শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক

জম্মু ও কাশ্মীরে শিল্পোন্নয়নে কেন্দ্রীয় স্তরের প্রকল্পে সরকারের অনুমোদন


এই প্রথম শিল্পোন্নয়ন কর্মসূচিকে ব্লক স্তরেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

এই কর্মসূচিতে ২০৩৭ সাল নাগাদ ২৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে

Posted On: 07 JAN 2021 1:11PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৭ জানুয়ারি, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির বুধবারের বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরে শিল্পোন্নয়নের জন্য শিল্প প্রসার ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দপ্তরের একটি কেন্দ্রীয় স্তরের কর্মসূচিতে অনুমোদন মিলেছে। এই কর্মসূচিতে ২০৩৭ সাল নাগাদ ২৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে শিল্পোন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় স্তরের প্রকল্প হিসাবে একটি নতুন শিল্পোন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। এই কর্মসূচি রূপায়নের উদ্দেশ্যই হ’ল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করা।

 

এই কর্মসূচির মাধ্যমে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে :

মূলধনী বিনিয়োগে উৎসাহ – কলকারখানা ও যন্ত্রপাতি অথবা ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য স্থায়ী কাঠামো নির্মানের ক্ষেত্রে জোন-এ’তে ৩০ শতাংশ হারে এবং জোন-বি’তে ৫০ শতাংশ হারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড় সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে, ৫০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়ের এই সুবিধা মিলবে। জোন-এ’তে সর্বাধিক ৫ কোটি টাকার ছাড় সুবিধা এবং জোন-বি’তে সর্বাধিক ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ছাড় সুবিধা দেওয়া হবে।

মূলধনী সুদ ছাড় – শিল্প, কলকারখানা এবং যন্ত্রপাতি অথবা ভবন নির্মাণ সহ অন্যান্য স্থায়ী পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণে ৭ বছর মেয়াদী বার্ষিক ৬ শতাংশ হারে সুদ ছার পাওয়া যাবে।

জিএসটি সংযুক্ত ছাড় – কলকারখানা ও যন্ত্রপাতি উৎপাদন ইউনিট অথবা ভবন নির্মাণ সহ অন্যান্য স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত প্রকৃত বিনিয়োগের ভিত্তিতে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি সংযুক্ত ছাড় সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে, একটি অর্থবর্ষে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ অনুযায়ী, ছাড় সুবিধার পরিমাণ এক-দশমাংশের বেশি হবে না।  

কার্যকরি মূলধন সুদ ছাড় – বর্তমানে চালু সমস্ত ইউনিট বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে সর্বাধিক ৫ বছর মেয়াদী মূলধনী সুদ ছাড়ের সুবিধা পাবে। অবশ্য, সুদ ছাড়ের পরিমাণ সর্বাধিক ১ কোটি টাকা।

 

কর্মসূচির মূল বৈশিষ্ট্য –

·         ক্ষুদ্র ও বৃহৎ উভয় শ্রেণীর উৎপাদন ইউনিটগুলির জন্য এই কর্মসূচিকে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। ছোট উৎপাদন ইউনিটে যন্ত্রপাতি ও উৎপাদন কেন্দ্রে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মূলধন সুবিধা পাবে এবং সর্বাধিক ৭ বছর পর্যন্ত ৬ শতাংশ হারে মূলধনী সুদ ছাড় দেওয়া হবে

 

·         কর্মসূচির উদ্দেশ্য হ’ল কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে ব্লক স্তর পর্যন্ত শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।

 

·         জিএসটি সংযুক্ত ছাড় সুবিধার মাধ্যমে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলতে এই কর্মসূচিকে সরল করে তোলা হয়েছে।

 

·         আগে যে সমস্ত কর্মসূচি চালু ছিল, সেখানে স্বল্প পরিমাণে সুদ ছাড়ের সুবিধা ছিল। অন্যদিকে, নতুন কর্মসূচির তুলনায় অর্থ যোগানের প্রবাহ ছিল নগণ্য।

 

এই কর্মসূচি প্রভাব এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা -

 

·         এই কর্মসূচি কর্মসংস্থান, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বর্তমান শিল্পোৎপাদন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এর ফলে, এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি শিল্পোন্নত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে সমতুল হয়ে উঠবে।

 

·         প্রস্তাবিত এই কর্মসূচির ফলে অপ্রত্যাশিত পরিমাণে বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। সেই সঙ্গে, ৪ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও, কার্যকরি মূলধন সুদ ছাড় সুবিধার ফলে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পরোক্ষভাবে লাভবান হবেন।

 

কর্মসূচিতে আনুমানিক ব্যয় -   ২০২০-২১ থেকে ২০৩৬-৩৭ পর্যন্ত প্রস্তাবিত এই কর্মসূচিতে ২৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বিশেষ কর্মসূচির প্যাকেজের আওতায় ১ হাজার ১২৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।

***

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1686890) Visitor Counter : 109