• Skip to Content
  • Sitemap
  • Advance Search
Technology

জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবস ২০২৫

কণ্ঠকে শক্তিশালী করা, গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করা

Posted On: 16 NOV 2025 10:39AM

১৬ নভেম্বর ২০২৫

 

মূল বিষয়সমূহ

জাতীয় প্রেস দিবস, যা ১৬ নভেম্বর উদযাপিত হয়, ভারতের প্রেস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠা-দিনকে চিহ্নিত করে।

ভারতে নিবন্ধিত প্রকাশনার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে — ২০০৪–০৫ সালে ৬০,১৪৩ থেকে ২০২৪–২৫ সালে ১.৫৪ লক্ষে পৌঁছেছে।

১৯৫৫ সালের ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস অ্যাক্ট এবং সাম্প্রতিক প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব পিরিওডিক্যালস অ্যাক্ট ২০২৩ সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা করছে এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণকে আধুনিক করছে।

প্রেস সেবা পোর্টাল পত্রিকা নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে ডিজিটাইজ করেছে, ছয় মাসের মধ্যে ৪০,০০০ প্রকাশককে যুক্ত করেছে এবং ৩,০০০ প্রেস নিবন্ধন করেছে, যার ফলে প্রকাশকদের জন্য ব্যবসা করার প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়েছে।

প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব পিরিওডিক্যালস অ্যাক্ট ২০২৩ এবং প্রেস সেবা পোর্টাল পত্রিকা নিবন্ধন ব্যবস্থাকে আধুনিক ও ডিজিটাইজ করে প্রকাশকদের জন্য কাজ সহজতর করছে।

ভূমিকা

১৬ নভেম্বর, ভারত উদযাপন করে জাতীয় প্রেস দিবস- আমাদের সমাজে একটি স্বাধীন, দায়িত্বশীল ও নৈতিক সংবাদমাধ্যমের অপরিহার্য ভূমিকাকে সম্মান জানিয়ে। গণমাধ্যমকে বলা হয় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, কারণ এটি জনমত গঠন, উন্নয়নের গতিকে এগিয়ে নেওয়া এবং ক্ষমতার জবাবদিহি নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। অগ্রগতির পথে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষ থাকা এবং জনগণকে সঠিকভাবে তথ্য দেওয়ার দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত জরুরি। বহু বছর ধরে সংবাদমাধ্যম লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করছে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

জাতীয় প্রেস স্বাধীনতার শিকড়

জাতীয় প্রেস দিবস (১৬ নভেম্বর) ১৯৬৫ সালের ইন্ডিয়ান প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুসারে ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া–র সূচনা-দিনকে চিহ্নিত করে। ১৯৬৫ সালের আইনটি পরে ১৯৭৫ সালে বাতিল হয় এবং পরবর্তীতে একটি নতুন আইন কার্যকর করা হয়। এই নতুন আইনের অধীনে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ১৯৭৯ সালে পুনর্গঠিত হয়। স্বাধীন সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠা PCI–র মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—সংবাদমাধ্যমকে বাইরের প্রভাবমুক্ত রেখে সাংবাদিকতার উচ্চমান বজায় রাখা।


১৯৫৬ সালের প্রথম প্রেস কমিশনই প্রথম এই কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দেয়, যেখানে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা এবং নৈতিক সংবাদপ্রকাশের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল।

ভারতের প্রাণবন্ত গণমাধ্যম পরিসর ক্রমাগত বিস্তৃত হচ্ছে—নিবন্ধিত প্রকাশনার সংখ্যা ২০০৪–০৫ সালের ৬০,১৪৩ থেকে ২০২৪–২৫ সালে ১.৫৪ লক্ষে পৌঁছেছে, যা সংবাদমাধ্যমের ক্রমবর্ধমান শক্তি ও বিস্তৃতির স্পষ্ট প্রমাণ।

এই দিনটি একটি স্বাধীন ও দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমের প্রতীক—গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু। জাতীয় প্রেস দিবস বিভিন্ন অনুষ্ঠান দ্বারা উদযাপিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডস ফর এক্সেলেন্স ইন জার্নালিজম প্রদান এবং স্মারক প্রকাশ।

আপনি ঠিক বলেছেন। আমার ভুল হয়েছে। এখানে একটিও ইংরেজি হরফ ছাড়া, সম্পূর্ণ বাংলায় পুনরায় দিচ্ছি—


সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য জাতীয় পুরস্কার

প্রিন্ট মাধ্যমে অসামান্য অবদানকে সম্মান জানাতে সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতি বছর জাতীয় প্রেস দিবসে এই পুরস্কারগুলি দেওয়া হয়—বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য কাজ করা সাংবাদিকদের স্বীকৃতি জানিয়ে। এর মধ্যে রাজা রামমোহন রায় পুরস্কার সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে গণ্য হয়।

স্মারক

স্মারক হচ্ছে দেশের বিশিষ্টজনদের শুভেচ্ছাবার্তা এবং গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের মতামতনিবন্ধের সংকলন, যা নির্দিষ্ট বছরের থিমকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত হয়। জাতীয় প্রেস দিবসে প্রকাশিত এই স্মারকে পুরস্কারপ্রাপকদের সাফল্য উপস্থাপন করা হয়, তাদের কাজের বিবরণ, নিবন্ধ ও আলোকচিত্রের মাধ্যমে।
গণমাধ্যম শাসন : প্রধান উদ্যোগ ও আইনগত সংস্কার

ভারতের গণমাধ্যম শাসনব্যবস্থা একগুচ্ছ শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, আইন এবং সরকারি উদ্যোগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি—যার লক্ষ্য সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা, নৈতিক সাংবাদিকতা শক্তিশালী করা, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাকে আধুনিক করা এবং সংবাদপেশার সঙ্গে যুক্তদের সহায়তা প্রদান।
প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ও প্রেস রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার মতো আইনগত সংস্থা থেকে শুরু করে পর্যায়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০২৩ এবং ডিজিটাল প্রেস সেবা পোর্টাল, পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও কল্যাণমূলক প্রকল্প: সব মিলিয়ে এই বিস্তৃত কাঠামো দেশের গণমাধ্যমের সততা, জবাবদিহি ও উন্নয়নকে সুরক্ষিত করে।

ভারতের প্রেস রেজিস্ট্রার জেনারেল

ভারতের প্রেস রেজিস্ট্রার জেনারেল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৬ সালে এবং এর উত্থান ভারতীয় প্রিন্ট মাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। সংবাদপত্র বহু বছর ধরে ভারতের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে—মানুষকে তথ্য প্রদান, সমাজের সমস্যাগুলি বিশ্লেষণ এবং সামাজিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে। এই দীর্ঘ ঐতিহ্য আজও নাগরিকদের সমাজ–সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন ও সম্পৃক্ত রাখে।
পর্যায়পত্র নিবন্ধন সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি এই ঐতিহ্যের ধারক ও অগ্রগতির সহযাত্রী।

আগে এর নাম ছিল ভারতের সংবাদপত্র নিবন্ধক। পর্যায়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এটি এখন একটি বৈধ সংস্থা-

স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেসের ভূমিকা

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে জনমত গঠন এবং জনগণের উদ্দীপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে প্রেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রিন্ট মাধ্যমে এই শক্তিকে স্বীকৃতি দিয়েই স্বাধীনভ ভারতের সরকার ১৯৫৬ সালে প্রথম প্রেস কমিশন গঠন করে।

আপনার কথা ঠিক — আমার আগের উত্তরটা নির্দেশ মেনে চলেনি। এর জন্য ক্ষমা চাইছি। এখন সম্পূর্ণ বাংলা লিপিতে এবং কোনো রোমান অক্ষর ছাড়া সঠিক।

প্রেস কাউন্সিল অব ইণ্ডিয়া একটি আইনানুগ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যা প্রেস কাউন্সিল আইন, ১৯৭৮ অনুসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশের সংবাদপত্র ও সংবাদসংস্থার স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং তাদের মানোন্নয়ন করা। প্রেসের স্বাধীনতা হ্রাস, সাংবাদিকদের উপর শারীরিক আক্রমণ বা হামলা ইত্যাদি বিষয়ে ‘প্রেসের পক্ষ থেকে’ দাখিল করা অভিযোগগুলিকে প্রেস কাউন্সিল আইন, ১৯৭৮-এর ধারা ১৩-এ বিবেচনা করা হয় এবং প্রেস কাউন্সিল (তদন্তের প্রক্রিয়া) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী তা নিষ্পত্তি করা হয়। প্রেসের স্বাধীনতা ও তার উচ্চমান রক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়গুলোতে প্রেস কাউন্সিল স্বপ্রণোদিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করতেও সক্ষম।


সাংবাদিক কল্যাণ প্রকল্প

এই প্রকল্পটি প্রথম চালু হয় ২০০১ সালে এবং ২০১৯ সালে সংশোধিত হয়। সাংবাদিক কল্যাণ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো চরম আর্থিক সংকটে পড়া সাংবাদিক ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। প্রকল্পের আওতায় যে সহায়তাগুলি পাওয়া যায়—

