কৃষিমন্ত্রক

ই-ন্যামের সাফল্যের হার

Posted On: 18 SEP 2020 3:13PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 

     কৃষি বিপণন যেহেতু রাজ্যের বিষয় সেহেতু কৃষি পণ্যের পাইকারি বিপণন সাধারণ নিয়ন্ত্রিত এগ্রিকালচার প্রোডিউস মার্কেট কমিটি (এপিএমসি)র মাধ্যমে হয়। এই কমিটিগুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার দ্বারা সেই রাজ্যের আইনের দ্বারা তৈরি। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি বিপণনে সহায়কের ভূমিকা পালন করে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বাজারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। সরবরাহ শৃঙ্খল সুসহংত না হওয়ায় এবং কয়েকটি জায়গায় বাজার বহুদূরে অবস্থিত হওয়ায় মধ্যস্থতাকারীরা কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনে বিপণন করে, তাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

     কৃষকরা যাতে বাজারের সুবিধা পান সেইজন্য কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মিতভাবে রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকারকে বাজার সংস্কার করে বিকল্প বিপণন ব্যবস্থার যেমন বেসরকারী বাজার, সরাসরি বিপণন, চুক্তিভিত্তিক কৃষিকাজ, গ্রামীণ কৃষি বাজার গঠন করার পরামর্শ দিয়েছে। আদর্শ এপিএমসি আইন তৈরি করতেও বলা হয়েছে।

     ভারত সরকার দ্যা ফারমার্স প্রডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রমোশন অ্যান্ড ফেসিলিটেশন) অর্ডিন্যান্স ২০২০ প্রজ্ঞাপিত করেছে ৫ই জুন ২০২০। এর লক্ষ্য কৃষকদের পছন্দের স্বাধীনতা দেওয়া এবং প্রতিবন্ধকতাহীন আন্তঃরাজ্য অন্তররাজ্য কৃষি পণ্যের বাণিজ্য।

     সরকার এছাড়াও দ্যা ফারমার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন) এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যাসিওরেন্স অ্যান্ড ফার্ম অর্ডিন্যান্স ৫ই জুন ২০২০ প্রজ্ঞাপিত করে। এর লক্ষ্য কৃষি চুক্তি নিয়ে একটি জাতীয় কাঠামো গঠন যাতে কৃষকরা সুরক্ষিত এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। মৌখিক আলোচনার মাধ্যমে তারা যাতে উপযুক্ত মূল্য পায় স্বচ্ছভাবে সেটাও এই অধ্যাদেশের লক্ষ্য।

     এছাড়াও আত্মনির্ভর ভারত অভিযান প্যাকেজের অঙ্গ হিসেবে সরকার কৃষি পরিকাঠামো তহবিলের অধীনে ১ লক্ষ কোটি টাকা মাঝারি দীর্ঘমেয়াদী ঋণ সুবিধা অনুমোদন করেছে। এতে ফসল তোলার পর বাজার পরিকাঠামোয় লাভজনক প্রকল্পে লগ্নি হবে।

     ভারত সরকার স্টোরেজ, কোল-স্টোরেজ, কোল্ড চেন এবং অন্যান্য বিপণন ও মূল্যযুক্ত পরিকাঠামোকে উৎসাহ দিচ্ছে এগ্রিকালচার মার্কেটিং ইনফ্রাসট্রাকচার (এএমআই), মিশন ফর ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট অফ হর্টিকালচার (এমআইবিএইচ), রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা- রেমুনারেটিভ অ্যাপ্রোচেস ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড অ্যালায়েড সেক্টর রিজুভিনেতা শন ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে।

     সরকার ন্যাশনাল এগ্রিকালচার মার্কেট বা ই-ন্যাম কর্মসূচির রূপায়ণ করেছে। এটি একটি অনলাইন ভার্চুয়াল ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম। এর দ্বারা কৃষক সরাসরি উপযুক্ত দামে তার পণ্য প্রতিযোগিতামূলক অনলাইন দরাদরির মাধ্যমে বিক্রির সুযোগ পায়। এখনও পর্যন্ত ১৮টি রাজ্য এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১ হাজারটি পাইকারি নিয়ন্ত্রিত বাজার ই-ন্যাম প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়েছে। ই-ন্যাম প্ল্যাটফর্মে আছে ১৭৫টি পণ্য।

     ৩১শে আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত ১ কোটি ৬৭ লক্ষ কৃষক, ১ কোটি ৪৪ লক্ষ ব্যবসায়ী, ৮৩ হাজার ৯৫৮ জন কমিশন এজেন্ট এবং ১ হাজার ৭২২টি কৃষি উৎপাদক সংস্থা ই-ন্যাম প্ল্যাটফর্মে নথিভুক্ত হয়েছে। মোট ব্যবসার পরিমাণ ১ লক্ষ ৪ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা।

     রাজ্যসভায় আজ কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এক লিখিত জবাবে এই তথ্য জানান।

 

 

CG/AP/NS



(Release ID: 1656468) Visitor Counter : 123