PIB Headquarters
জি.এস.টি হ্রাসে ত্রিপুরার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে
Posted On:
23 OCT 2025 10:15AM by PIB Agartala
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু
* জি.এস.টি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার ফলে ত্রিপুরায় হস্তচালিত তাঁত, চা, রেশম চাষ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে তুলেছে, গ্রামীণ জীবিকা নির্বাহ এবং বাজারকেও প্রসারকে প্রসারিত করেছে।
* হস্তচালিত তাঁত বস্ত্র: হস্তচালিত তাঁত বস্ত্র এবং সেলাই করা পোশাকের উপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় হয়েছে, যার ফলে এক লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজারেরও বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছে।
* চা: প্যাকেজজাত চায়ের উপর জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে , যার ফলে ৫৪টি চা বাগান এবং ২,৭৭৫ জন ক্ষুদ্র চাষীর আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।
* রেশম চাষ: রেশমের উপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে, যার হলে ১৫,৫৫০ রেশম চাষীর প্রভূত উপকার হয়েছে।
* খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ: জুসের ক্ষেত্রে (কুইন ভ্যারাইটির আনারস সহ) জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে, যার ফলে ২,৮৪৮ টি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট আর্থিক সাশ্রয়ের সুবিধা পাচ্ছে।
ভূমিকা:
উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম রাজ্য ত্রিপুরা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। ত্রিপুরা প্রাকৃতিক সম্পদেও ভরপুর। এর জন্য ত্রিপুরাকে প্রকৃতির কন্যা বলেও অভিহিত করা হয়। এই রাজ্যের ৬০ শতাংশ এলাকা বনভূমির আওতাধীন। চাষযোগ্য জমি রয়েছে ২৪ শতাংশ এলাকা। ত্রিপুরার অর্থনীতি কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। আনারস, কাঁঠাল এবং অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন ফলের মতো বিভিন্ন উদ্যানজাত ফসলের জন্য আদর্শভাবে উপযুক্ত। অনুকূল জলবায়ু এবং ঐতিহ্যবাহী রেশম চাষের পাশাপাশি চায়ের একটি উল্লেখযোগ্য উৎপাদক ত্রিপুরা। অনুকূল জলবায়ুর ফলে রেশম চাষের প্রসারে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে ত্রিপুরায়। উপরন্তু, হস্তচালিত তাঁত, হস্তশিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের জন্য ত্রিপুরার সুখ্যাতি রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এই ক্ষেত্রগুলিতে জিএসটি হার হ্রাসের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাজারে প্রতিযোগিতাকে পুনরুজ্জীবিত করছে। হস্তচালিত তাঁত বস্ত্র, সেলাই করা পোশাক, কয়েক ধরনের চা এবং রেশম চাষের পণ্যের জন্য করের স্ল্যাব হ্রাস করায় স্থানীয় কারিগর, তাঁতি এবং কৃষকদের উৎপাদিত সামগ্রী বাজারজাত করার সুবিধা বেড়েছে এবং ক্রেতাদেরও আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। জিএসটি হারের সংস্কার ত্রিপুরার গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ত্রিপুরার অবদান উল্লেখযোগ্য ভাবে শক্তিশালী হচ্ছে।

হস্ততাঁত শিল্প
হস্ততাঁত শিল্প ত্রিপুরার একটি সুপরিচিত শিল্প। ঐতিহ্যবাহী "রিসা" এবং ত্রিপুরার পাছড়া-রিগনাই উল্লেখযোগ্যভাবে জি.আই ট্যাগ মর্যাদা অর্জন করেছে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় বর্তমানে ১ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবার হস্তচালিত তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
