PIB Headquarters
azadi ka amrit mahotsav

ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল, ২০২৫

বিজ্ঞান থেকে সমৃদ্ধি: আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে

प्रविष्टि तिथि: 05 DEC 2025 12:55PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ 

 

মূল বিষয়

আইআইএসএফ ২০২৫-এ ভারত ও বিদেশ থেকে ৪০,০০০-এরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন।
এই অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন জুড়ে ১৫০-টিরও বেশি প্রযুক্তিগত ও বিষয়ভিত্তিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।


এটি জৈবপ্রযুক্তি, মহাকাশ,কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এবং ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের সংহতকরণ সহ পাঁচটি বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হবে।

সূচনা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে ২০১৫ সালে শুরু হওয়া ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল অর্থাৎ ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসব বৈজ্ঞানিক মানসিকতা প্রচার এবং বিজ্ঞানে জনসাধারণের অংশগ্রহণের জন্য ভারতের অন্যতম বৃহৎ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এর লক্ষ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারতের ক্রমবর্ধমান বিশ্ব নেতৃত্বকে তুলে ধরা, বৈজ্ঞানিক সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করা, জনসাধারণের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রতিভা বিকাশের জাতীয় লক্ষ্যকে সমর্থন করা। এটি বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি এবং নীতিনির্ধারকদের একত্রিত করে সহযোগিতা, উদ্ভাবন বিনিময় এবং বহির্বিশ্বে কার্যক্রম পরিচালনার একটি মঞ্চ হিসেবে কাজ করে।
একাদশ ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫: মূল ভাবনা এবং দূরদৃষ্টি 
১১-তম ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসব অর্থাৎ IISF ২০২৫ সালের ০৬ থেকে ০৯ ডিসেম্বর হরিয়ানার পাঁচকুলাতে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রধান অনুষ্ঠানটিতে প্রদর্শনী, ব্যবসায়িক বৈঠক, প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা গবেষণাগার ও সমাজের মধ্যেকার দূরত্ব হ্রাস করবে। এর মূল লক্ষ্য  ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার সেতুবন্ধন তৈরি করা।

এই বছরের মূল ভাবনা - "বিজ্ঞান থেকে সমৃদ্ধি: আত্মনির্ভর ভারতের জন্য", যার উদ্দেশ্য একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ ভারতের জন্য বিজ্ঞান-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের চেতনাকে উদযাপন করা এবং জাতীয় উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে বিজ্ঞানের ভূমিকাকে তুলে ধরা।

এছাড়াও, আইআইএসএফ ২০২৫ প্রধানত পাঁচটি বিস্তৃত বিষয়ের উপর মনোযোগ দেবে: উত্তর-পশ্চিম ভারত ও হিমালয় অঞ্চলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বাস্তুবিদ্যা; সমাজ ও শিক্ষার জন্য বিজ্ঞান; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারত; জৈবপ্রযুক্তি এবং জৈব-অর্থনীতি; এবং ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের সংহতকরণ। উৎসবের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্রকে আরও শক্তিশালী করার জন্য বিজ্ঞানী মহিলা, স্কুলছাত্রছাত্রী, তরুণ উদ্যোক্তা এবং নতুন গবেষকদের জন্য বিশেষ অধিবেশনও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
উৎসবটি "উদ্ভাবন। আত্মনির্ভরতা। বিশ্ব কল্যাণে ভারত" নামক বৃহত্তর দূরদৃষ্টি অনুসরণ করে, যা জাতীয় অগ্রাধিকারকে সমর্থন করতে এবং বিশ্বব্যাপী অগ্রগতিতে অবদান রাখতে গবেষণা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ব্যবহারকে উৎসাহিত করে। মূল ভাবনা এবং দূরদৃষ্টি - এই দুটি একত্রিতভাবে বিজ্ঞান - নেতৃত্বাধীন সমৃদ্ধির ওপর জোর দেয়, শিল্প এবং সমাজে জ্ঞানের ব্যবহারকে উৎসাহিত করে এবং জাতীয় ও বিশ্ব কল্যাণে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতির ওপর আলোকপাত করে।
কর্মসূচি ও মূল উপাদানসমূহ
আইআইএসএফ ২০২৫-এ ভারত ও বিদেশ থেকে ৪০,০০০-এরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং শিল্প জুড়ে ১৫০টিরও বেশি প্রযুক্তিগত ও বিষয়ভিত্তিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বায়ো-ইকোনমি, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, এবং জিন এডিটিং-এর মতো অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলি তুলে ধরা হবে। এছাড়া, এই উৎসবে ছাত্রছাত্রী, যুবসমাজ, মহিলা বিজ্ঞানী এবং আঞ্চলিক জলবায়ু বিজ্ঞান নিয়ে বিশেষ অধিবেশন রাখা হয়েছে, যেখানে জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির বিশেষজ্ঞরা ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে মনোযোগ দেবেন।


