কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
জাহাজ নির্মাণ, সামুদ্রিক অর্থায়ন এবং অভ্যন্তরীণ সক্ষমতাকে শক্তিশালী করার জন্য ৪-স্তম্ভের বিস্তৃত পদ্ধতি
ভারতের জাহাজ নির্মাণ ও সামুদ্রিক খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য মন্ত্রিসভা ৬৯,৭২৫ কোটি টাকার প্যাকেজ অনুমোদন করেছে
Posted On:
24 SEP 2025 3:08PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: সামুদ্রিক খাতের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্বকে স্বীকার করে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ ভারতের জাহাজ নির্মাণ এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ৬৯,৭২৫ কোটি টাকার একটি বিস্তৃত প্যাকেজের অনুমোদন করেছে। এই প্যাকেজটি একটি চার-স্তম্ভের পদ্ধতির সূচনা করবে যা অভ্যন্তরীণ ক্ষমতাকে জোরদার কববে, দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নকে উন্নত করবে, গ্রিনফিল্ড এবং ব্রাউনফিল্ড শিপইয়ার্ড উন্নয়নকে উৎসাহিত করে প্রযুক্তিগত ক্ষমতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করবে, এবং একটি শক্তিশালী সামুদ্রিক পরিকাঠামো তৈরির জন্য আইনি, কর এবং নীতিগত সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।
এই প্যাকেজের আওতায়, জাহাজ নির্মাণ আর্থিক সহায়তা প্রকল্প ৩১ মার্চ ২০৩৬ পর্যন্ত বাড়ানো হবে, যার জন্য মোট অর্থ বরাদ্দ হবে ২৪,৭৩৬ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল ভারতে জাহাজ নির্মাণকে উৎসাহিত করা এবং ৪,০০১ কোটি টাকা বরাদ্দের একটি জাহাজ ভাঙার ক্রেডিট নোট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই যাবতীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নকে তদারকি করার জন্য একটি জাতীয় জাহাজ নির্মাণ মিশনও প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এছাড়াও, এই খাতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য ২৫,০০০ কোটি টাকার একটি সমুদ্র উন্নয়ন তহবিল (এমডিএফ) এর অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত সরকারের ৪৯ শতাংশ অংশগ্রহণে ২০,০০০ কোটি টাকার একটি সমুদ্র বিনিয়োগ তহবিল এবং ঋণের কার্যকর খরচ কমাতে এবং প্রকল্পের ব্যাংকযোগ্যতা উন্নত করতে ৫,০০০ কোটি টাকার একটি সুদ উৎসাহ তহবিল গঠন। তদুপরি, জাহাজ নির্মাণ উন্নয়ন প্রকল্প (এসবিডিএস), যার বাজেট ব্যয় হবে ১৯,৯৮৯ কোটি টাকা৷ এর লক্ষ্য হল দেশীয় জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতা বার্ষিক ৪.৫ মিলিয়ন গ্রস টনেজে উন্নীত করা, মেগা জাহাজ নির্মাণ ক্লাস্টারকে সমর্থন করা, পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ করা, ভারতীয় সমুদ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইন্ডিয়া শিপ টেকনোলজি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা এবং জাহাজ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বীমা সহায়তা সহ ঝুঁকি কভারেজ প্রদান করা।
এই সামগ্রিক প্যাকেজের ফলে ৪.৫ মিলিয়ন টনেজ মোট জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতা তৈরি হবে, প্রায় ৩০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং ভারতের সামুদ্রিক খাতে প্রায় ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রভাবের বাইরেও, এই উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খল এবং সামুদ্রিক রুটে স্থিতিস্থাপকতা এনে জাতীয়, জ্বালানি এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করবে। এটি ভারতের ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা এবং কৌশলগত স্বনির্ভরতাকেও শক্তিশালী করবে, আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নেবে এবং বিশ্বব্যাপী জাহাজ পরিবহন খাত ও জাহাজ নির্মাণে ভারতকে একটি প্রতিযোগিতামূলক শক্তি হিসেবে স্থান দেবে।
ভারতের একটি দীর্ঘ এবং গৌরবোজ্জ্বল সামুদ্রিক ইতিহাস রয়েছে, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাণিজ্য ও সমুদ্রযাত্রা উপমহাদেশকে বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করেছে। আজও, সামুদ্রিক খাত ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে রয়ে গেছে, যা দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ বাণিজ্য আয়তনের দিক থেকে এবং ৭০ শতাংশ মূল্যের দিক থেকে সমর্থন করে। এর মূলে রয়েছে জাহাজ নির্মাণ, যাকে প্রায়শই "ভারী প্রকৌশলের জননী" হিসাবে বর্ণনা করা হয়, এবং যা কেবল কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে না বরং জাতীয় নিরাপত্তা, কৌশলগত স্বাধীনতা এবং বাণিজ্য ও জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিস্থাপকতাও বৃদ্ধি করে থাকে।
*****
PS/DM/KMD
(Release ID: 2170730)
Visitor Counter : 25