প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
‘মন কি বাত’ (১২০তম পর্ব )
प्रविष्टि तिथि:
30 MAR 2025 11:41PM by PIB Agartala
আগরতলা, ৩০ মার্চ ২০২৫: আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার| আজ খুবই পুণ্য দিনে আপনাদের সঙ্গে আমার ‘মন কি বাতে’ কথা বলার সুযোগ পেলাম। আজ চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ তিথি। আজ থেকে চৈত্র নবরাত্রির সূচনা হচ্ছে। আজ থেকে ভারতীয় নববর্ষেরও সূচনা। এবার বিক্রম সম্বৎসর ২০৮২ (দু’ হাজার বিরাশি) শুরু হচ্ছ বর্তমানে আমার সামনে অনেকগুলি চিঠি রাখা আছে। কোনোটা বিহার থেকে, কোনোটা বাংলা থেকে, কোনোটা তামিলনাডু থেকে, কোনোটা গুজরাট থেকে এসেছে। এগুলোতে খুবই আকর্ষণীয়ভাবে সাধারণ মানুষ নিজেদের মনের কথা লিখে পাঠিয়েছেন। অনেকগুলি চিঠিতে শুভকামনা আছে। অভিনন্দন বার্তাও আছে। কিন্তু আজ আমার ইচ্ছে হচ্ছে, কিছু বার্তা আপনাদের পড়ে শোনাই।
প্রধানমন্ত্রী (কন্নড় ভাষাতে) – ….সবাইকে উগাদি উৎসবের শুভকামনা! (হিন্দি অনুবাদ )
পরের বার্তা –
প্রধানমন্ত্রী (তেলুগু ভাষাতে) – …সবাইকে উগাদি উৎসবের শুভকামনা! (হিন্দি অনুবাদ)
এদিকে আরও একটি চিঠিতে লেখা রয়েছে –
প্রধানমন্ত্রী (কোঙ্কনি ভাষাতে) – সংসার পাড়ওয়ার শুভকামনা! (হিন্দি অনুবাদ)
পরের বার্তায় লেখা আছে –
প্রধানমন্ত্রী (মারাঠি ভাষাতে) – গুড় পাড়ওয়া উপলক্ষে হার্দিক শুভেচ্ছা ! (হিন্দি অনুবাদ)
আমাদের এক বন্ধু লিখেছেন –
প্রধানমন্ত্রী (মালয়ালম ভাষাতে) – সবাইকে বিষু পরবের শুভকামনা! (হিন্দি অনুবাদ)
আরও একটি বার্তা আছে –
প্রধানমন্ত্রী (তামিল ভাষাতে) – সবাইকে নববর্ষে (পুথান্ডু)-র শুভকামনা! (হিন্দি অনুবাদ)
বন্ধুরা, আপনারা এটা তো বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই, এগুলো ভিন্ন ভিন্ন ভাষাতে পাঠানো শুভেচ্ছা। কিন্তু আপনারা কি এগুলোর কারণ জানেন? আরে, এটাই তো সেই বিশেষ কথা, যা আমি আপনাদের সঙ্গে বিনিময় করতে যাচ্ছি। আমাদের দেশের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে আজ এবং আগামী কয়েক দিনে নতুন বছর শুরু হতে যাচ্ছে। আরে, এই সমস্ত বার্তায় নববর্ষ এবং অন্য পার্বণসমূহের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এই জন্যই আমাকে মানুষ আলাদা আলাদা ভাষায় শুভকামনা পাঠিয়েছেন।
বন্ধুরা, আজ কর্ণাটকে, অন্ধ্রপ্রদেশে, তেলেঙ্গানায় উগাদি পার্বণ খুব ধুমধাম করে উদযাপিত হচ্ছে। আজকেই মহারাষ্ট্রে গুড়ি পাড়ওয়া উদযাপিত হচ্ছে। বৈচিত্র্যময় আমাদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে আগামী কয়েক দিনে— আসামে রঙ্গালি বিহু, বাংলায় পয়লা বৈশাখ, কাশ্মীরে নৌরেহ উৎসব পালিত হবে। এইভাবে ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে দেশের আলাদা আলাদা প্রান্তে উৎসবের ব্যাপক উদযাপন দেখা যাবে। আর এ নিয়ে উৎসাহের পরিবেশ, সেই সঙ্গে ঈদ উৎসবও তো আসছে! তার মানে গোটা মাসটাই উৎসবে মুখর, পার্বণের দখলে। আমি দেশের মানুষকে এই সমস্ত উৎসবের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের এই উৎসবগুলি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের হতে পারে, কিন্তু সেগুলি এটাই দেখায়, কীভাবে আমাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে একতার বীজ পোতা আছে| এই একতার ভাবনাকেই আমাদের নিরন্তর শক্তিশালী করার প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে।
