PIB Headquarters
azadi ka amrit mahotsav

পূর্ণবেগে পুনরুজ্জীবন: চিতার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

प्रविष्टि तिथि: 12 DEC 2025 2:43PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

 

মূল বিষয়সমূহ 

বিশ্বের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় বৃহৎ মাংসাশী প্রাণীর পুনর্বাসন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে; নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে (২০২২–২৩) ২০-টি চিতা ভারতে এসেছে।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগতভাবে প্রথম আটটি চিতাকে মুক্ত করেন।
ডিসেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী ভারতে মোট ৩০-টি চিতা রয়েছে, ১২-টি প্রাপ্তবয়স্ক, নয়টি উপ-প্রাপ্তবয়স্ক এবং নয়টি শাবক, যার মধ্যে ১১-টি প্রতিষ্ঠাতা প্রাণী এবং ১৯-টি ভারতে জন্মানো চিতা।


ভারতে জন্ম নেওয়া প্রথম চিতা মেয়ে মুখি নিজেই এখন পাঁচটি সুস্থ শাবকের মা হয়েছে।
কুনো অঞ্চলে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য ৪৫০-র বেশি চিতা মিত্র, ৩৮০-টি প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান এবং ৫% ইকো-ট্যুরিজম রাজস্বের ভাগ সৃষ্টি হয়েছে।
১৭,০০০ বর্গকিমি এলাকাজুড়ে ২০৩২ সালের মধ্যে ৬০–৭০-টি চিতার একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মেটা-পপুলেশন গঠন করার পথে ভারত দ্রুত এগোচ্ছে, এবং গান্ধীসাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য পরবর্তী পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত।

ভূমিকা

২০২২-এর এক সোনালি সেপ্টেম্বরের সকালের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে নামিবিয়ার সাভানা থেকে আসা আটটি রাজসিক চিতার পা প্রথমবারের মতো ভারতীয় ভূমিতে পড়ে, যেটি বহু দশক ধরে অনুপস্থিত একটি প্রজাতির প্রত্যাবর্তনের ঐতিহাসিক সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে এই উদ্বোধনী মুহূর্তটি ‘প্রজেক্ট চিতা’র সূচনা করে, যা বিশ্বের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় বৃহৎ মাংসাশী প্রাণীর পুনর্বাসন প্রকল্প।

২০২৫ সালের নভেম্বর নাগাদ মুখি, ভারতে জন্মানো প্রথম চিতা শাবক, নিজেই পাঁচটি সুস্থ শাবকের জন্ম দিয়েছে, যা কেবল জৈব পুনর্জাগরণ নয়, বরং প্রকৃতির সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষায় মানবীয় অভিভাবকত্বের এক গভীর প্রতীক। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক (MoEFCC)-এর অধীনে এবং জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (NTCA)-র নেতৃত্বে চালু হওয়া প্রজেক্ট চিতা ভারতের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় এক অটল প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিত্ব করে। ২০১৩ সালের অ্যাকশন প্ল্যান এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করে এই প্রকল্পের লক্ষ্য ১৯৫২ সালে ভারতে বিলুপ্ত ঘোষণা করা এশীয় চিতাকে (Acinonyx jubatus) পুনরায় ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রতিষ্ঠিত করা, একটি ‘ফ্ল্যাগশিপ’ প্রজাতি হিসেবে, যা বিস্তীর্ণ ভূদৃশ্য জুড়ে পরিবেশগত ভারসাম্য শক্তিশালী করবে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: বিলুপ্তি থেকে নবজাগরণ

ভারতে বন্য চিতার শেষ নিশ্চিত দেখা পাওয়া যায় ১৯৪৭ সালে, যখন বর্তমান ছত্তিশগড়ের কোরিয়া জেলার সাল বনাঞ্চলে তিনটি চিতা শিকার করা হয়। পাঁচ বছর পর, ১৯৫২ সালে, চিতাকে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়, উপমহাদেশে তার স্বাভাবিক অস্তিত্বের সমাপ্তি নির্দেশ করে। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতার পুনঃপ্রবর্তনের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। ২৪-টি গ্রাম (১,৫৪৫-টি পরিবার) পুনর্বাসনের মাধ্যমে মোট ৬,২৫৮ হেক্টর অবদূষিত তৃণভূমি অঞ্চল সৃজিত হয়, স্বেচ্ছাসেবী পুনর্বাসনের পর যা চিতাদের জন্য নিরাপদ আবাস তৈরি করে।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি ও হস্তক্ষেপ প্রজেক্ট চিতাকে একটি বাস্তব রূপ দিয়েছে - যা বহু দশকের স্বপ্নকে জীবন্ত করে তুলেছে। ২০২২-এর অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় চিতা পুনর্বাসনকে ত্বরান্বিত করা এবং ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ আটটি নামিবিয়ান চিতাকে নিজ হাতে কুনোতে মুক্ত করা পর্যন্ত - তিনি প্রতিটি ধাপে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নামিবিয়া (জুলাই ২০২২) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (জানুয়ারি ২০২৩)-এর সঙ্গে উচ্চস্তরের MoU কার্যকর করা, ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে নাগরিকদের চিতার নামকরণে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা, ২০২৩ সালে ভারতের প্রথম চিতা শাবকদের জন্ম এবং ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় প্রজন্মের শাবকদের আগমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক নিয়মিতভাবে তুলে ধরা, সবকিছুতেই তাঁর নেতৃত্ব সুস্পষ্ট। ডিসেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী, ভারতে মোট ৩০-টি চিতা রয়েছে - ১২-টি প্রাপ্তবয়স্ক, নয়টি উপ-প্রাপ্তবয়স্ক এবং নয়টি শাবক - যার মধ্যে ১১-টি প্রতিষ্ঠাতা প্রাণী এবং ১৯-টি ভারতে জন্মানো চিতা।