অংশগ্রহণকারীর রূপরেখা
এটি একটি বহু-অংশীদারিত্বমূলক মঞ্চ। এটি জাতীয় গবেষণাগার, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলির বিজ্ঞানী এবং গবেষক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, স্টার্টআপ, শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারী, বিজ্ঞান যোগাযোগকারী ও মিডিয়া পেশাদার, মহিলা বিজ্ঞানী এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নীতিনির্ধারকদের একত্রিত করবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে জ্ঞান বিনিময় জোরদার হবে এবং প্রযুক্তি প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্যোগে বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
আইআইএসএফ ২০২৫-এর সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানসমূহ
এই বছর আইআইএসএফ ২০২৫ ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক দ্বারা আয়োজিত হবে এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজি, পুণে দ্বারা সমন্বিত হবে। এর মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রগুলিকে জাতীয় বিজ্ঞানের অগ্রাধিকারগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাবিদ অংশীদারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
সহযোগী মন্ত্রকগুলি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ  কোয়ান্টাম, এআই এবং উন্নত প্রযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে বিশেষজ্ঞ সেশন পরিচালনা করে। 
জৈবপ্রযুক্তি বিভাগ  জিনোমিক্স, জৈব-উৎপাদন এবং স্বাস্থ্য প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রে জাতীয় জৈব-মিশন ও গবেষণা থেকে তথ্য সরবরাহ করে।
কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ তাদের গবেষণাগার এবং ডোমেন বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে, যেখানে মহাকাশ, পরিচ্ছন্ন শক্তি, রাসায়নিক, উপাদান, সেন্সর, পরিবেশগত সমাধান এবং ফলিত প্রকৌশলের মতো ক্ষেত্রে প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়।
মহাকাশ বিভাগ  স্যাটেলাইট, উৎক্ষেপণ যান এবং মহাকাশ প্রয়োগের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক গবেষণা ও উন্নয়ন  তুলে ধরে।
পারমাণবিক শক্তি বিভাগ  পারমাণবিক বিজ্ঞান, বিকিরণ প্রযুক্তি, চিকিৎসা আইসোটোপ, উন্নত উপকরণ এবং গবেষণা পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে চলমান কাজ প্রদর্শন করে বিশেষজ্ঞ ও বৈজ্ঞানিক সামগ্রী সরবরাহ করে।

বিজ্ঞান ভারতী  প্রচারের অংশীদার হিসাবে কাজ করে, যা সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ, ছাত্রছাত্রীদের যোগদান এবং স্কুল, কলেজ ও কমিউনিটি-ভিত্তিক বিজ্ঞান গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকে সহজ করে তোলে।
আইআইএসএফ-এর পূর্ববর্তী সংস্করণসমূহ: মূল বিশেষত্ব
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ২০১৫ সালে শুরু হওয়া ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসব  বৈজ্ঞানিক মানসিকতা প্রচার এবং বিজ্ঞানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের জন্য দেশের অন্যতম বৃহৎ মঞ্চে পরিণত হয়েছে। স্বদেশী চেতনার দ্বারা পরিচালিত এই উৎসবটি ভারত ও বহির্বিশ্বের বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য অংশীদারদের একত্রিত করে দেশের ও মানবজাতির কল্যাণে বিজ্ঞান চর্চার আনন্দ অনুভব করার সুযোগ সৃষ্টি করে। বছরের পর বছর ধরে, এটি  উদ্ভাবনী কর্মসূচির মাধ্যমে বিজ্ঞানকে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন দিকের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
২০১৫ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে এই উৎসবটি ভারতের বিভিন্ন প্রধান শহরে আয়োজিত হয়েছে - যেমন দিল্লি (২০১৫ ও ২০১৬), কলকাতা (২০১৮), লক্ষ্ণৌ (২০১৯), চেন্নাই (২০২০), গোয়া (২০২১), ভোপাল (২০২২), ফরিদাবাদ (২০২৩) এবং অসম (২০২৪)।

কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়েও এটি ভার্চুয়াল ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিল। প্রতি বছর অংশগ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এটি তার মূল লক্ষ্য, অর্থাৎ ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান ব্যবস্থার সঙ্গে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার সেতুবন্ধন এবং ভারতের দেশীয় জ্ঞান ঐতিহ্যের সঙ্গে সমসাময়িক বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের যোগসূত্রকে শক্তিশালী করেছে।

উপসংহার

২০১৫ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে আইআইএসএফ এক দশক ধরে দেশের উন্নয়নমূলক এজেন্ডার কেন্দ্রে বিজ্ঞানকে স্থাপন করার জাতীয় প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এই উৎসব বৈজ্ঞানিক আদান-প্রদান, উদ্ভাবন এবং জনসংযোগের একটি প্রধান প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

২০২৫ সালের উৎসবটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে জাতীয় অগ্রাধিকারের সঙ্গে যুক্ত করে, বিভিন্ন মন্ত্রক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ, শিল্প এবং সুশীল সমাজের মধ্যে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, আঞ্চলিক জ্ঞান, ঐতিহ্যবাহী প্রজ্ঞা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে আইআইএসএফ ২০২৫ বিজ্ঞান-নেতৃত্বাধীন অগ্রগতির পথে ভারতের অঙ্গীকারকে জোরদার করে এবং আত্মনির্ভর ভারত গঠনের বৃহত্তর স্বপ্নকে সমর্থন করে।

তথ্যসূত্র

Ministry of Earth Sciences

IISF 2019

Ministry of Science & Technology

Regional Centre for Biotechnology (RCB)

Department of Biotechnology (DBT)

Science India Fest

Special Service and Features

IISF 2025

 

SSS/AS


(रिलीज़ आईडी: 2199713) आगंतुक पटल : 4
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , हिन्दी , Gujarati , Tamil