পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক

দেশে বনাঞ্চল বৃদ্ধি করতে এবং গাছের মাধ্যমে কার্বন শোষণ বাড়াতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে : শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর

Posted On: 17 AUG 2020 6:33PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৭ আগস্ট, ২০২০

 

 


কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, দেশে বনাঞ্চলের পরিমান বৃদ্ধি করতে এবং গাছের মাধ্যমে  কার্বন শোষণ বাড়ানোর জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক উদ্যোগী হয়েছে। নতুন দিল্লীতে রাজ্যগুলির বনমন্ত্রীদের সঙ্গে এক সম্মেলনে মন্ত্রী একথা জানিয়েছেন। এই সম্মেলনে পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী বাবুল সুপ্রিয়, অরুণাচলপ্রদেশ ও গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী, বেশ কয়েকটি রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং ২৪টি রাজ্যের বনমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এই সমম্মেলনে শ্রী জাভড়েকর বলেছেন, ব্যাপক বনসৃজন, নগর-বন প্রকল্পের আওতায় শহরাঞ্চলে বন তৈরি, ১৩টি প্রধান নদীর অববাহিকায় বৃক্ষরোপণ সহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ন্যাশনাল ট্রানজিটের সূচনা করা হয়েছে,  যার মাধ্যমে বনজ সম্পদ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। 


শ্রী জাভড়েকর জানিয়েছেন, জাতীয় বন নীতির মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। দেশে বনাঞ্চলের পরিমান বৃদ্ধি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রজেক্ট লায়ন এবং প্রজেক্ট ডলফিনের সূচনা করেছেন। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে নদী থেকে মহাসাগর পর্যন্ত ডলফিনের সংরক্ষণ নিয়ে সরকার একটি সর্বাঙ্গীন প্রকল্প চালু করবে। এক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হবে। মৎস্যজীবী সহ নদী ও সমুদ্রের ওপর যাঁদের জীবিকা নির্ভরশীল তাঁদের সবাইকে এই প্রকল্পে যুক্ত করা হবে। এই প্রকল্পের সাহায্যে নদী এবং মহাসমুদ্রে দূষণ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া ছাড়াও চোরা শিকারীদের হাত থেকে ডলফিনকে রক্ষা করা হবে। 


মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, প্রজেক্ট লায়নের মাধ্যমে সরকার এশীয় সিংহের সংরক্ষণ সর্বাত্মকভাবে করবে। সিংহের নানা রকমের অসুখের চিকিৎসা সহ বিশ্ব মানের গবেষণা এবং পশু চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা উদ্যোগ এই প্রকল্পের মাধ্যমে নেওয়া হবে। মানুষের সঙ্গে বন্য প্রাণীর সংঘাত বন্ধ করতে এবং যেসব জায়গায় সিংহ রয়েছে সেখানকার স্থানীয় সম্প্রদায়কে যুক্ত করে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।


শ্রী জাভড়েকর রাজ্যগুলিকে ‘ক্যাম্পা’ তহবিলের অর্থ ব্যয় করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এর সাহায্যে বনসৃজন ও বৃক্ষরোপনের কাজ করা হয়। মন্ত্রী বলেছেন, এই তহবিলের ৮০ শতাংশ অর্থ বনসৃজন ও বৃক্ষরোপনের কাজে ব্যয় করতে হবে, বাকি ২০ শতাংশ অর্থ প্রকল্প রূপায়ণের কাজে লাগাতে হবে। কেন্দ্র ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ৪৭ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা ক্যাম্পা তহবিলে দিয়েছিল।


জাতীয় পরিবেশ দিবসে নগর-বন প্রকল্পটির সূচনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পে দেশে ২০০টি শহরে নগর-বন গড়ে তোলা হবে। একাজে বন দপ্তর ছাড়াও বিভিন্ন অসরকারী সংগঠন, কর্পোরেট সংস্থা ও শিল্প সংস্থাগুলিকে যুক্ত করা হবে। বৈঠকে নগর-বন তৈরি করতে পাঁচিল দেওয়া ও মাটি পরীক্ষা করার জন্য অর্থ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বিভিন্ন পুরসভায় এই নগর-বন বড় বড় শহরগুলির ফুসফুসের কাজ করবে। 


স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের গাছের যত্ন নেওয়া এবং গাছ পোঁতাকে উৎসাহিত করার জন্য স্কুল নার্সারি স্কিম নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। এরফলে ছোটবেলা থেকেই ছাত্রছাত্রীদের মনে বন এবং পরিবেশের বিষয়ে উৎসাহ তৈরি হবে। শ্রী জাভড়েকর ১৩টি বড় নদীর তীরে বনসৃজনের জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। নদীর তীরে বৃক্ষরোপনের ফলে পাড় ভাঙবে না, ভূমিক্ষয় কম হবে এবং জলের প্রবাহ বাড়বে। লিডার প্রকল্পের সাহায্যে জমি চিহ্নিত করে সেখানে জল সংরক্ষণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া একটি জাতীয় পোর্টালের মাধ্যমে বনজ সম্পদ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে সরবরাহ করার যে প্রকল্পে সূচনা হয়েছে বৈঠকে সে বিষয়েও আলোচনা হয়।


রাজ্যগুলি বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে তাদের গৃহিত পদক্ষেপের কথা বৈঠকে জানিয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের বিভিন্ন উদ্যোগে তাঁরা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতীয় অঙ্গীকার পূরণে রাজ্যগুলির সহযোগিতায় ও অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে তা বাস্তবায়িত করতে নানা পদক্ষেপের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
 

 


CG/CB/NS



(Release ID: 1646525) Visitor Counter : 1128