উদ্দেশ্য এবং কৌশলগত কাঠামো

প্রজেক্ট চিতার লক্ষ্য বহুমাত্রিক, কুনো–গান্ধীসাগরের  ১৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ৬০–৭০-টি চিতার একটি সক্ষম মেটা-পপুলেশন প্রতিষ্ঠা করা, উন্মুক্ত বন ও তৃণভূমি পুনরুদ্ধার করা, এবং উন্নত কার্বন সিঙ্কের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করা। প্রজেক্ট চিতার অধীনে চিতাকে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রজাতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী চিতার পুনর্প্রবর্তনকে ব্যবহার করা হবে অবহেলিত তৃণভূমি ও অর্ধ-শুষ্ক বাস্তুসংস্থানের পুনরুদ্ধারে, যা শিকার প্রজাতি এবং তৃণভূমি-নির্ভর অন্যান্য জীববৈচিত্র্যেরও উপকারে আসবে।

পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন পরিবেশগত সতর্কতা নিশ্চিত করে নিম্নরূপে:

প্রজননক্ষম, বৈচিত্র্যময়, রোগমুক্ত, শিকার-সক্ষম এবং সামাজিকভাবে উপযোগী ১২–১৪-টি বুনো চিতাকে প্রতিষ্ঠাতা স্টক হিসেবে প্রথম পাঁচ বছরে কুনো জাতীয় উদ্যানে ৭৪৮ বর্গকিমি মূল অঞ্চলে এবং পরবর্তীতে ৩,২০০ বর্গকিমি ভূদৃশ্যে ছাড়া হবে। এদের উৎস হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া বা অন্যান্য আফ্রিকান দেশ। প্রয়োজনে অতিরিক্ত চিতাও আনা হবে।

গান্ধীসাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে (৩৬৮ বর্গকিমি সংরক্ষিত এলাকা, ২,৫০০ বর্গকিমি সম্ভাব্য আবাস), যা কুনো থেকে প্রায় ৩০০ কিমি দূরে, এর সঙ্গে মেটা-পপুলেশন সংযোগ স্থাপন করা হবে। দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হল, পুনরুদ্ধারমূলক ব্যবস্থা এবং শিকার প্রজাতির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার পর বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা-সহ কুনো–গান্ধী সাগর ভূদৃশ্যে ৬০–৭০টি চিতার মেটা-পপুলেশন গড়ে তোলা।

মাইলফলক এবং সাফল্য: তথ্যভিত্তিক এক বিজয়গাথা

প্রজেক্ট চিতার সাফল্যের খতিয়ান উদ্ভাবন ও স্থিতিস্থাপকতায় সমৃদ্ধ। ফেব্রুয়ারি ২০২৩ নাগাদ ২০-টি চিতা - নামিবিয়া থেকে আটটি (পাঁচটি স্ত্রী, তিনটি পুরুষ) এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২-টি (পাঁচটি স্ত্রী, সাতটি পুরুষ) - ভারতীয় বায়ুসেনার C-17 Globemaster বিমানে আনা হয়, যা ৭,৯০০ কিমিরও বেশি পথ অতিক্রম করেছিল কোনো প্রাণহানি ছাড়াই- একটি অনন্য সরবরাহের সফল উদাহরণ।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: সমন্বিত অভিভাবকত্বের সুর

আন্তর্জাতিক "বিগ ক্যাট" জোট 

বিশ্বের সাতটি বড় বিড়াল প্রজাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক "বিগ ক্যাট" জোট  (IBCA) ভারতকে বিশ্বব্যাপী সংরক্ষণ নেতৃত্বে এক উচ্চতর স্থানে নিয়ে গেছে। এর সদর দপ্তর ভারতে এবং ২০২৭–২৮ পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য ১৫০ কোটি টাকার বাজেটীয় সহায়তা রয়েছে। ৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ‘প্রজেক্ট টাইগার’-এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। জোটটির উদ্দেশ্য সীমান্ত-পারাপার সহযোগিতা, সমন্বিত গবেষণা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরকে শক্তিশালী করা, যা ভারতকে বড় বিড়াল সংরক্ষণে সার্বিক কেন্দ্র হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে।

উপসংহার: বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতির আমন্ত্রণ

প্রজেক্ট চিতা শুধু পুনঃপ্রবর্তন নয়; এটি ভারতের পরিবেশগত সুরের প্রতি এক অনন্য নিবেদন, যেখানে বিজ্ঞান, কূটনীতি এবং সম্প্রদায় মিলিত হয়ে ক্ষতবিক্ষত বন্য প্রকৃতিকে আরোগ্য দেয়। ভারতে চিতারা সাফল্যের সঙ্গে বেঁচে উঠছে, এটি বিশ্বের জন্য এক উদযাপনের আহ্বান, CBD সদস্যদেশগুলির জন্য এক মডেল, যেখানে বিলুপ্তির প্রতিধ্বনি আবার গর্জে ওঠে। এই গল্প অনুপ্রেরণা দিক: ভারতের তৃণভূমিতে আশা চিরদিনই ধাব্যমান।

তথ্যসূত্র 

Press Information Bureau (PIB)

 

National Tiger Conservation Authority

 

Ministry of Environment, Forest and Climate Change

 

Supreme Court of India

 

Convention on Biological Diversity

 

Cheetah.org

 

 PM India

Click here to download PDF

****

SSS/SS


(रिलीज़ आईडी: 2203200) आगंतुक पटल : 6
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , हिन्दी