ত্রিপুরার রিসা বস্ত্র
ত্রিপুরা রিসা শিল্প একটি জিআই-ট্যাগযুক্ত বস্ত্র ত্রিপুরী উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্যতম ঐতিহ্য। বিশেষ করে গোমতী জেলার কিল্লা মহিলা ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশন (সি.এল.এফ)-এর তত্ত্বাবধানে জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপকভাবে বানানো হচ্ছে।
রিসা নিজেই একটি সাংস্কৃতিক তাৎপর্য বহন করে — এটি একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা কাপড়, যা মহিলারা মাথার ওড়না, গামছা বা উপরের পোশাক হিসেবে ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে ত্রিপুরায় এটি সম্মানিত অতিথিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের নিদর্শন হিসেবে উপহার দেওয়া হয়। ত্রিপুরা রুরাল লাইভলিহুড মিশনের সহায়তা ও প্রচারে, রিসা বস্ত্র প্রধানত ঘরোয়া বাজারের জন্য তৈরি হয় এবং এটি রাজ্যের আদিবাসী নারীদের পরিচয় ও জীবিকার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
সাম্প্রতিক জিএসটি হারের সংস্কারগুলি এই ঐতিহ্যবাহী নৈপুণ্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।কাপড়ের উপর এখন প্রায় পাঁচ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে, এবং ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের সেলাই করা পোশাক ১২ শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশের স্ল্যাবে নেমে গেছে। সেলাই করা রিসা-ভিত্তিক পোশাকের ক্ষেত্রে জিএসটির হার হ্রাসে ত্রিপুরার দেশীয় বস্ত্রকে আরও প্রতিযোগিতামূলক এবং সাশ্রয়যোগ্য করে তুলতে সহায়তা করছে, যা রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি গ্রামীণ মহিলাদের জন্য আয়ের সুযোগও বাড়িয়ে তুলেছে।

ত্রিপুরার পাছড়া-রিগনাই বস্ত্র
ত্রিপুরা পাচরা–রিগনাই বস্ত্র (জিআই-ট্যাগযুক্ত) গোমতী, উনকোটি, উত্তর, পশ্চিম, দক্ষিণ, সিপাহিজলা, খোয়াই ও ধলাই জেলার আদিবাসী অঞ্চলজুড়ে বোনা হয়। ত্রিপুরি নারীরা কোমর বা ব্যাকস্ট্র্যাপ তাঁতে এই বস্ত্র তৈরি করেন, যা ত্রিপুরার সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রিগনাই(স্কার্ট) ও পাছরা (ওড়না বা ওভারস্কার্ট) ঐতিহ্যের প্রতীক, যা দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান—সবক্ষেত্রেই পরিধান করা হয়।
পূর্বাশা এবং ত্রিপুরা হস্তচালিত তাঁত ও হস্তশিল্প উন্নয়ন নিগমের (টিএইচএইচডিসি) মাধ্যমে এবং আঞ্চলিক কারুশিল্প মেলাগুলিতে এই সমস্ত সামগ্রী বিক্রয় করা হয়। বিক্রি করা হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গুলির মাধ্যমেও।
সাম্প্রতিক জিএসটি হার পুনর্গঠন এই ঐতিহ্যবাহী খাতকে এক নতুন গতি দিচ্ছে। অনসেলাই কাপড়ের দৈর্ঘ্যের ওপর আগের মতোই ৫% জিএসটি বহাল থাকছে, তবে ₹২,৫০০ পর্যন্ত মূল্যের সেলাই করা পোশাকের ক্ষেত্রে এখন ১২% থেকে কমে ৫% জিএসটি প্রযোজ্য হয়েছে। সেলাই করা পাচরা–রিগনাই সেটের (₹১,০০১–₹২,৫০০ সীমার মধ্যে) জন্য এই ৭ শতাংশ পয়েন্টের কর হ্রাস তাদের দামের প্রতিযোগিতা ও বাজারযোগ্যতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করছে। করের বোঝা হ্রাসের মাধ্যমে এই জিএসটি সংস্কার স্থানীয় কারিগরদের সহায়তা করছে, ক্ষুদ্র পরিসরে উৎপাদনকে উৎসাহিত করছে, এবং ত্রিপুরার আসল হাতে বোনা বস্ত্রের প্রতি ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়াচ্ছে—ফলে গ্রামীণ জীবিকা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উভয়ই মজবুত হচ্ছে।
চা
