বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

হিমালয়ের মেঘে বিষাক্ত ধাতুর উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য জনিত ঝুঁকি

Posted On: 01 AUG 2025 3:19PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১ অগাস্ট, ২০২৫

 

হিমালয়ের শিখরদেশে, যেখানে তুষারাবৃত শৃঙ্গের মধ্যে দিয়ে মেঘ ভেসে বেড়ায়, সেখানকার বাতাসে বিপদ দানা বাঁধছে। নতুন এক বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে মেঘকে এক সময়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎস বলে মনে করা হত, তা আসলে নিঃশব্দে দূষিত নিম্নভূমি থেকে বিষাক্ত ভারী ধাতু পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। 

এই আবিষ্কার শুধু যে পাহাড়ী বৃষ্টির বিশুদ্ধতাকেই ভেঙে খানখান করে দিয়েছে তাই নয়, এর থেকে ক্যান্সার সহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। 

এই মেঘবাহিত ধাতু অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। মানবদেহের ওপর এর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে ভারতে গ্রীষ্মের শেষের দিকে এবং বর্ষার সূচনায় নিচু স্তরের মেঘে এই ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের অধীনে স্বয়ংশাসিত সংস্থা বোস ইন্সটিটিউট বর্ষার গোড়ায় পশ্চিমঘাট ও পূর্ব হিমালয়ের মেঘে এই বিষাক্ত ধাতুর উপস্থিতি চিহ্নিত করে। 

অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ সনৎ কুমার দাসের নেতৃত্বাধীন গবেষকদল এই মেঘ থেকে ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকির কথা বলেছেন। এই নিয়ে তাঁরা বিশদ সমীক্ষা চালান। 

পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা গেছে ভারতে বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের এই জাতীয় বিষাক্ত ধাতু থেকে ৩০ শতাংশ বেশি ঝুঁকি রয়েছে। 

দেখা গেছে পূর্ব হিমালয়ের মেঘগুলিতে বিষাক্ত ধাতুর উপস্থিতির হার বেশি। পাহাড়ের পাদদেশে যানবাহন ও শিল্পগত নির্গমণ থেকে এই দূষণের সৃষ্টি। 

এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভান্সেস-এ প্রকাশিত এই সমীক্ষা পরিবেশগত দূষণ এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর তার প্রভাব নিয়ে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। তবে বিশ্লেষণে দেখা গেছে চিন, পাকিস্তান, ইতালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভারতের মেঘে দূষণের হার এখনও অপেক্ষাকৃত কম। 

 


SC/SD/NS….


(Release ID: 2151627)
Read this release in: English , Urdu , Hindi