স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ডাঃ হর্ষ বর্ধন আজ কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন

Posted On: 02 MAR 2021 5:56PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ২ মার্চ, ২০২১
 
    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন আজ নতুন দিল্লীর দিল্লী হার্ট অ্যান্ড লাঙ ইন্সটিটিউটে কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
 
    টিকা নেওয়ার পর ডাঃ হর্ষ বর্ধন জানান, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী কো-ভ্যাকসিন টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তিনি ৬০ বছরের ঊর্দ্ধে এবং ৪৫-৫৯ বছরের মধ্যে যাদের কো-মর্বিডিটি বা অন্যান্য রোগের উপসর্গ রয়েছে তাদের সকলকেই টিকা নেওয়ার আর্জি জানান। এই টিকা করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলের কাছে একটি সঞ্জীবনী বলে তিনি জানান। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, হনুমানজী প্রায় অর্ধেক ভারত অতিক্রম করে সঞ্জীবনী নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এই সঞ্জীবনী আমাদের নিকটবর্তী সরকারি এবং বেসরকারী হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ সুনির্দিষ্ট বেসরকারী হাসপাতাল থেকে আড়াইশো টাকা মূল্যে এই টিকা পেতে পারেন। যাদের টাকা দিয়ে টিকা কেনার ক্ষমতা রয়েছে তাদেরকে নিকটবর্তী হাসপাতাল থেকে এই টিকা নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। 
 
    টিকার উপযুক্ততার ওপর জোর দিয়ে ডাঃ হর্ষ বর্ধন সকল দেশবাসীর কাছে আবেদন রাখেন যে গত কয়েক বছর ধরে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে উপযুক্ত নিয়ম অনুসরণ করে চলতে হবে। করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ২৮ দিনের মধ্যে কোভিড বিধি মেনে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। টিকার ২টি ডোজই নিরাপদ, স্বাস্থ্য প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত দেড় কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ০.০০০৩ শতাংশ মানুষ এখন মৃদু করোনা আক্রান্ত। দেশে এখও পর্যন্ত টিকা সংক্রান্ত কারণে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তাই সকলে মিলে নির্ভয়ে টিকা গ্রহণ এবং কোভিড মুক্ত ভারত গঠনের আহ্বান জানান তিনি। 
 
    প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, আমাদের সকলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ এই মহামারী চলাকালীন তিনি দেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এমনকি টিকা তৈরির ক্ষেত্রে সমর্থন জুগিয়েছেন। যারফলে প্রধানমন্ত্রী ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ অভিযানের সূচনা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে ভারতীয় টিকার বহু চাহিদা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৮টি দেশে করোনার টিকা পাঠানো হয়েছে। এমনকি ৩৬ থেকে ৪৮টির মতো দেশ এই টিকা চেয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু এই টিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে। 
    কো-উইন প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই প্ল্যাটফর্মের কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। একসঙ্গে বহু সংখ্যক মানুষ এই প্ল্যাটফর্মে নাম নথিভুক্ত করতে যাওয়ার ফলে সমস্যা তৈরি হয়। পরবর্তীতে তা ঠিক করা হয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৩৪ লক্ষ মানুষ নাম নথিভুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে।
 
    ডাঃ হর্ষ বর্ধন আরও জানান, সমস্ত হাসপাতালগুলিকে ২৮ দিনের সময়সূচীর সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ভারত সরকার সারা দেশে এই টিকা সহজলভ্য করে তুলতে এবং প্রত্যেক মানুষ যাতে টিকা নিতে পারেন তার ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে সর্বত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
 
    ভারতে কোভিডের মাত্রা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডাঃ বর্ধন জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে আরোগ্যের হার সবচেয়ে বেশি এবং মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। এই টিকা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেছে। দেশবাসীকে কোভিড আচরণবিধি মেনে চলার পাশাপাশি টিকার উপযুক্ত নিয়ম অনুসরণ করারও পরামর্শ দেন তিনি। টিকা সম্পর্কে মিথ্যে, ভুল ধারণা দূরে সরিয়ে রেখে সকলকে একযোগে লড়াইয়ের আহ্বান জানান। বন্ধু, পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের টিকা গ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করে তুলতে একটি জন-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। 
 
    ডাঃ হর্ষ বর্ধন মহামারীর সময় সংবাদ মাধ্যম যেভাবে কোভিড যোদ্ধার মতো সামনে থেকে কাজ করেছে এবং প্রতিনিয়ত সঠিক তথ্য সম্প্রচার/প্রচার করেছে তারজন্য সংবাদ মাধ্যমের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। এমনকি যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করে অন্যের প্রাণ বাঁচানোর সেইসব কোভিড যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি। 
 
***
 
 
 
CG/SS/NS


(Release ID: 1702081) Visitor Counter : 483


Read this release in: English , Urdu , Hindi , Punjabi