PIB Headquarters
ভারতের গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিকাশ
১ লক্ষ কোটি টাকার RDI প্রকল্প ভারতের গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি এনেছে
Posted On:
04 NOV 2025 5:27PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫
মূল বিষয়বস্তু
১ লক্ষ কোটি টাকার RDI প্রকল্প চালু, যা বেসরকারি নেতৃত্বাধীন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে।
ভারতের গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) ব্যয় ২০১০–১১ সালে ৬০,১৯৬ কোটি টাকা থেকে ২০২০–২১ সালে ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকাতে পৌঁছেছে।
মোট R&D ব্যয়ের ৪৩.৭% কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে।
ভূমিকা
ভারতের গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) পরিকাঠামো দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা উদ্ভাবন-নির্ভর প্রবৃদ্ধির উপর জাতীয় জোর দ্বারা চালিত। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্পষ্ট নীতিগত দিকনির্দেশ, কৌশলগত তহবিল এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের সহায়তায়। এটি ভারতের সেই আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে যা আত্মনির্ভর, জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মূল চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করে।
সরকার “বিকশিত ভারত@২০৪৭”-এর যাত্রাপথে R&D-কে কেন্দ্রে রেখেছে। সরকার বিশ্বাস করে যে স্বাস্থ্য, শক্তি, ডিজিটাল রূপান্তর ও উৎপাদন ক্ষেত্রে অগ্রগতি বিজ্ঞানের মাধ্যমেই সম্ভব। জন ও বেসরকারি অংশগ্রহণ গভীর করা, একাডেমিয়া ও শিল্পের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং উদীয়মান প্রযুক্তিকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে একটি গতিশীল উদ্ভাবনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ভারত এগিয়ে চলেছে, গবেষণা ও উদ্ভাবনই সুস্থায়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি।
ভারতের R&D ব্যয় এবং প্রবৃদ্ধির ধারা
গত দশকে ভারতের গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রতি প্রতিশ্রুতি ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। সরকারের নীতিগত দৃষ্টি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ধারাবাহিক R&D ব্যয়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
মূল প্রবণতা ও পরিসংখ্যান:
ভারতের মোট গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যয় (GERD) ২০১০–১১ সালের ₹৬০,১৯৬.৭৫ কোটি থেকে ২০২০–২১ সালে ₹১,২৭,৩৮০.৯৬ কোটিতে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
মাথাপিছু R&D ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে—২০০৭–০৮ সালে PPP$ ২৯.২ থেকে ২০২০–২১ সালে PPP$ ৪২.০ এ পৌঁছেছে। (PPP অর্থাৎ ক্রয়ক্ষমতা সাম্য, যা বিভিন্ন দেশের দামের পার্থক্য সমন্বয় করে প্রকৃত ব্যয়ের তুলনা নির্ভুলভাবে করতে সাহায্য করে।)
মোট GERD-এর প্রায় ৬৪% সরকারি ক্ষেত্রের এবং ৩৬% বেসরকারি ক্ষেত্রের অবদান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের NSF-এর Science and Engineering (S&E) Indicators 2022 অনুযায়ী, ভারত ২০১৮–১৯ সালে মোট ৪০,৮১৩-টি ডক্টরেট প্রদান করেছে, যার মধ্যে ২৪,৪৭৪টি (৬০%) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। ভারত বিশ্বে S&E পিএইচডির সংখ্যায় তৃতীয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৪১,০৭১) ও চীনের (৩৯,৭৬৮) পরে।
ভারতে দাখিল হওয়া পেটেন্টের সংখ্যা ২০২০–২১ সালের ২৪,৩২৬ থেকে ২০২৪–২৫ সালে প্রায় তিনগুণ বেড়ে ৬৮,১৭৬-এ পৌঁছেছে, যা দেশীয় উদ্ভাবনের এক বড় উত্থান নির্দেশ করে।
গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন (RDI) প্রকল্প
২০২৫ সালের ৩ নভেম্বর চালু হওয়া ₹১ লক্ষ কোটি টাকার গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন (RDI) প্রকল্প ভারতের গবেষণা ও উন্নয়ন পরিকাঠামো শক্তিশালী করার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের লক্ষ্য বেসরকারি ক্ষেত্র–নেতৃত্বাধীন উদ্ভাবন পরিবেশ গড়ে তোলা, যা দেশের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে।
ESTIC 2025
