূলধনের প্রয়োজন তার ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ৫,১৭৬ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সরকার গেইলকে ইতিমধ্যে ৪৪৮৬ কোটি ৭৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এ বাবদ দিয়েছে।

        লোকসভায় আজ এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামেশ্বর তেলি এই তথ্য জানিয়েছেন।

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1739210) Visitor Counter : 522


Read this release in: English , Urdu , Punjabi