ভারত সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার কার্যালয়
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জাতীয় উদ্ভিদ স্বাস্থ্য প্রয়াস নিয়ে আলোচনা

Posted On: 21 AUG 2025 11:11PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২১ অগাস্ট, ২০২৫

 

জাতীয় উদ্ভিদ স্বাস্থ্য প্রয়াস নিয়ে আলোচনার জন্য নতুন দিল্লির জাতীয় কৃষি বিজ্ঞান চত্ত্বরে ২১ অগাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন উপদেষ্টা পরিষদের ২৮তম বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারত সরকারের বিজ্ঞান সংক্রান্ত মুখ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক অজয় কুমার সুদ।

বৈঠকে পরিষদের সদস্যরা ছাড়াও পদস্থ সরকারি আধিকারিক, শিল্পপতি, গবেষক ও শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন। নীতি আয়োগ, ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ, প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক, জলশক্তি মন্ত্রক, কৃষি মন্ত্রক, জৈব প্রযুক্তি মন্ত্রক, বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক, রাসায়নিক ও পেট্রো কেমিক্যালস দপ্তর, পরিবেশ-বন ও জলবায়ু মন্ত্রক, পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে যোগ দেন।

উদ্বোধনী ভাষণে অধ্যাপক সুদ বলেন, কৃষির উপর প্রভূত নির্ভরশীলতার ফলে একটি সুনির্দিষ্ট উদ্ভিদ স্বাস্থ্য প্রয়াস হাতে নেওয়া ভারতীয় প্রেক্ষাপটে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। এর আগে পরিষদের বৈঠকে ওয়ান হেল্থ মিশন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সেখানে মূলত মানুষ, প্রাণী এবং বন্যপ্রাণের স্বাস্থ্যের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উদ্ভিদ স্বাস্থ্যও আলাদাভাবে বিশেষ মনোযোগ দাবি করে। বর্তমান পরিমণ্ডল এই প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কৌশলগত সুযোগ দিচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, ডিজিটাল জনপরিকাঠামোর বিকাশে ভারতের সাফল্য এই ক্ষেত্রে এক মজবুত ভিত্তি গড়ে তোলার পথ প্রস্তুত করেছে। 

নীতি আয়োগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত সদস্য ডঃ ভি.কে সারস্বত বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে লোকসানের প্রভাব সরাসরি ও প্রত্যক্ষভাবে কৃষকের আয় এবং সার্বিক উৎপাদনশীলতার উপর পড়ে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং নানা ধরনের জৈব ও অজৈব বিপদ উদ্ভিদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে। এর মোকাবিলায় সক্রিয় প্রস্তুতি ও কৌশলগত পদ্ধতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন। উন্নত গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপর জোর দিয়ে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণকে একজায়গায় আনতে তিনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সংযোগ সাধনের উপর গুরুত্ব দেন। 

নীতি আয়োগের কৃষি সংক্রান্ত সদস্য ডঃ রমেশ চাঁদ বলেন, উদ্ভিদ ও পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত না হলে ওয়ান হেল্থ-এর ধারণা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সুস্থিত কৃষির প্রসারে প্রাকৃতিক সম্পদের সুদক্ষ ব্যবহারের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, উদ্ভিদ স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বীজের গুণমান রক্ষার উপর সতর্ক নজর রাখতে হবে।

পিএসএ ফেলো ডঃ সিন্দুরা গণপতি উদ্ভিদ স্বাস্থ্য রক্ষার ধারণাটি ব্যাখ্যা করেন। এর পর ডঃ এম এল জাট এই সংক্রান্ত বর্তমান সক্ষমতা এবং প্রয়াসগুলির সংযুক্তিসাধন নিয়ে একটি বিশদ উপস্থাপনা পেশ করেন। জাতীয় উদ্ভিদ স্বাস্থ্য প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ৯টি প্রধান উপাদানের উল্লেখ করেন তিনি।

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ উদ্ভিদ স্বাস্থ্য রক্ষার নানা দিক নিয়ে তাঁদের বক্তব্য রাখেন। এই ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ও কৌশলগত দূরদর্শিতার প্রয়োজনীয়তা এবং বর্তমান পরিস্থিতি তাদের আলোচনায় উঠে আসে। শস্য সুরক্ষাকে আরও মজবুত করতে জাতীয় কীট নজরদারি ব্যবস্থা এবং এক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধা ও ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগের উপর জোর দেন তাঁরা।

বিশেষ অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে এই সংক্রান্ত গবেষণার বিভিন্ন তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি সংযুক্ত, কৃত্রিম মেধাসক্ষম জাতীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। উদ্ভিদ স্বাস্থ্যরক্ষা প্রয়াসের কার্যকর রূপায়ণে জৈব ও অজৈব বিপদগুলির মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সুদৃঢ় সহযোগিতা স্থাপনে গুরুত্ব দেন তাঁরা। এক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি, কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তথ্যের সুরক্ষায় শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কথা বলেন তাঁরা। কীট পতঙ্গের হাত থেকে ফসলকে বাঁচাতে একটি সংযুক্ত জাতীয় টাস্কফোর্স গড়ে তোলার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব কীটনাশক ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার বলে তাঁরা মত প্রকাশ করেন।

সমাপ্তি ভাষণে অধ্যাপক সুদ বলেন, উদ্ভিদ স্বাস্থ্য রক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এখন সর্বজনস্বীকৃত। এক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন প্রয়াস না চালিয়ে মিশন মোডে ওয়ান হেল্থ মিশনের আওতায় সুসমন্বিত প্রয়াসের প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সহযোগিতায় একটি রূপরেখা এবং সার্বিক মিশন ডকুমেন্ট তৈরির জন্য ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদকে অনুরোধ জানান তিনি। 

 


SC/SD/SKD


(Release ID: 2159729)
Read this release in: Urdu , English , Hindi