RDI প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ৩ নভেম্বর Emerging Science, Technology and Innovation Conclave (ESTIC) 2025-এর উদ্বোধনের সময় চালু হয়।
ESTIC-2025 বর্তমানে নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে ৩ থেকে ৫ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি ভারতের অন্যতম বার্ষিক প্রধান বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন প্ল্যাটফর্ম, যা অ্যাকাডেমিয়া, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শিল্প, ও সরকার থেকে ৩,০০০-এরও বেশি অংশগ্রহণকারী, নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত, শীর্ষ বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক ও নীতিনির্ধারকদের একত্রিত করেছে।
“বিকশিত ভারত ২০৪৭ – সুস্থায়ী উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও ক্ষমতায়ন”-এই থিমের উপর ভিত্তি করে ESTIC-এ রয়েছে নোবেলজয়ীদের মূল বক্তব্য, ১১-টি বিষয়ভিত্তিক প্রযুক্তিগত অধিবেশন, প্যানেল আলোচনা, ৩৫-টিরও বেশি ডিপ-টেক স্টার্ট-আপ ও স্পনসর স্টলের প্রদর্শনী, এবং তরুণ বিজ্ঞানীদের পোস্টার উপস্থাপনা। এই সমস্ত উপাদান একত্রে উদ্ভাবনকে অনুপ্রাণিত করে, সহযোগিতা বৃদ্ধি করে এবং “বিকশিত ভারত @২০৪৭”-এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি রোডম্যাপ নির্ধারণে সহায়তা করে।
বেসরকারি ক্ষেত্রের উদ্ভাবন ও গবেষণার বাণিজ্যিকীকরণে ভূমিকা স্বীকার করে, RDI প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন বা পুনর্অর্থায়ন সুবিধা প্রদান করে—নিম্ন বা শূন্য সুদের হারে। এটি বিশেষ করে উদীয়মান ও কৌশলগত ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছে।
এই প্রকল্প বেসরকারি গবেষণার অর্থায়নের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলির সমাধানেও মনোযোগ দেয় - বৃদ্ধি ও ঝুঁকি পুঁজির ব্যবস্থা করে। এটি উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা, প্রযুক্তি গ্রহণকে প্রসারিত করা এবং উদীয়মান ক্ষেত্রগুলিতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্ব দেয়।
RDI প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যসমূহ:
বেসরকারি অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা: উদীয়মান ক্ষেত্র ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনকে প্রসারিত করা।
রূপান্তরমূলক প্রকল্পে অর্থায়ন: প্রযুক্তির উচ্চস্তরের প্রস্তুতি সম্পন্ন প্রকল্পগুলিকে ধারণা থেকে বাজারে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।
গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি অর্জনে সহায়তা: কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি অর্জনের সুযোগ তৈরি করা।
ডিপ-টেক ফান্ড অফ ফান্ডস গঠন: গভীর প্রযুক্তিনির্ভর স্টার্ট-আপ ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করা।
উদ্ভাবনের প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত কাঠামো
ভারতের উদ্ভাবন যাত্রা দৃঢ় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নীতি পদক্ষেপ দ্বারা পরিচালিত। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সরকার বৈজ্ঞানিক গবেষণা শক্তিশালী করা, বেসরকারি অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা এবং প্রযুক্তিনির্ভর প্রবৃদ্ধির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে একাধিক সংস্কার নিয়েছে। এর উদ্দেশ্য—ভারতকে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
অনুসন্ধান জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন (ANRF)
“অনুসন্ধান জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন” (ANRF) ২০২৩ সালের “অনুসন্ধান জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন আইন” (২৫ অব ২০২৩) অনুযায়ী, গঠিত হয় এবং ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কার্যকর হয়। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা কার্যক্রমে উচ্চস্তরের কৌশলগত দিকনির্দেশ প্রদান করে।
এই ফাউন্ডেশন ২০২৩–২৮ মেয়াদে ₹৫০,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে, যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অবদান ₹১৪,০০০ কোটি, এবং বাকি অর্থ আসবে বেসরকারি খাত ও দাতব্য সংস্থা থেকে। ANRF অ্যাকাডেমিয়া ও শিল্পের সংযোগ দৃঢ় করার পাশাপাশি, জাতীয় অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চ-প্রভাব গবেষণাকে উৎসাহিত করবে।
জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি, ২০২২
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ঘোষিত জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতকে বৈশ্বিক ভূ-স্থানিক ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে লক্ষ্য স্থির করেছে। নীতিটি ভূ-স্থানিক তথ্যের প্রবেশাধিকার উদার করেছে, যাতে প্রশাসন, ব্যবসা ও গবেষণায় এর ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। এটি জাতীয় ও উপ-জাতীয় স্তরে ভূ-স্থানিক পরিকাঠামো, সেবা ও প্ল্যাটফর্মের বিকাশকে উৎসাহিত করে।
নীতির একটি মূল লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-রেজোলিউশনযুক্ত ভূ-পৃষ্ঠ মানচিত্রণ ও সার্বিক ডিজিটাল এলিভেশন মডেল তৈরি করা। এটি নাগরিক-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে, যাতে সরকারি অর্থে সংগৃহীত তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে।
ভারতীয় মহাকাশ নীতি, ২০২৩
২০২৩ সালে অনুমোদিত ভারতীয় মহাকাশ নীতি ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ ও অগ্রদৃষ্টিসম্পন্ন কাঠামো সৃষ্টি করে। এটি ২০২০ সালের মহাকাশ সংস্কারের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। নীতির উদ্দেশ্য মহাকাশ সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক মহাকাশ শিল্প গঠন এবং সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল “IN-SPACe” প্রতিষ্ঠা, একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি সংস্থা, যা মহাকাশ কার্যক্রমকে উৎসাহিত, অনুমোদন ও নির্দেশনা দেয়। এটি ব্যবসা করার সুবিধা বৃদ্ধি করে এবং অংশগ্রহণকারীদের জন্য সমান ক্ষেত্র নিশ্চিত করে।
BioE3 নীতি, ২০২৪
২০২৪ সালের আগস্টে অনুমোদিত BioE3 নীতি (Biotechnology for Economy, Environment and Employment) ভারতের বায়োটেকনোলজি খাতে বড় সংস্কার এনেছে। এটি ছয়টি থিম্যাটিক ক্ষেত্রে উদ্ভাবন-নির্ভর গবেষণা ও উদ্যোক্তা উন্নয়নকে উৎসাহিত করে। নীতির আওতায় বায়োম্যানুফ্যাকচারিং ও Bio-AI হাব এবং জাতীয় Biofoundry নেটওয়ার্ক গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে, যা প্রযুক্তি বিকাশ ও বাণিজ্যিকীকরণকে ত্বরান্বিত করবে।
এই নীতি জৈব শিল্পায়নকে উৎসাহিত করে, যা সুস্থায়ী ও বৃত্তাকার অর্থনীতির ধারণাকে শক্তিশালী করে। এটি জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের মতো জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে, পাশাপাশি, একটি পোক্ত বায়োম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম তৈরি করে।
অটল ইনোভেশন মিশন (AIM) 2.0
২০১৬ সালে নীতি আয়োগের অধীনে চালু হওয়া অটল ইনোভেশন মিশন (AIM) উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের অন্যতম প্রধান উদ্যোগ। এর লক্ষ্য স্কুলে সমস্যা সমাধানমুখী চিন্তাধারা গড়ে তোলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত ও MSME-তে উদ্যোক্তা পরিবেশ সৃষ্টি করা।
মিশনের আওতায় রয়েছে স্কুলে “অটল টিঙ্কারিং ল্যাব” এবং বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেটে “অটল ইনকিউবেশন সেন্টার” স্থাপন। সম্প্রতি কেন্দ্র AIM-এর মেয়াদ মার্চ ২০২৮ পর্যন্ত বাড়িয়েছে, ₹২,৭৫০ কোটি বাজেট-সহ।
AIM একটি সর্বাঙ্গীণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পে উদ্ভাবনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে। AIM 2.0-এর অধীনে এর পরিধি আরও বাড়ানো, বিদ্যমান ইনকিউবেশন নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা এবং MSME-র সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো হবে।
এই উদ্যোগ “বিকশিত ভারত”-এর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা তৈরি করবে, যা তরুণ উদ্ভাবকদের লালন করবে এবং উদীয়মান স্টার্ট-আপকে সমর্থন দেবে।