বন্ধুরা, যখন পরীক্ষা আসে, আমি যুব-বন্ধুদের সঙ্গে পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করে থাকি| এখন পরীক্ষা হয়ে গেছে। অনেক স্কুলেই ফের ক্লাস শুরু হওয়ার তোড়জোর চলছে। এর পর গ্রীষ্মের ছুটির সময়ও আসতে চলেছে। বছরের এই সময়ের জন্য শিশুরা খুব অপেক্ষা করে। ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল, যখন আমি আর আমার বন্ধুরা সারাদিন কিছু না কিছু দুষ্টুমি করতাম। তবে একই সঙ্গে আমরা গঠনমূলক কাজও করেছি এবং শিখেছি। গ্রীষ্মের দিনগুলি দীর্ঘ এবং শিশুদের অনেক কিছু করার আছে। এ হলো নতুন কোনো শখ গ্রহণ করার এবং নিজের দক্ষতাকে আরও উন্নত করার সময়। আজ শিশুদের জন্য এমন প্ল্যাটফর্মের অভাব নেই, যেখানে তারা অনেক কিছু শিখতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও সংস্থা একটি প্রযুক্তি শিবির পরিচালনা করে, শিশুরা সেখানে অ্যাপ তৈরির পাশাপাশি ওপেন সোর্স সফ্টওয়্যার সম্পর্কে শিখতে পারে| যদি সেটি পরিবেশ, থিয়েটার বা নেতৃত্বের বিষয় হয় তবে এই জাতীয় বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কোর্স রয়েছে, তাই আপনিও তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন। অনেক স্কুল আছে যারা বক্তৃতা বা নাটক শেখায়, এগুলো শিশুদের জন্য খুবই উপযোগী। এই সব ছাড়াও, আপনি এই ছুটির দিনে অনেক জায়গায় স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মসূচি এবং সেবামূলক কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নিতে পারেন। এ ধরনের অনুষ্ঠানে যোগদানের ব্যাপারে আমি বিশেষ অনুরোধ জানাবো। যদি কোনো সংস্থা, স্কুল বা সামাজিক প্রতিষ্ঠান বা বিজ্ঞান কেন্দ্র এই ধরনের গ্রীষ্মকালীন কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে, তাহলে অবশ্যই হ্যাশ ট্যাগ মাই হলিডেজ-এ তা শেয়ার করুন। এর মাধ্যমে সারা দেশের শিশু ও তাদের অভিভাবকরা সেগুলি সম্পর্কে সহজে তথ্য পেয়ে যাবেন।
আমার তরুণ বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে মাই-ভারত বিশেষ ক্যালেন্ডার নিয়ে আলোচনা করতে চাই, যা এই গ্রীষ্মের ছুটির জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই ক্যালেন্ডারের একটি কপি বা নমুনা বর্তমানে আমার সামনে রাখা আছে। আমি এই ক্যালেন্ডার থেকে কিছু অনন্য উদ্যোগের কথা জানাতে চাই। উদাহরণস্বরূপ, মাই-ভারত-এর স্টাডি ট্যুরে, আপনি জানতে পারবেন কীভাবে আমাদের 'জন ঔষধি কেন্দ্র' কাজ করে। প্রাণবন্ত গ্রাম অভিযানের অংশ হয়ে আপনি সীমান্ত গ্রামে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এর পাশাপাশি, কেউ অবশ্যই সেখানে সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া কর্মসূচির অংশীদার হতে পারেন।
আপনিও আম্বেদকর জয়ন্তীতে মিছিলে অংশ নিয়ে সংবিধানের মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও আমি ছোটদের এবং তাদের পিতামাতার কাছে তাদের ছুটির অভিজ্ঞতা হ্যাশ ট্যাগ হলিডে মেমোরিজ-এ জানানোর জন্য একটি বিশেষ অনুরোধ করছি। আমি আসন্ন 'মন কি বাত'-এ আপনাদের অভিজ্ঞতাগুলি অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করব।
আমার প্রিয় দেশবাসী, গ্রীষ্মকাল শুরু হলেই প্রতিটি শহরে, গ্রামে গ্রামে জল সংরক্ষণের প্রস্তুতি শুরু হয়। অনেক রাজ্যে, জল সংগ্রহ এবং জল সংরক্ষণ সংক্রান্ত কাজ নতুন গতি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ লক্ষ্যে কাজ করছে।
দেশে হাজার হাজার কৃত্রিম জলাশয়, নিয়ন্ত্রক বাঁধ, বোরওয়েল রিচার্জ, কমিউনিটি সোক পিট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ‘বৃষ্টি ধরো’ অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই প্রচারঅভিযানও সরকারের নয়, সমাজের, জনগণের। জল সংরক্ষণের সঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে সংযুক্ত করতে, জলসঞ্চয় জনঅংশীদারিত্বের প্রচারও চালানো হচ্ছে। আমরা যে প্রাকৃতিক সম্পদ পেয়েছি, তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা।
