রেল মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

এই প্রথম রেলপথে পরিবাহিত গাড়ি পেল মিজোরাম, যা এই অঞ্চলের পরিবহনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

রেলপথে ১১৯টি গাড়ি সাইরাংয়ে পৌঁছাল, এই ঐতিহাসিক রেল চলাচল মিজোরামের পরিকাঠামো ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে

प्रविष्टि तिथि: 14 DEC 2025 3:36PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫: এই প্রথম গুয়াহাটির কাছে চ্যাংগসারি থেকে সরাসরি ১১৯টি মারুতি গাড়ি বহনকারী ইনওয়ার্ড অটোমোবাইল রেক এসে থামলো মিজোরামের সাইরাং রেলওয়ে স্টেশনে৷ ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপের ফলে আইজলে গাড়ির সহজলভ্যতা বাড়াবে, দীর্ঘ সড়ক পরিবহনের উপর নির্ভরতা কমাবে এবং মিজোরামের স্বয়ংচালিত ক্ষেত্রকে উপকৃত করবে, যার মধ্যে রয়েছেন ডিলার, পরিষেবা প্রদানকারী এবং গ্রাহকরা। এটি মিজোরাম রাজ্যের পরিকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে। সংযোগ সম্প্রসারণ, আঞ্চলিক উন্নয়নকে সমর্থন এবং দেশজুড়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলওয়ের প্রতিশ্রুতির একটি প্রতিফলন এটি৷

বাইরাবি-সাইরাং রেললাইনটি মিজোরামের জন্য একটি প্রধান পরিকাঠামোগত মাইলফলক। দুর্গম ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নির্মিত এই লাইনটি ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৪৫টি সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে গেছে। দেশের বাকি অংশের সাথে এই অঞ্চলের কৌশলগত সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে এই রেললাইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি এই লাইনটির উদ্বোধন করেছিলেন। এই উপলক্ষে তিনি আইজল (সাইরাং) এবং দিল্লি (আনন্দ বিহার টার্মিনাল)-এর মধ্যে একটি রাজধানী এক্সপ্রেস, আইজল (সাইরাং) এবং গুয়াহাটির মধ্যে মিজোরাম এক্সপ্রেস এবং আইজল (সাইরাং) ও কলকাতার মধ্যে একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেছিলেন। এর মাধ্যমে মিজোরাম ভারতের জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সাথে সম্পূর্ণরূপে সংযুক্ত হয়েছে।

নতুন ট্রেন পরিষেবার পর মিজোরামের যাত্রীদের কাছ থেকেও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তিনটি ট্রেনই অধিক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে, যেমন সাইরাং-আনন্দ বিহার টার্মিনাল রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রী সংখ্যা ১৪৭ শতাংশ, সাইরাং-গুয়াহাটি মিজোরাম এক্সপ্রেসের যাত্রীসংখ্যা ১১৫ শতাংশ, তেমনি সাইরাং-কলকাতা এক্সপ্রেস ১৩৯ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। যাত্রীরা ট্রেনগুলোকে সুবিধাজনক, সাশ্রয়ী এবং সময় সাশ্রয়ী বলে মনে করছেন। রেল সংযোগ প্রধান শহর এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে ভ্রমণের সুবিধাকে উন্নত করেছে। এটি পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে শিক্ষা এবং চিকিৎসা সুবিধাগুলিতে প্রবেশাধিকারও বাড়িয়েছে।

উদ্বোধনের পরপরই বাইরাবি-সাইরাং লাইনে পণ্য পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ প্রথম পণ্য পরিবহনে আসাম থেকে আইজলে ২১টি সিমেন্টের ওয়াগন বহন করা হয়েছিল। তখন থেকে এই রুটে সিমেন্ট, নির্মাণ সামগ্রী, অটোমোবাইল, বালি এবং পাথরের চিপসের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে।

সাইরাং থেকে প্রথম পার্সেল চালানটিও ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বুক করা হয়েছিল, যখন পার্সেল ভ্যানের মাধ্যমে (সাইরাং–আনন্দ বিহার টার্মিনাল রাজধানী এক্সপ্রেস) অ্যান্থুরিয়াম ফুল আনন্দ বিহার টার্মিনালে পরিবহন করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে মোট ১৭টি রেক পরিচালনা করা হয়েছে। এই অগ্রগতিগুলো প্রমাণ করে যে এই লাইনটি একটি নির্ভরযোগ্য লজিস্টিক করিডোর হয়ে উঠছে, যা পরিবহনের খরচ কমাচ্ছে এবং মিজোরামের অর্থনৈতিক ও পরিকাঠামোগত বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।

*****

PS/DM


(रिलीज़ आईडी: 2204434) आगंतुक पटल : 7
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English