জাতীয় মিশন অত্যাধুনিক গবেষণার চালিকাশক্তি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব অর্জনের জন্য ভারতের প্রয়াস একাধিক জাতীয় মিশনের মাধ্যমে চালিত হচ্ছে, যা উদীয়মান এবং উচ্চ-প্রভাবশালী ক্ষেত্রগুলিকে লক্ষ্য করে তৈরি হয়েছে। এই মিশনগুলি দেশীয় গবেষণা ও উন্নয়ন বিকাশকে শক্তিশালী করতে, সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এবং অগ্রণী বিভাগগুলিতে উন্নত পরিকাঠামো তৈরি করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিটি মিশন একটি স্ব-নির্ভর উদ্ভাবনী বাস্তুতন্ত্র গঠনে অবদান রাখে এবং ভারতকে পরবর্তী-প্রজন্মের প্রযুক্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে স্থান দেয়।
ন্যাশনাল কোয়ান্টাম মিশন
২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদিত জাতীয় কোয়ান্টাম মিশনটি কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতে ভারতের অবস্থানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ। ২০২৩-২৪ থেকে ২০৩০-৩১ পর্যন্ত বিস্তৃত এই মিশনটির জন্য ৬,০০৩.৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই মিশনটির লক্ষ্য কোয়ান্টাম কম্পিউটার, নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং উন্নত উপাদান তৈরি করা। এটি কোয়ান্টাম গবেষণার পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার উপর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ ও শিল্পগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেয়, যাতে ভারত কোয়ান্টাম উদ্ভাবনের একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
ন্যাশনাল মিশন অন ইন্টার ডিসিপ্লিনারি সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেমস
২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার অনুমোদিত ন্যাশনাল মিশন অন ইন্টার ডিসিপ্লিনারি সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেমস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ দ্বারা ৩,৬৬০ কোটি টাকা মোট ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই মিশনটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংস এবং সাইবার সুরক্ষার মত উদীয়মান ক্ষেত্রগুলিতে উন্নয়নকে সমর্থন করে।
দেশের প্রধান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ২৫-টি টেকনোলজি ইনোভেশন হাব স্থাপন করা হয়েছে, যার প্রতিটি একটি প্রধান প্রযুক্তিগত বিভাগে বিশেষজ্ঞ। এই মিশনটি মানুষের কর্মক্ষমতার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিকে তৈরি করে, উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করে এবং ভারত যাতে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলে।
ন্যাশনাল সুপারকম্পিউটিং মিশন
২০১৫ সালে শুরু হওয়া ন্যাশনাল সুপারকম্পিউটিং মিশন এর লক্ষ্য উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটিং-এ ভারতকে স্বনির্ভর করে তোলা। এই উদ্যোগটি ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত অত্যাধুনিক সুপারকম্পিউটিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থাগুলিকে ক্ষমতায়ন করে।
ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন
২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশনটি সেমিকন্ডাক্টর এবং ডিসপ্লে উৎপাদনের জন্য একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। ৭৬,০০০ কোটি টাকার প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ স্কীমের সমর্থনে, যার মধ্যে ৬৫,০০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা হয়েছে, এই মিশনটি চিপ ডিজাইন, ফেব্রিকেশন এবং উন্নত প্যাকেজিং-এ বিনিয়োগকে সমর্থন করে।
ভারত ইতিমধ্যেই ছয়টি রাজ্যে ১০-টি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে , যার মধ্যে ওড়িশাতে প্রথম বাণিজ্যিক সিলিকন কার্বাইড ফ্যাব্রিকেশন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত। মোট ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে, আইএসএম ভারতকে আন্তর্জাতিক সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি মূল সংযোগ এবং ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের একটি প্রধান গন্তব্য হিসাবে স্থান দিচ্ছে।
ডীপ ওশান মিশন
ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের অধীনে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ডিপ ওশান মিশনের উদ্দেশ্য সমুদ্রের সম্পদকে সঠিকভাবে খুঁজে বের করা ও ব্যবহার করা। পাঁচ বছরে ৪,০৭৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের এই প্রকল্পটি ভারতের ব্লু ইকোনমি বা নীল অর্থনীতি পরিকল্পনার অংশ।
