ভূ-বিজ্ঞানমন্ত্রক
গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্নিঝড় “নিভার”-এর রূপ নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে - (তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূল এলাকায় ঘূর্নিঝড় সতর্কতা - হলুদ সতর্কতা জারি)
Posted On:
24 NOV 2020 9:56AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৪ নভেম্বর, ২০২০
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের নতুন দিল্লির সাইক্লোন ওয়ার্নিং ডিভিশন / জাতীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র তথা আঞ্চলিক পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী (সকাল ৮-৩০ মিনিটে) :
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর ঘনীভূত গভীর নিম্নচাপটি গত ছয় ঘন্টায়, ঘন্টায় ৫ কিলোমিটার গতিবেগে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হয়েছে। আজ সকাল ৫-৩০ মিনিট নাগাদ এটির অবস্থান ছিল পুদুচেরির পূর্ব-দক্ষিণ পূর্ব এলাকা থেকে প্রায় ৪১০ কিলোমিটার এবং চেন্নাই থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। ঘনীভূত এই নিম্নচাপটি ঘূর্নিঝড়ের আকার নিয়েছে এবং এর নামকরণ হয়েছে 'নিভার'। ঘূর্নিঝড়ের গতি-প্রকৃতি অনুযায়ী এটি আগামী ২৪ ঘন্টায় প্রবল ঘূর্নিঝড়ের রূপ নিতে পারে। এরপর পরবর্তী ১২ ঘন্টায় অতি প্রবল রূপ নেওয়া এই ঘূর্নিঝড়টি ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হবে। আগামী ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যা নাগাদ অতি প্রবল এই ঘূর্নিঝড়টি কারাইকল ও মামাল্লাপুরমের মধ্যে তামিলনাড়ু ও পুচুচেরি উপকূল এলাকার মধ্য দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করবে। স্থলভূমিতে প্রবেশের অতি প্রবল এই ঘূর্নিঝড়ের ঘন্টায় গতিবেগ দাঁড়াবে ১০০-১১০ কিলোমিটার। কখনও কখনও ঘূর্নিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
প্রবল এই ঘূর্নিঝড়ের প্রেক্ষিতে ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও কারাইকল এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার পর এটি আরও উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার ফলে ২৫-২৬ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূলে ও রায়লাসীমা অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি, ২৬ ও ২৭ তারিখ তেলেঙ্গানাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূলে ২৪ নভেম্বর বিক্ষিপ্তভাবে কিছু এলাকায় বৃষ্টি সহ কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২৫ তারিখ প্রায় সর্বত্রই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। ২৬ তারিখ একইরকম আবহাওয়া বজায় থাকবে। ২৭ তারিখ দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূলে বৃষ্টির দাপট কমবে, তবে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও কারাইকলে ২৪-২৬ নভেম্বর পর্যন্ত উপকূল এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী, ২৫ তারিখে প্রবল থেকে প্রবলতর বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরদিন অর্থাৎ, ২৬ ও ২৭ তারিখ বিক্ষিপ্তভাবে উত্তর তামিলনাড়ুর কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ কর্ণাটকের দূরবর্তী এলাকাগুলিতে ২৪ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ২৫ ও ২৬ তারিখ কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস সহ হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রায়লাসীমা ও তেলেঙ্গানাতেও আগামী ২৫ ও ২৬ তারিখ ভারী থেকে অতি ভারী এবং বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়ে গেরুয়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এই ঘূর্নিঝড়ের প্রেক্ষিতে সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় ২৫ তারিখ ঘন্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। হাওয়ার গতিবেগ কখনও কখনও ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটারেও পৌঁছতে পারে। তবে পরবর্তী ১৮ ঘন্টায় হাওয়ার গতিবেগ কমলেও তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও সংলগ্ন অন্ধ্র উপকূল অঞ্চলে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে।
এই ঘূর্নিঝড়ের প্রেক্ষিতে ২৪ নভেম্বর রাত থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সমুদ্র উত্তাল থাকবে। এজন্য মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের দ্রুত ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপকূল এলাকায় যাঁদের কুঁড়েঘর রয়েছে তাঁদেরকে অন্যত্র সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ঘূর্নিঝড়ের সময় পাকা বাড়িতে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যন্ত্রচালিত জলযানগুলিও সমুদ্রের উত্তাল পরিবেশে যে কোনও সময় দুর্ঘটনায় পড়তে পারে।
***
CG/BD/DM
(Release ID: 1675262)
Visitor Counter : 139