বন্ধুরা, বৃষ্টির ফোঁটা সংরক্ষণ করে আমরা অনেক জল অপচয় প্রতিহত করতে পারি। গত কয়েক বছরে এই অভিযানের আওতায় দেশের অনেক জায়গায় জল সংরক্ষণের নজিরবিহীন কাজ করা হয়েছে। আমি আপনাদের একটি আকর্ষণীয় পরিসংখ্যান দিতে পারি— গত ৭-৮ বছরে, নতুন তৈরি জলাশয়, পুকুর এবং অন্যান্য জল-পুনরুজ্জীবিত পরিকাঠামোর মাধ্যমে ১১ বিলিয়ন ঘনমিটার জল সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন আপনি ভাববেন যে ১১ বিলিয়ন ঘনমিটার জল মানে কত?
বন্ধুরা, ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধে জমে থাকা জলের ছবি আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন। এই জল গোবিন্দ সাগর হ্রদ তৈরি করেছে। শুধুমাত্র এই হ্রদের দৈর্ঘ্যই ৯০ কিলোমিটারেরও বেশি। এমনকি এই হ্রদে ৯-১০ বিলিয়ন ঘনমিটারের বেশি জল সংরক্ষণ করা যায় না।
মাত্র ৯-১০ বিলিয়ন ঘনমিটার! আর তাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় দেশবাসী ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ১১ বিলিয়ন ঘনমিটার জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন— বলুন, এটা কি দারুণ প্রয়াস নয়?
বন্ধুরা, কর্ণাটকের ‘গদগ’ জেলার মানুষও এদিক দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কয়েক বছর আগে এখানকার দুটি গ্রামের হ্রদ পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। একটা সময় এমন হয়েছিলো যে, পশুপাখিদের পান করার মতো জলও অবশিষ্ট ছিল না। ধীরে ধীরে হ্রদটি আগাছা আর ঝোপঝাড়ে ভরে উঠল। কিন্তু গ্রামের কিছু মানুষ হ্রদকে পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজে লেগে পড়েন। আর কথায় আছে, ‘ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়’। গ্রামের মানুষের এই চেষ্টা দেখে আশেপাশের সামাজিক সংগঠনও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। সবাই মিলে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে কিছুদিনের মধ্যেই পুরো জলাশয় সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে ফেলেন। এখন মানুষ বর্ষার অপেক্ষায়। প্রকৃতপক্ষে, তা হলো 'বৃষ্টির জল ধরে রাখার' উদ্যোগ প্রচারের একটি দুর্দান্ত উদাহরণ।
বন্ধুরা, আপনিও সামাজিক ভাবে এই ধরনের প্রচেষ্টায় যোগ দিতে পারেন। এই গণআন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হলে এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে, আর একটা কথা মনে রাখতে হবে— সম্ভব হলে গরমে বাড়ির সামনের পাত্রে ঠান্ডা জল রাখুন। বাড়ির ছাদে বা বারান্দায়ও পাখিদের জন্য জল রাখুন। দেখুন এই মহৎ কাজটি করে আপনার কত ভালো লাগবে।
বন্ধুরা, এখন 'মন কি বাত'-এ আমরা সাহসিকতার উড়ান নিয়ে, সমস্যা সংকুলতা সত্ত্বেও সাহস দেখানো নিয়ে কথা বলব! মাত্র কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমসে খেলোয়াড়রা আবারও তাদের নিষ্ঠা ও প্রতিভা দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। এবার এসব খেলায় আগের চেয়ে অনেক বেশি খেলোয়াড় অংশ নিয়েছেন। এতে বোঝা যায় প্যারা স্পোর্টস কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমসে অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়দের তাদের দুরন্ত প্রয়াসের জন্য আমি অভিনন্দন জানাই। আমি হরিয়ানা, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশের খেলোয়াড়দের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনের জন্য শুভকামনা জানাই। এই গেমস চলাকালীন, আমাদের দিব্যাঙ্গ খেলোয়াড়রা ১৮টি জাতীয় রেকর্ডও তৈরি করেন। এর মধ্যে ১২টি রেকর্ড গড়েছেন আমাদের মহিলা খেলোয়াড়রা। আর্ম রেসলার জোবি ম্যাথিউ, যিনি এই বছরের খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছেন, তিনি আমাকে একটি চিঠি লিখেছেন। আমি তার চিঠির কিছু অংশ পড়তে চাই। তিনি লিখেছেন—