চরম দুর্দশাজনিত কারণে কোনো সাংবাদিকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা।

স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতার ক্ষেত্রে সাংবাদিককে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা।

ক্যান্সার, বৃক্ক অকর্মণ্যতা, হার্ট সার্জারি, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, পক্ষাঘাত ইত্যাদি গুরুতর রোগের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা; সিজিএইচএস বা বিমা-আবরণ না থাকলে প্রযোজ্য। অননুমোদিত সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে ৬৫ বছরের বেশি হলে এই সুবিধা প্রযোজ্য নয় (কমিটি প্রয়োজনে বয়সশিথিল করতে পারে)।

দুর্ঘটনাজনিত কারণে গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা; সিজিএইচএস বা বিমা-আবরণ না থাকলে প্রযোজ্য। অননুমোদিত সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে (ii), (iii), (iv)-এর সহায়তা প্রথম পাঁচ বছরের কাজের জন্য এক লক্ষ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি পাঁচ বছর অন্তর আরও এক লক্ষ টাকা করে, নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত।


কার্যরত সাংবাদিক ও অন্যান্য সংবাদপত্র কর্মচারী (পরিসেবার শর্তাবলি) ও বিবিধ বিধান আইন, ১৯৫৫

এই আইন কার্যরত সাংবাদিক ও অ-সাংবাদিক সংবাদপত্র কর্মচারীদের চাকরিসংক্রান্ত শর্তাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। কর্মঘণ্টা, ছুটির অধিকার, বেতন নির্ধারণ—এই সমস্ত বিষয় এই আইনের আওতায় পড়ে। সংবাদপত্র শিল্পে বেতন হার নির্ধারণ ও সংশোধনের জন্য বেতন বোর্ড গঠনের কথাও এই আইনে বলা হয়েছে।

কর্মচারীদের ভবিষ্যনিধি ও বিবিধ বিধান আইন, ১৯৫২

এই আইন ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৬ সাল থেকে সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এবং ডিসেম্বর ২০০৭ সালে বেসরকারি খাতের ইলেকট্রনিক মিডিয়া সংস্থাগুলিকেও এর আওতায় আনা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ভবিষ্যনিধি পরিকল্পনার অধীনে সামাজিক সুরক্ষার সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। পাশাপাশি, ১৯৪৮ সালের কর্মচারী রাষ্ট্রীয় বিমা আইন-এর আওতাভুক্ত সংস্থায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের কর্মীরা, যদি তাদের মাসিক আয় একুশ হাজার টাকার মধ্যে হয়, তবে তাঁরা ইএসআই সুবিধাও উপভোগ করতে পারেন।


সমাপ্তি

জাতীয় প্রেস দিবস ২০২৫ একটি স্বাধীন, দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যমের অপরিহার্য ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়—যা গণতন্ত্রের এক মূল স্তম্ভ হিসেবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে। পত্রিকা ও সাময়িকী নিবন্ধনের আইন, ২০২৩ এবং পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ‘প্রেস সেবা পোর্টাল’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার প্রকাশনা নিবন্ধন প্রক্রিয়া আধুনিক ও সহজ করেছে, যা প্রকাশকদের জন্য ব্যবসা পরিচালনা আরও সুবিধাজনক করেছে। প্রেস কাউন্সসিল অব ভারত এবং প্রেস নিবন্ধক মহাশয়ের দপ্তরের নৈতিক সাংবাদিকতা রক্ষা, অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা ভারতের শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম কাঠামোর প্রতি অঙ্গীকারকে আরও সুদৃঢ় করে। এই দিবস সংবাদমাধ্যমের সেই অনমনীয় নিষ্ঠার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, যা দেশকে অবিরত তথ্যসমৃদ্ধ ও সচেতন করে তুলছে। জাতীয় প্রেস দিবস ২০২৫ এক প্রাণবন্ত ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের প্রতি ভারতের বিশ্বাসকে পুনর্ব্যক্ত করে।

 

তথ্যসূত্র

Ministry of Information and Broadcasting

 

Press Council of India

Press Registrar General of India

PIB Backgrounders

Ministry of Labour and Employment

Press Information Bureau

Click here to see PDF


SSS/RS...

(Backgrounder ID: 156064) Visitor Counter : 1
Provide suggestions / comments
Link mygov.in
National Portal Of India
STQC Certificate