এই মিশনের প্রধান লক্ষ্য গভীর সমুদ্রের গবেষণা, সম্পদের মানচিত্র তৈরি এবং সামুদ্রিক প্রাণীদের রক্ষার জন্য নতুন প্রযুক্তি বানানো। ভারতের ৭,৫১৭ কিলোমিটার উপকূলরেখা এবং গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র অবস্থানের কারণে, এই উদ্যোগটি সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সমুদ্র গবেষণার (২০২১-২০৩০) কর্মসূচিতেও সাহায্য করছে।
ইন্ডিয়া এআই মিশন
২০২৪ সালের মার্চ মাসে মন্ত্রীসভা অনুমোদিত, ১০,৩৭১.৯২ কোটি টাকার বাজেট সহ ইন্ডিয়াএআই মিশনটি ("ভারতে এআই তৈরি করা এবং ভারতের জন্য এআইকে কাজে লাগানো") এই দৃষ্টিভঙ্গিটিকে মূর্ত করে তোলে।
এটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে, যেখানে স্টার্টআপ, গবেষক এবং শিল্পগুলির জন্য সহজলভ্য এআই প্রযুক্তি নিশ্চিত করতে প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ১০,০০০ জিপিইউ থেকে বাড়িয়ে ৩৮,০০০ জিপিইউতে উন্নীত করা হয়েছে। এই মিশনটি এআই উদ্ভাবন, প্রশাসনিক কাঠামো এবং দক্ষতা উন্নয়নের উপরও মনোযোগ দেয়, যা ভারতকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে উঠে আসার মঞ্চ তৈরি করে দিচ্ছে।
ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই)
ভারতের গবেষণা ও উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গিকে ত্বরান্বিত করা
ভারতের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার দেশের গবেষণা ও উদ্ভাবন বাস্তুতন্ত্রের একটি শক্তিশালী সহায়ক হিসেবে উঠে এসেছে। প্রযুক্তিকে সহজলভ্যতা, স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার সঙ্গে একীভূত করার মাধ্যমে, এটি দ্রুত জ্ঞান বিনিময়, তথ্য-চালিত গবেষণা এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণকে সমর্থন করে। বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং উদ্যোগমূলক অগ্রগতি যে ভিত্তির ওপর উন্নতি লাভ করতে পারে, ডিপিআই সেই অপরিহার্য ভিত্তি সরবরাহ করে।
আন্তঃব্যবহারযোগ্য প্ল্যাটফর্ম এবং উন্মুক্ত মানের উপর নির্মিত ভারতের ডিপিআই, উদ্ভাবক, গবেষক এবং শিল্পগুলিকে বৃহৎ পরিসরে সহযোগিতা ও নির্মাণ করতে ক্ষমতা যোগায়। নির্বিঘ্ন আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে নিরাপদ পরিচয়ের যাচাইকরণ এবং দক্ষ পরিষেবা প্রদান পর্যন্ত, এই প্লাটফর্মগুলি দেখায় যে কীভাবে ডিজিটাল গভর্নেন্স বৈজ্ঞানিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে চালিত করতে পারে।
ভারতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার হল :
ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস :
ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ২০১৬ সালে চালু হওয়া ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস দেশের ডিজিটাল লেনদেনকে রূপান্তরিত করেছে। এটি একটি অ্যাপের মাধ্যমে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে সংযুক্ত করে, যা সঠিক সময়ে টাকা স্থানান্তর এবং ব্যবসায়ীদের পেমেন্ট করতে সাহায্য করে। ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে, ইউপিআই ২৪.৮৫ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২০ বিলিয়নেরও বেশি লেনদেন পরিচালনা করেছে। আজ, এটি ভারতের ৮৫ % ডিজিটাল পেমেন্ট হয় এবং প্রতি মাসে ১৮ বিলিয়ন লেনদেন করতে সাহায্য করে।
ইউপিআই বিশ্বব্যাপীও প্রসারিত হয়েছে, যা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ফ্রান্স এবং মরিশাস সহ সাতটি দেশে কার্যকর হয়েছে। ফ্রান্সে এর গ্রহণযোগ্যতা ইউরোপীয় পেমেন্টের প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রথম পদক্ষেপকে চিহ্নিত করে, যা ভারতীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনের ব্যাপক প্রসারের ক্ষমতা এবং বিশ্বব্যাপী প্রাসঙ্গিকতা প্রদর্শন করে।
কো-উইন প্লাটফর্ম
