পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক
জেডএসএই -এর বিজ্ঞানীরা উত্তর-পূর্ব ভারতে নতুন স্ক্যারাব বিটল প্রজাতির সন্ধান পেলেন, জোর দেওয়া হচ্ছে এর সরক্ষণে
प्रविष्टि तिथि:
11 APR 2025 4:44PM by PIB Kolkata
কলকাতা, এপ্রিল ১২,২০২৫
সাময়িকপত্র জুট্যাক্সা-তে প্রকাশিত একটি যুগান্তকারী গবেষণায় ভারতের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চল থেকে ছয়টি নতুন প্রজাতির সেরিসিনি বিটল (গুবড়ে পোকা) আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ( জেডএসআই) এবং জার্মানির মিউজিয়াম এ কেনিগের গবেষকদের নেতৃত্বে এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি উত্তর-পূর্ব ভারত এবং পশ্চিমঘাট পর্বতমালার ব্যতিক্রমী জীববৈচিত্র্যের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে এবং অনুসন্ধান ও সংরক্ষণের উদ্যোগে জোর দিয়েছে।
জেডএসআই-এর গবেষক ডঃ দেবাংশু গুপ্ত, ডঃ দেবিকা ভুঁইয়া এবং ডঃ কৈলাশ চন্দ্র এবং মিউজিয়াম এ কেয়েনিগের বিজ্ঞানী ডঃ ডার্ক আরেনসকে নিয়ে গঠিত গবেষক দলটি কলকাতার জেডএসআই-এর কোলিওপটেরা বিভাগ এবং জার্মানির মিউজিয়াম - এ কেনিগের গুবরে পোকার নমুনাগুলি নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করেছেন। তাদের এই বিস্তৃত বিশ্লেষণ শুধু মালাদেরা, নিওসেরিকা এবং সেরিকা বিভাগের অন্তর্গত এই ছয়টি অজানা প্রজাতি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেনি ঐ বিশ্লেষণ অন্যান্য ২৮ টি প্রজাতির জন্য নতুন আঞ্চলিক তথ্যও নথিভুক্ত করেছে, যা ঐ অঞ্চলের সমৃদ্ধ পোকামাকড় সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধিকে অন্য মাত্রা দেবে। এই ধরণের আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক গবেষণা আমাদের জীববৈচিত্র্যের অনুসন্ধান ও সংরক্ষণে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকেও চিহ্ণিত করে।
সমীক্ষায় গোয়ায় মালাডেরা বেঙ্গালেনসিস এবং মহারাষ্ট্রে এম সেরিয়াটোগুট্টাটা সম্পর্কিত নতুন তথ্যও রিপোর্ট করা হয়েছে, যা প্রজাতি বিতরণ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে বাড়িয়ে তুলবে।
জীববৈচিত্র্যের তাৎপর্য এবং আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য হল:
আবিষ্কারগুলি ভারতের বৈচিত্র্যময় জীবভৌগোলিক অঞ্চলের পরিবেশগত গুরুত্বের উপর জোর দেয়।
উত্তর-পূর্ব ভারত: হিমালয়ের জীববৈচিত্র্যের হটস্পট- এই অঞ্চলটি উচ্চ প্রজাতির কীটপতঙ্গ সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। এই অঞ্চলে মালাদেরা চ্যাম্ফাইয়েনসিস, নিওসেরিকা চুরাচাঁদপুরেন্সিস, মালাদেরা বারসিংহ, মালাদেরা লুমলেনসিস এবং সেরিকা সুবানসিরিয়েনসিসের আবিষ্কার বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কিত গবেষণা এবং সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
কেরালা এবং পশ্চিমঘাট: আরেকটি উল্লেখযোগ্য জীববৈচিত্র্যের হটস্পট, পশ্চিমঘাট পর্বতমালা- তাদের অনন্য উদ্ভিদ এবং প্রাণী জীবনের জন্য বিখ্যাত। কেরালা থেকে মালাডেরা ওনামের আবিষ্কার এই অঞ্চলের পোকামাকড়ের বৈচিত্র্যকে চিহ্ণিত করে এবং ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত চাপের মুখে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
নতুন চিহ্ণিত হওয়া গুবড়েপোকা প্রজাতিগুলি হ'ল:
