সংস্কৃতিমন্ত্রক
ভারতের বাস্তবিক এবং অবস্তুগত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রসার ও সংরক্ষণ
Posted On:
07 AUG 2025 4:11PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৭ আগষ্ট, ২০২৫
দেশে পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ কেন্দ্র (এএসআই)-এর নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত ৩৬৮৫টি স্মৃতি সৌধ অথবা স্থান রয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত এগুলির সংরক্ষণ ও তত্ত্বাবধান প্রয়োজনভিত্তিতে এবং সহায় সম্পদের ভিত্তিতে সংরক্ষণ সংক্রান্ত জাতীয় নীতি ২০১৪ মোতাবেক নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
ভারত সরকার ৭ টি আঞ্চলিক সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। এর সদর কার্যালয়গুলি হল পাতিয়ালা, নাগপুর, উদয়পুর, প্রয়াগরাজ, কলকাতা, ডিমাপুর এবং তাঞ্জাভুর। দেশে বিভিন্ন ধরণের লোককলা এবং সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ ও প্রসারের স্বার্থেই তা গড়ে তোলা হয়েছে। এই সব আঞ্চলিক সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলি নিয়মিত ভিত্তিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। বিগত ৩ বছরে মূল যেসব অনুষ্ঠান কর্মসূচির আয়োজন করেছে সেগুলি হল রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসব, বন্দে ভারতম, সৌরাষ্ট্র তামিল সঙ্গমম, বিবিধতা কা অমৃত মহোৎসব, ভারতীয় কলা মহোৎসব, প্রভৃতি।
ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য আর্টস (আইজিএনসিএ) সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীন একটি স্বশাসিত সংস্থা। বিগত ৩ বছরে বাস্তবিক এবং অবস্তুগত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও প্রসারে নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এর উল্লেখযোগ্য দিক হল দূর্লভ গ্রন্থ ও পুঁথির সংরক্ষণ ও ডিজিটাইজেশন, লোককলা এবং জনজাতি শিল্পের গবেষণা প্রকল্প ও প্রকাশনার মাধ্যমে প্রচার, দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড এক্সপো-তে ভারত প্যাভেলিয়ান ও চলতি ওসাকা ২০২৫ ওয়ার্ল্ড এক্সপো-তে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা প্রভৃতি। এছাড়াও বিভিন্ন শিল্পকলা এবং ভারতের প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ গ্রামে ঐতিহ্যকে ব্যবহারিক মাধ্যমে প্রয়োগ সংক্রান্ত ন্যাশনাল মিশন ফর কালচারাল মিশনের রূপায়ণ তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে।
প্রায় সাড়ে ৫ কোটিরও বেশি প্রাচীন পুঁথির ফোলিওর নথিভুক্তিকরণ, ডিজিটাল লাইব্রেরি এবং আইজিএনসিএ-র অনলাইন পোর্টাল মারফৎ অনেক দুর্লভ গ্রন্থ ও পুঁথি আগ্রহী মানুষ দেখতে পারেন।
এএসআই প্রতি বছর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ উইক এবং ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ডে উদযাপন করে। এর উদ্দেশ্য হল ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে জনসচেতনতার প্রসার। আঞ্চলিক সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তরুণ সম্প্রদায়কে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করেছে। এছাড়াও গুরু শিষ্য পরম্পরা প্রকল্প, শিল্পগ্রাম উৎসব প্রভৃতির আয়োজন করা হয়। সঙ্গীত, চিত্রকলা, লোকনৃত্যের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেন তাঁরা।
সংস্কৃতি মন্ত্রক জাতীয় স্তরে আঞ্চলিক সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলি মারফত রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসবের আয়োজন করে। যাতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিভাবান শিল্পীরা তাদের অনন্য শিল্পকলা প্রদর্শনের সুযোগ পান। ভারতীয় লোককলা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করে তুলতে এই উদ্যোগ।
আইজিএনসিএ বিভিন্ন ইন্টার্নশিপ কর্মসূচিতে ছাত্র এবং গবেষকদেরকে যুক্ত করে। বিভিন্ন কর্মশালারও আয়োজন করে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সংস্কৃতির প্রচার সচেতনতা গড়ে তোলার আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন সমাজমাধ্যম যেমন ইউটিউব সহ ডিজিটাল মঞ্চের সাহায্য ওয়েবকাস্টের মাধ্যমে আঞ্চলিক সংস্কৃতির প্রচার এবং সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রচারেরও আয়োজন করা হয়।
রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত উত্তরে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।
SC/AB /SG/
(Release ID: 2154226)