বস্ত্রমন্ত্রক

বস্ত্র শিল্পে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব

Posted On: 22 SEP 2020 2:30PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 


বস্ত্র শিল্প হল অংসগঠিত ক্ষেত্র। কোভিড মহামারীর কারণে বস্ত্র শিল্পে বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। ভারতীয় রেশম শিল্পে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এই শিল্পের উৎপাদন, রেশম গুটি, কাঁচা রেশমের দাম, পরিবহনের সমস্যা, দক্ষ কর্মীর অপ্রতুলতা, উৎপাদিত সামগ্রীর বিক্রি, কার্যকর মূলধনের সমস্যা, আমদানি-রপ্তানীর সুযোগ হ্রাস ছাড়াও নানা রকমের বিধি-নিষেধের ফলে এই শিল্প আজ সংকটের সম্মুখীন। 


গত ৩ মাসে কোভিড-১৯এর সময়ে পাট শিল্পের অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়েছে। জুন মাসে ২.৭৫টি, জুলাই মাসে ৩.৫৯টি এবং আগস্ট মাসে ৩.৫২টি গাটের অর্ডার পাওয়া গেছে। মিলগুলিকে জুন মাসে ১.৭৮টি, জুলাই মাসে ২.৪৮টি এবং আগস্ট মাসে ২.৩২টি গাট সরবরাহ করা হয়েছে। 


সরকার বস্ত্র শিল্পের রপ্তানী উৎসাহ পরিষদের সঙ্গে সম্প্রতি একটি সিমপোজিয়ামের আয়োজন করে। এখানে সম্ভাবনাময় রপ্তানীযোগ্য দ্রব্যগুলির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বস্ত্র শিল্পকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সরকার রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের করের ওপর ছাড় দেওয়া বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বস্ত্র শিল্পকে সহায়তার জন্য ৭ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।


বস্ত্র মন্ত্রকের উদ্যোগে কোভিড মহামারীর সময় উপভোক্তাদের সুবিধার জন্য ‘অ্যামেনডেড টেকনোলজি আপগ্রেডেশন ফান্ড’ গড়ে তোলা হয়েছে। যৌথ পর্যবেক্ষক দলের পরীক্ষার পর বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এই তহবিল থেকে ভর্তুকি দেওয়া হবে। কেন্দ্র আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের মাধ্যমে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই প্যাকেজে তন্তুবায় এবং কারিগররা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং মূলধন যোগাড় করতে পারবেন। এর সাহায্যে তাঁরা লকডাউনের ফলে তাদের ব্যবসা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তার থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। 


এছাড়াও বস্ত্র মন্ত্রক হস্তচালিত তাঁত শিল্পী এবং কারিগরদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারি দপ্তর এবং সংস্থাগুলিতে সরাসরি উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির জন্য বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় লেনদেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৩টি ই-কমার্স সংস্থা অনলাইনের মাধ্যমে হস্তচালিত তাঁত থেকে উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করার কাজে যুক্ত হয়েছে। #Vocal4handmade সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ষষ্ঠ জাতীয় তন্তুবায় দিবসে এই সব সামগ্রীর প্রচার শুরু হয়েছে। দেশের তন্তুবায় সম্প্রদায়কে সাহায্য করার জন্যই এই উদ্যোগ। বস্ত্র মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যের এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ জানিয়েছে তাঁরা যেন নিজ নিজ রাজ্যের স্টেট হ্যান্ডলুম কর্পোরেশন/সমবায় সমিতি/সংগঠনকে হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের থেকে তৈরি বস্ত্র কেনার সময় নগদে তা মিটিয়ে দেন। 


কোভিড মহামারীর কারণে এই মুহুর্তে মেলা বা প্রদর্শনীর মতো অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব নয়। সরকার তাই অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের তন্তুবায় এবং হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের উৎপাদিত সামগ্রী বাজারজাত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল সোর্সিং ফেয়ার ৭, ১০ এবং ১১ই আগস্ট আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২০০র বেশি অংশগ্রহণকারী তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে  দেখিয়েছেন। এনআইএফটি-র মাধ্যমে তন্তুবায়দের জন্য নকশার ধারণা দিতে ডিজাইন রিসোর্স সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও ন্যাশনাল  হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, কম্প্রিহেনশিভ হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট স্কিম, হ্যান্ডলুম উইভার্স কম্প্রিহেনশিভ ওয়েলফেয়ার স্কিম এবং ইয়ার্ন সাপ্লাই স্কিমের মাধ্যমে তন্তুবায়দের জন্য কাঁচামাল, তাঁত যন্ত্র এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা, নকশার উদ্ভাবন, নানা ধরণের সামগ্রী তৈরি, পরিকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষতা বিকাশ এবং বাজারজাত করার জন্য বিভিন্ন সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন বস্ত্রমন্ত্রী শ্রীমতি স্মৃতি জুবিন ইরানী।
 

 


CG/ CB/NS


(Release ID: 1657835) Visitor Counter : 233