Maladera champhaiensis: মিজোরাম এর চাম্পাই এর নামে নামাঙ্কিত।
Neoserica churachandpurensis:
মনিপুর এর চুরাচাঁদপুর এর নামে নামাঙ্কিত।
Maladera barasingha:ভারতীয় swamp deer এর নামে নামাঙ্কিত ("Barasingha"),এই হিরিন এর সাথে অনেক মিল থাকার জন্য।
Maladera lumlaensis: অরুণাচল প্রদেশ এর লুমলার নামে নামাঙ্কিত।
Serica subansiriensis: অরুণাচল প্রদেশ এর সুবানসিরির নামে নামাঙ্কিত।
Maladera onam: কেরালার ওনাম উৎসব এর নামে নামাঙ্কিত হয়েছে, যেহেতু ওখানে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
জেডএসআই-এর অধিকর্তা ডঃ ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, "এই গবেষণাটি বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং সংরক্ষণের ফলাফলের অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং কীটপতঙ্গের জীববৈচিত্র্যের অনুসন্ধান এবং ডকুমেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তাকে ইঙ্গিত করে। তিনি আরও বলেন, "এই গবেষণাটি ট্যাক্সোনমিক স্টাডিজ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে। পাশাপাশি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সঠিকভাবে প্রজাতি চিহ্ণিতকরণ এবং তা নথিভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা সংরক্ষণ পরিকল্পনা এবং পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করছেন। আমরা আঞ্চলিক জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধি আরও বাড়ানোর জন্য এবং এর সুরক্ষার কৌশলগুলি দৃঢ় করার জন্য, বিশেষত, উত্তর-পূর্ব ভারতে নমুনা সংগ্রহ প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানাই।
জেডএসআই-এর কোলিওপটেরা বিভাগের বিজ্ঞানী এবং অফিসার-ইন-চার্জ ডঃ দেবাংশু গুপ্ত বলেন , এই গুবড়ে পোকা প্রজাতিটির বাস্তুসংস্থান এবং বিতরণ জ্ঞান বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজন। সম্ভাব্য কীটপতঙ্গ প্রজাতিগুলি প্রাথমিকভাবে চিহ্ণিত করা, পরিবেশ বান্ধব কীটপতঙ্গ সংরক্ষণের কৌশলগুলির বিকাশ প্রয়োজন।
ক্ষতিকারক রাসায়নিকগুলির উপর মানব-নির্ভরতা কমিয়ে মানব স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উভয়কেই রক্ষা করা সম্ভব। এছাড়া, এই অঞ্চলগুলির জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বাস্তু সংক্রান্ত পর্যটনের উদ্যোগকে সদর্থকভাবে সমর্থন করে, স্থানীয় সমাজের জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে এবং পরিবেশগত স্টুয়ার্ডশিপকে উৎসাহিত করে। কিছু সেরিসিনা ফসল-বিরোধী কীটপতঙ্গ হিসাবে পরিচিত এবং অন্যান্য বহু কীট মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যে অবদান রাখে সেটি অবশ্যই স্বীকার্য। সুস্থায়ী কৃষি অনুশীলনের বিকাশ, কৃষকদের জীবিকা-বিরোধী কীটপতঙ্গের প্রাদুর্ভাব হ্রাস করা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য এই জ্ঞানের ফাঁকগুলি বন্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই আবিষ্কার ভারতের জীববৈচিত্র্যকে বোঝার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং এই পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তাকে চিহ্ণিত করে।

***
SSS/ AS
(रिलीज़ आईडी: 2121344)
आगंतुक पटल : 15
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English