ত্রিপুরায় বিভিন্ন ধরনের কালো সিটিসি, সবুজ এবং জৈব চা উৎপাদন করা হয়।উত্তর, পশ্চিম, ধলাই, উনকোটি, সিপাহিজলা, খোয়াই, গোমতী এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জুড়ে চাষ করা বিভিন্ন ধরনের কালো সিটিসি, সবুজ এবং জৈব চা উৎপাদন করা হচ্ছে। ৫৪টি চা বাগান ও ২৭৫৫ জন ছোট চা চাষী সহ, এই ক্ষেত্রটি উপজাতি এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে একটি কর্মশক্তি বজায় রাখে, যাদের মধ্যে অনেকেই জীবিকা নির্বাহের জন্য দৈনিক মজুরি এবং বিভিন্ন ধরনের রেশন-এর উপর নির্ভর করে।

ত্রিপুরার চা সাধারণত: গুয়াহাটি এবং কলকাতায় নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয়, যেখানে একটি ছোট অংশ উত্তর ও পশ্চিম ভারতের দেশীয় বাজারে পৌঁছায় এবং স্থানীয় আউটলেট গুলির মাধ্যমে এই চা বিক্রি করা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপেও ত্রিপুরায় উৎপাদিত চা রপ্তানি করা হচ্ছে , যা এর ক্রমবর্ধমান মানের স্বীকৃতি এবং বাজারের প্রসারকে প্রতিফলিত করে।
সাম্প্রতিক জিএসটি যুক্তিসঙ্গতকরণ এই ক্ষেত্রের প্রতিযোগিতামূলকতাকে আরও জোরদার করেছে। প্যাকেটজাত চায়ের উপর জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি কেবল উৎপাদন ও খুচরো ব্যয় হ্রাস করে না, বাজারের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণেও সহায়তা করে, যা ত্রিপুরার চা-কে আরও সাশ্রয়ী এবং রপ্তানি-বান্ধব করে তুলেছে। এই সংস্কার ক্ষুদ্র চাষী এবং বাগিচা শ্রমিক থেকে প্রক্রিয়াকরণ এবং পরিবেশক পর্যন্ত মূল্য শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করেছে এবং ভারতের চা শিল্পের ক্ষেত্রে ত্রিপুরার উজ্জ্বল ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
রেশম চাষ

ত্রিপুরায় রেশম চাষের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি অনেক গ্রামীণ পরিবারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবিকার উৎস। পশ্চিম ত্রিপুরা, খোয়াই, সিপাহীজলা, গোমতী, দক্ষিণ ত্রিপুরা, ধলাই, উত্তর ত্রিপুরা, উনকোটি অর্থাৎ রাজ্যের আটটি জেলা জুড়েই ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারগুলি তুঁত চাষে সক্রিয়ভাবে জড়িত। রাজ্যের প্রায় ১৫,৫৫০ জন কৃষক সরাসরি রেশম চাষের সঙ্গে যুক্ত। তাদের কার্যক্রম রেশম শিল্প সম্পৃক্ত যেমন,কোকুন চাষ, পালন এবং কাঁচা রেশম উৎপাদন থেকে শুরু করে ছোট আকারের রিলিং ইউনিট পরিচালনা করা, যা রেশম শিল্পের একটি শক্তিশালী তৃণমূল স্তরের বাস্তুতন্ত্রকে প্রতিফলিত করে।
সাম্প্রতিক জিএসটি হার হ্রাস এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে আরও গতি দিয়েছে। জিএসটির হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ হওয়ায় মোটামুটিভাবে যোগ্য হস্তচালিত তাঁত এবং হস্তশিল্প পণ্যের কার্যকর সুবিধা-ত্রিপুরা থেকে রেশম ভিত্তিক পণ্যগুলিকে আরও সাশ্রয়ী এবং বাজারে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলেছে। করের বোঝা হ্রাস করায় ক্ষুদ্র উৎপাদকদের উৎপাদিত সামগ্রী বাজারজাত করা এবং আয়ের স্থিতিশীলতা জোরদার করতে সর্বোপরি ত্রিপুরার গ্রামীণ অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হিসাবে রেশম চাষের সুস্থায়ী প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করছে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ
ত্রিপুরার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মূলত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের দ্বারা পরিচালিত হয় যারা রাজ্যের ফল উৎপাদের ভিতকে শক্তিশালী করে। ত্রিপুরার জিআই-ট্যাগযুক্ত কুইন আনারসের পাশাপাশি কৃষকরা অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন ফল যেমন কাঁঠাল চাষ করেন, যা জীবিকা এবং কৃষি-ভিত্তিক উদ্যোগের বৃদ্ধি উভয় ক্ষেত্রেই অবদান রাখে।

