কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে কুনওয়ার বিয়োগী বার্ষিক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেছেন

Posted On: 20 SEP 2020 6:01PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 



কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসের ঘটনায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাই সেখানকার সাধারণ মানুষ এবং তাদের সন্তানদের মধ্যে ক্রমশই উন্নয়নের জন্য আকাঙ্খা দেখা দিয়েছে।


জম্মু ও কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নয়নের পথ সুগম হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের কুনওয়ার বিয়োগী বার্ষিক স্মারক বক্তৃতায় আজ একথা জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নতির জন্য প্রতি দিন প্রয়াস চালানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সেখানে নতুন প্রত্যাশা সূচনার হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।


ডঃ সিং জানান, মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ব্যবধানের পর জম্মু-কাশ্মীর বিভাগের কেন্দ্রীয় সম্পদকে প্রায় সমানভাগে ভাগ হয়েছে।


গত বছর ৩৭০ বাতিল করার সময় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক বক্তব্যের কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ৭০ বছর ধরে এই সমস্যা জিইয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইচ্ছার জেরে এই ঐতিহাসিক ভুলকে সংশোধন করা গেছে।


তিনি বলেন, অনেকেই এই অনুচ্ছেদ বাতিল নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাদের সব আশঙ্কাই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে হোলি, মহরম, দেওয়ালি এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ধুমধামের সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে।


ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লোকেরা বুঝতে পেরেছেন বিশেষ মর্যাদা ও স্বশাসনের নামে তিন প্রজন্মের বংশধরের শাসন ধারাবাহিকভাবে চলছিল। পঞ্চায়েতে নির্বাচন না করেই তৃণমূল স্তরে সায়ত্বশাসন কায়েম হয়েছিল। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে এখন একদিকে যেমন পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তেমনই স্থানীয় জনগণের ক্ষমতায়নও সম্ভবপর হয়েছে।


জম্মু ও কাশ্মীরের এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে বর্ণনা করে ডঃ সিং জানান, সেখানে সুস্থ ও স্থায়ী গণতন্ত্রের নিয়মই মেনে চলা হচ্ছে। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ ন্যায় বিচার ও মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার ফিরে পেয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানের শরণার্থী এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে বিতারিত ব্যক্তিরা তাঁদের অধিকার ফিরে পেয়েছেন এবং কয়েক দশকের বৈষম্যকে দূরে সরানো গেছে।
ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ও স্থিতাবস্ত বজায় রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের স্বচ্ছতা, ডিজিটালাইজেশন এবং দায়বদ্ধতা ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২০টি জেলায় সরকার গ্রিভেন্স পোর্টাল বা অভিযোগ জমা করার পোর্টাল চালু করেছে। একইভাবে সেচ, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা প্রকল্প নতুন করে আলোর পথ দেখেছে। তিনি বলেন, ডোগরি ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। এখানকার মানুষ ধীরে ধরে দাসত্ব, স্বার্থপর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন শতকের অঙ্গ হয়ে উঠেছেন বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।


এদিন এই অনুষ্ঠানে জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মনোজ ধর তাঁর বক্তব্যে জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন এবং ডোগরি ভাষার বিকাশের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব শীঘ্রই ডোগরি বিভাগ চালু করা হবে। ডোগরি ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরতে “উৎকর্ষতা কেন্দ্র” গড়ে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মণিকা শেঠী, নিউজ ১৮ সংবাদ মাধ্যমের বরিষ্ঠ সম্পাদক সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

 



CG/SS/SKD



(Release ID: 1657172) Visitor Counter : 106


Read this release in: English , Urdu , Punjabi , Tamil