উপ-রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়
উপরাষ্ট্রপতি শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণাণ কনক দুর্গা মন্দিরে প্রার্থনা করে তাঁর প্রথম সরকারি সফরের সূচনা করেছেন
Posted On:
24 SEP 2025 10:05PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণাণ আজ প্রধান অতিথি হিসেবে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় পুন্নামি ঘাটে বিজয়ওয়াড়া উৎসব ২০২৫-এ উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে নবরাত্রির পবিত্র উৎসবের সঙ্গে একযোগে সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং উন্নয়নের প্রাণবন্ত উদযাপন করা হচ্ছে। আজ এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশে প্রথম সফরে উপরাষ্ট্রপতি শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণাণকে বিমান বন্দরে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানান রাজ্যপাল শ্রী এস আব্দুল নাজির, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। পৌঁছোনোর পর তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
উপরাষ্ট্রপতি একগুচ্ছ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকেন, যেখানে অন্ধ্রপ্রদেশের সমৃদ্ধ শৈল্পিক ঐতিহ্যের প্রকাশ করা হয়। এর পরে ছিল বিজয়ওয়াড়া উৎসবের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি দৃশ্য-স্রাব্য প্রতিবেদন। শহরের ৫টি জায়গায় অনুষ্ঠিত এই উৎসব অন্ধ্রপ্রদেশের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি, আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য এবং উন্নয়নমূলক সাফল্যের প্রাণবন্ত প্রকাশ।
অনুষ্ঠানে ভাষণ শুরু করেন উপরাষ্ট্রপতি ভারত মাতাকে প্রণাম জানিয়ে এবং তামিলে সন্ত ভারতীয়ারের একটি কবিতা উদ্ধৃত করেন, যার অর্থ – আমরা ১৮টি ভাষায় কথা বলতে পারি, কিন্তু আমাদের ভাবনা এবং ধর্ম সব সময় এক। তিনি বিজয়ওয়াড়া উৎসবকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে বর্ণনা করেন এবং আরও ১০০ বছর ধরে এটা যাতে চলে তার জন্য শুভেচ্ছা জানান, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নানা অঞ্চলের মানুষের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করছে।
নবরাত্রির গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রী রাধাকৃষ্ণাণ বলেন, “নবরাত্রি একমাত্র উৎসব যা লাগাতার নয় দিন ধরে পালিত হয় এবং এটি শুধুমাত্র দেবীদের প্রতি উৎসর্গীকৃত, দেবতার প্রতি নয়। আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতিতে মহিলাদের কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় এটা তারই প্রমাণ।” উপরাষ্ট্রপতি কনক দুর্গার মন্দির এবং দেবী অন্নপূর্ণাকে দর্শনের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন যাঁরা লালন-পালন এবং সহমর্মিতার প্রতিরূপ। তিনি বলেন, “দরিদ্র মানুষকে খাওয়ানোর থেকে পবিত্র আর কিছু নেই। সেটাই দেবীর প্রকৃত পূজা।”
উপরাষ্ট্রপতি বিজয়ওয়াড়ার মানুষের প্রশংসা করেন তাঁদের আন্তরিকতা এবং স্নেহের জন্য। বলেন যে, এই শহর পরিচিত গরম এবং মশলাদার খাদ্যের জন্য, এই শহরের মানুষজন দেশের মধ্যে সবচেয়ে ঠান্ডা। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন যে, বিজয়ওয়াড়া ভারতে দ্রুত বৃদ্ধিশীল শহরগুলির অন্যতম এবং খুব শীঘ্রই এটি ভারতে সবচেয়ে সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে উঠবে।
উপরাষ্ট্রপতি অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষকদের প্রশংসা করেছেন দেশকে খাওয়াতে তাঁদের নিরলস প্রয়াসের জন্য। উপরাষ্ট্রপতি এই রাজ্যের উর্বর জমি এবং কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতাকে তুলে ধরেন। অন্ধ্রপ্রদেশ শুধুমাত্র নিজেদের জন্যই চাল উৎপাদন করে তা নয়, সারা দেশের জন্য করে। শ্রী রাধাকৃষ্ণাণ শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে, পরিকাঠামোয়, জনকল্যাণে এবং নগর পরিকল্পনায় রাজ্যের দ্রুত পদক্ষেপকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, অন্ধ্রপ্রদেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দেশে সর্বোচ্চদের মধ্যে অন্যতম এবং এই রাজ্য প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি এবং জৈব প্রযুক্তির হাব হয়ে উঠে আসছে।
দিল্লির বাইরে তাঁর প্রথম সরকারি সফরকালে এখানকার মানুষের ভালোবাসা এবং স্নেহের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন যে, এটাই আমার প্রথম যাত্রা উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে এবং সেটা বিজয়ওয়াড়া থেকে শুরু হওয়া সম্মানের ব্যাপার। বিজয়ওয়াড়া উৎসবকে সমগ্র তেলুগু সমাজের গর্বের উৎস এবং বিশ্বের কাছে তেলুগু সংস্কৃতিকে তুলে ধরার অনুষ্ঠান বলে বর্ণনা করেন।
ভাষণ শেষে তিনি সকল নাগরিকের সুস্থতা এবং খুশির জন্য ও অন্ধ্রপ্রদেশের আরও অগ্রগতির জন্য দেবী কনক দুর্গার কাছে প্রার্থনা জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, অন্ধ্রপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী সত্য কুমার যাদব, পর্যটন মন্ত্রী শ্রী কান্ডুলা দুর্গেশ, সাংসদ শ্রী কেসিনেমি শিবনাথ।
SC/AP/AS
(Release ID: 2171083)
Visitor Counter : 13