"একটি পদক জেতা খুব অনন্য বিষয়, কিন্তু আমাদের লড়াই শুধুমাত্র মঞ্চে দাঁড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমরা প্রতিদিন কোনো না কোনো যুদ্ধ করি। জীবন আমাদের বিভিন্ন উপায়ে পরীক্ষা নেয়, খুব কম মানুষই আমাদের সেই লড়াই বোঝে। তবুও, আমরা সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাই। আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করি। আমরা বিশ্বাস করি আমরা কারো থেকে কম নই।"
বাহ! জোবি ম্যাথিউ আপনি দারুণ লিখেছেন, অসাধারণ লিখেছেন। এই চিঠির জন্য আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি জোবি ম্যাথিউ এবং আমাদের সমস্ত দিব্যাঙ্গ বন্ধুদের বলতে চাই যে, আপনাদের প্রয়াস আমাদের জন্য একটি মহান অনুপ্রেরণা।
বন্ধুরা, দিল্লিতে আরেকটি জমকালো অনুষ্ঠান অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং তাদের উদ্দীপনায় পরিপূর্ণ করেছে। একটি উদ্ভাবনী ভাবনা হিসাবে প্রথমবারের মতো ফিট ইন্ডিয়া কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ অংশ নেন। তাদের সবার একই লক্ষ্য ছিল— ফিট থাকা এবং ফিটনেস সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। এই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা তাদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পুষ্টি সম্পর্কিত তথ্য পেয়েছেন। আমি আপনাকে আপনার এলাকায় এই ধরনের কার্নিভালের আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করছি। এই উদ্যোগে মাই-ভারত আপনার জন্য খুব সহায়ক হতে পারে।
বন্ধুরা, আমাদের দেশীয় খেলাধুলা এখন জনপ্রিয় সংস্কৃতির চেহারায় মিলেমিশে যাচ্ছে। বিখ্যাত র্যাপার হনুমান কাইন্ডকে তো আপনারা সবাই জানেনই। বর্তমানে তার নতুন গান "রান ইট আপ" বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর মধ্যে যোগ করা হয়েছে কালারিপায়াত্তু, গাটকা এবং থাং-তার মত আমাদের ঐতিহ্যবাহী মার্শাল আর্ট। আমি হনুমান কাইন্ডকে অভিনন্দন জানাই যে, তার চেষ্টাতেই বিশ্বের মানুষ আমাদের ঐতিহ্যবাহী মার্শাল আর্ট বা সমর শিল্প সম্পর্কে জানতে পারছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, প্রতি মাসে মাই-গভ (MyGov) এবং নমো (NaMo) অ্যাপে আপনাদের অসংখ্য বার্তা পাই। কিছু বার্তা আমার মন ছুঁয়ে যায়, আবার কিছু গর্বে ভরিয়ে তোলে। অনেক সময় এই বার্তাগুলোর মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে অনন্য তথ্য জানতে পারি। এইবার যে বার্তাটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তা আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। বারাণসীর অথর্ব কাপুর, মুম্বইয়ের আর্যশ লিখা এবং অত্রেয় মান আমার সাম্প্রতিক মরিশাস সফর নিয়ে তাদের অনুভূতি লিখে পাঠিয়েছেন। তারা লিখেছেন, এই সফরের সময় 'গীত গাওয়াই' এর পরিবেশনা দেখে তারা অসম্ভব আনন্দ পেয়েছেন। পূর্ব-উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে আসা বহু চিঠিতেও আমি এমনই আবেগ অনুভব করতে পেরেছি। মরিশাসে 'গীত গাওয়াই'র অসাধারণ পরিবেশনার সময় যে অনুভূতি হয়েছিল, তা সত্যিই অপূর্ব।