কো-উইন প্ল্যাটফর্মটি বৃহৎ-পরিসরের সমন্বয়ের জন্য ডিজিটাল সরঞ্জাম প্রয়োগে ভারতের ক্ষমতা তুলে ধরেছিল। এটি বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ ক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি পরিচালনা করেছিল, যেখানে ২২০ কোটিরও বেশি ডোজ প্রদান করা হয়। কো-উইন জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং সঠিক সময়ের তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে এসেছিল। এর সাফল্য বিশ্বব্যাপী আগ্রহ সৃষ্টি করেছে, এবং বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিজস্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য এই মডেলটি অনুসন্ধান করছে।
ডিজিলকার
ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির আওতায় ২০১৫ সালে চালু হওয়া ডিজিলকার সাধারণ মানুষের নিরাপদে যাচাইকৃত ডিজিটাল নথিগুলি দেখতে সাহায্য করে। এটি বিভিন্ন বিভাগ দ্বারা জারি করা শংসাপত্র এবং সরকারি রেকর্ডগুলির জন্য একটি ডিজিটাল স্টোরেজ স্থান সরবরাহ করে। ২০২৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত, এই প্ল্যাটফর্মে ৬০.৩৫ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী নিবন্ধিত হয়েছেন। শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং গবেষণার উদ্দেশ্যে নথিভুক্তিকরণ সহজ করে ডিজিলকার ডিজিটাল ক্ষমতায়নের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
আধার এবং ই-কেওয়াইসি সিস্টেম
আধার-ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি কাঠামোটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রমাণীকরণকে সহজ, দ্রুত এবং আরও নির্ভরযোগ্য করে তুলেছে। এটি যাচাইকরণ প্রক্রিয়াগুলিকে সুসংগঠিত করে কাগজের কাজ কমায় এবং স্বচ্ছতা বাড়ায়। ২০২৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত, ভারত ১৪৩ কোটিরও বেশি আধার আইডি তৈরি করেছে, যা প্রায় প্রতিটি নাগরিককে একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয় প্রদান করেছে। আধার এখন পরিষেবা প্রদান এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মেরুদণ্ড গঠন করে, যা কল্যাণমূলক প্রকল্প, ব্যাঙ্কিং এবং উদ্ভাবন-সম্পর্কিত প্ল্যাটফর্মগুলিতে নির্বিঘ্ন প্রবেশ নিশ্চিত করে।
ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার
ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নত করতে পারে। আধার প্রমাণীকরণের সাহায্যে, ডিবিটি নিশ্চিত করে যে ভর্তুকি এবং কল্যাণমূলক অর্থ সরাসরি নাগরিকদের কাছে পৌঁছায়, যার ফলে ক্ষতি এবং নকল হওয়া কমিয়ে আনা যায়। ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে, এটি সরকারের ৩.৪৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় করেছে। ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত, ডিবিটির মাধ্যমে মোট স্থানান্তরের পরিমাণ ৪৩.৯৫ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যা জনসেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে আরও শক্তিশালী করছে।
উপসংহার
গবেষণা, উন্নয়ন, এবং উদ্ভাবনের উপর ভারতের ক্রমবর্ধমান মনোযোগ জ্ঞান ও প্রযুক্তির একটি বিশ্বব্যাপি কেন্দ্র হওয়ার সংকল্পকে প্রতিফলিত করে। সাহসী নীতিগত পদক্ষেপ, কৌশলগত তহবিল এবং শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার মাধ্যমে দেশটি বিকশিত ভারত@২০৪৭-এর জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করছে। এএনআরএফ, আরডিআই স্কীম এবং প্রধান জাতীয় মিশনগুলির মধ্যেকার সমন্বয় অগ্রণী প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের মধ্যে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার একটি ঐক্যবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করে। ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রশাসন ও ডেটা সিস্টেমগুলিকে আরও সহজলভ্য ও দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে ভারতের উদ্ভাবনী সক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে, এই প্রয়াসগুলি ভারতের গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রকে এমনভাবে রূপান্তরিত করছে যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক, যা সুস্থায়ী বৃদ্ধিকে চালিত করে এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে ভারতকে একটি শীর্ষস্থানীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।
তথ্যসূত্র
DST:
Prime Minister's Office
Cabinet
Ministry of Science & Technology
Ministry of Commerce & Industry
Click here to see PDF
SSS/SS/AS
(Release ID: 2186808)
Visitor Counter : 6