প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ফর্মালাইজেশন অফ মাইক্রো ফুড প্রসেসিং এন্টারপ্রাইজ স্কিম এবং রাজ্যের বিভিন্ন উদ্যোগীর ক্ষুদ্র ইউনিটগুলি স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। নাবার্ড স্টেট ফোকাস পেপার ২০২৩-২৪ অনুসারে, ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে প্রায় ২,৮৪৮ টি খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৪ অর্থবছরের মধ্যে, দুবাই, ওমান, কাতার এবং বাংলাদেশে ৭৩ মেট্রিক টনেরও বেশি আনারস রফতানি করা হয়েছিল, এবং প্রায় ১৫,০০০ মেট্রিক টন আনারস দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সরবরাহ করা হয়েছিল, যা এই ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বাজারের সম্ভাবনাকে প্রতিফলিত করে।
সাম্প্রতিক জিএসটি সংশোধন এই মূল্য শৃঙ্খলকে আরও মজবুত করেছে। ফল ও সবজির রসের ওপর করহার। যার মধ্যে ত্রিপুরার কুইন আনারসের রস, কাঁঠালের রস এবং মিশ্র ফলের রস অন্তর্ভুক্ত ১২% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে; অর্থাৎ ৭ শতাংশ পয়েন্টের হ্রাস। এই পরিবর্তনের ফলে বোতলজাত রস ও পাল্পের উপর আউটপুট ট্যাক্স উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাচ্ছে, যার ফলে স্থানীয় পণ্য আরও সাশ্রয়ী ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে। করের চাপ হ্রাসের মাধ্যমে এই সংস্কার প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেজিং ও রপ্তানিকে উৎসাহিত করছে, এবং ত্রিপুরার ফলচাষ খাতকে কৃষিভিত্তিক উৎপাদন থেকে আরও মূল্যনির্ভর ও বাজারমুখী ব্যবস্থায় রূপান্তর করতে সহায়তা করছে।
উপসংহার
কম জিএসটি হার ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী ও কৃষিভিত্তিক খাতে নতুন গতি সঞ্চার করেছে, যা এসব খাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও বাজার-উপযোগী করে তুলছে। হ্যান্ডলুম বস্ত্র, চা, রেশমচাষ ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে জিএসটি হার ১২–১৮% থেকে কমে ৫% হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পেয়েছে, পণ্যের সহজলভ্যতা বেড়েছে এবং বাজারে প্রবেশাধিকার আরও প্রসারিত হয়েছে। রিসা ও পাচরা–রিগনাই বস্ত্র থেকে শুরু করে ত্রিপুরার কুইন আনারসজাত পণ্য ও রেশম শিল্প পর্যন্ত—এই সংস্কারগুলো রাজ্যের আদিবাসী নারী, কারুশিল্পী ও ক্ষুদ্র কৃষকদের ক্ষমতায়ন করছে, একই সঙ্গে মূল্য সংযোজন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। করের বোঝা হালকা করে ও স্থানীয় উদ্যোগকে সমর্থন দিয়ে, জিএসটি ত্রিপুরার গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করছে এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাজ্যটিকে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।
তথ্যসূত্র:
tripura.gov.in
https://tripura.gov.in/sites/default/files/Economic_Review.pdf
incredibleindia.gov.in
https://www.incredibleindia.gov.in/en/tripura
tripuratourism.gov.in
https://tripuratourism.gov.in/geographical_profile.php
ttaadc.gov.in
https://ttaadc.gov.in/sites/default/files/Industries-Administrative-set-up.pdf
ttdcltd.tripura.gov.in
https://ttdcltd.tripura.gov.in/
trlm.tripura.gov.in
https://trlm.tripura.gov.in/newinitiative
Click here to see PDF
PS/PKS/KMD
(Release ID: 2181893)
Visitor Counter : 5