বন্ধুগণ, যখন আমরা আমাদের শেকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকি, তখন যত বড় ঝড়ই আসুক না কেন, সেটি আমাদের টলাতে পারে না। কল্পনা করুন, প্রায় ২০০ বছর আগে ভারত থেকে বহু মানুষ ‘গিরমিটিয়া’ শ্রমিক (চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক) হিসেবে মরিশাসে গিয়েছিলেন। কেউ জানতেন না সামনে কী অপেক্ষা করছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা সেখানে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তারা তাদের ঐতিহ্যকে আগলে রেখেছেন এবং শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। কিন্তু শুধু মরিশাসই নয়, এটাই একমাত্র উদাহরণ নয়। গত বছর যখন আমি গায়ানায় গিয়েছিলাম, তখন সেখানকার 'চৌতাল' পরিবেশনা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
বন্ধুগণ, এখন আমি আপনাদের একটি অডিও শোনাতে চাই।
** (অডিও ক্লিপ):
আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন, এটি তো আমাদের দেশের কোনো অংশের ব্যাপার। কিন্তু আপনাদের এটা জেনে অবাক লাগবে যে, এর সম্পর্ক ফিজির সঙ্গে রয়েছে। এটি ফিজির অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘ফগওয়া চৌতাল’। এই গান ও সঙ্গীত যে কারও মন উজ্জীবিত করে তোলে।
আমি আপনাদের আরেকটি অডিও শোনাতে চাই।
** (অডিও ক্লিপ):
এটি সুরিনামের ‘চৌতাল’ অডিও। এই অনুষ্ঠান টেলিভিশনে দেখছেন এমন দেশবাসীরা, সূরিনামের রাষ্ট্রপতি এবং আমার বন্ধু ‘চান সন্তোখি’জিকে এটি উপভোগ করতে দেখছেন। বৈঠক ও গানের এই ঐতিহ্য ট্রিনিদাদ ও টোবাগোতেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই সমস্ত দেশে মানুষ রামায়ণ নিয়মিত পাঠ করেন। এখানে ‘ফগওয়া’ অত্যন্ত জনপ্রিয়, এবং সমস্ত ভারতীয় উৎসব ও পর্বগুলো বিপুল উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করা হয়। এখানকার অনেক গানই ভোজপুরি, অবধি বা মিশ্র ভাষায় রচিত, কখনো কখনো ব্রজ ও মৈথিলী ভাষারও ব্যবহার হয়। এই দেশগুলিতে আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে চলা মানুষদের অবশ্যই প্রশংসা প্রাপ্য।
সাথীগণ, পৃথিবীতে এমন বহু সংস্থা রয়েছে, যারা বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণের কাজ করে চলেছে। এরকমই একটি সংস্থা হলো— ‘সিঙ্গাপুর ইন্ডিয়ান ফাইন আর্টস সোসাইটি’। ভারতীয় নৃত্য, সঙ্গীত ও সংস্কৃতির সংরক্ষণে নিয়োজিত এই সংস্থা গৌরবময় ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি শ্রীযুক্ত থার্মান শানমুগারত্নমজি সম্মাননীয় অতিথি ছিলেন। তিনি এই সংস্থার প্রচেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। আমি এই সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
সাথীগণ, ‘মন কি বাত’-এ আমরা দেশবাসীর সাফল্যের পাশাপাশি প্রায়ই সামাজিক বিষয়গুলোও আলোচনা করি। অনেক সময় আমরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলি। এইবার ‘মন কি বাত’-এ আমি এমন একটি চ্যালেঞ্জের কথা বলতে চাই, যা সরাসরি আমাদের সবার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই চ্যালেঞ্জ হলো ‘টেক্সটাইল বর্জ্য’। আপনারা ভাবছেন, এই ‘টেক্সটাইল বর্জ্য’ আবার কী নতুন বিপদ? আসলে, টেক্সটাইল বর্জ্য এখন গোটা বিশ্বের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। আজকাল পুরোনো পোশাক দ্রুত সরিয়ে নতুন পোশাক নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, যে পোশাকগুলো আপনি ফেলে দেন, সেগুলোর কী হয়? এগুলোই টেক্সটাইল বর্জ্যে পরিণত হয়। এই বিষয়ে বহু বৈশ্বিক গবেষণা চলছে। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, মাত্র এক শতাংশেরও কম টেক্সটাইল বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়— এক শতাংশেরও কম! ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ, যেখানে সবচেয়ে বেশি টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অর্থাৎ, এই চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্যও বেশ বড়। কিন্তু আমি আনন্দিত যে, আমাদের দেশে এই সমস্যার সমাধানের জন্য বহু প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একাধিক ভারতীয় স্টার্ট-আপ টেক্সটাইল পুনরুদ্ধার কেন্দ্র তৈরির কাজে লেগে পড়েছে। কিছু দল আমাদের সমাজের বর্জ্য সংগ্রহকারী ভাই-বোনদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে। অনেক তরুণ বন্ধু ‘সাসটেইনেবল ফ্যাশন’-এর প্রচেষ্টায় যুক্ত রয়েছেন। তারা পুরোনো পোশাক ও জুতো পুনর্ব্যবহার করে সেগুলো প্রয়োজনীয় মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
টেক্সটাইল বর্জ্য থেকে নানা ধরনের শৌখিন সামগ্রী, হ্যান্ডব্যাগ, স্টেশনারি ও খেলনা তৈরি করা হচ্ছে। বহু প্রতিষ্ঠান আজকাল ‘সার্কুলার ফ্যাশন ব্র্যান্ড’ জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছে। নতুন নতুন ‘রেন্টাল প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি হচ্ছে, যেখানে ডিজাইনার পোশাক ভাড়ায় পাওয়া যায়। কিছু প্রতিষ্ঠান পুরোনো পোশাক সংগ্রহ করে সেগুলো পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে গরিবদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
বন্ধুগণ, টেক্সটাইল বর্জ্য মোকাবিলায় কিছু শহরও তাদের নতুন পরিচিতি গড়ে তুলছে। হরিয়ানার পানিপথ এখন টেক্সটাইল রিসাইক্লিং-এর একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসছে। বেঙ্গালুরুও উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগত সমাধানের মাধ্যমে নিজস্ব স্বতন্ত্রতা তৈরি করছে। এখানে অর্ধেকেরও বেশি টেক্সটাইল বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়, যা আমাদের অন্যান্য শহরগুলোর জন্যও একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। একইভাবে, তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুর বর্জ্য জল পরিশোধন (ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট) এবং পুনর্নবীকরণ শক্তির মাধ্যমে টেক্সটাইল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে নিযুক্ত রয়েছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ ফিটনেসের পাশাপাশি গণনার বা কাউন্টেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনি দিনে কতটা হাঁটলেন, তার গণনা; দিনে কত ক্যালোরি খাওয়া হলো, তার গণনা; কত ক্যালোরি পোড়ানো হলো, তারও গণনা। এতসব গণনার মাঝে আরেকটি কাউন্টডাউন শুরু হতে চলেছে—আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কাউন্টডাউন।
যোগ দিবস এখন ১০০ দিনেরও কম সময় বাকি। যদি এখনো পর্যন্ত আপনি নিজের জীবনে যোগব্যায়ামকে অন্তর্ভুক্ত না করে থাকেন, তাহলে এখনই শুরু করে দিন—এখনো দেরি হয়নি। ১০ বছর আগে, ২১ জুন ২০১৫-তে প্রথম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপিত হয়েছিল। আজ এই দিনটি একটি বিশাল উৎসবের রূপ নিয়েছে। মানবতার জন্য ভারতের দেওয়া এই অনন্য উপহার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে চলেছে। ২০২৫ সালের যোগ দিবসের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে—‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ’—‘যোগ ফর ওয়ান আর্থ, ওয়ান হেলথ’। অর্থাৎ, আমরা যোগের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে সুস্থ করার কামনা করি।
সাথীগণ, এটি আমাদের সকলের জন্য গর্বের বিষয় যে, আজ বিশ্বজুড়ে আমাদের যোগ ও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ছে। বিপুল সংখ্যক যুবক-যুবতী যোগ ও আয়ুর্বেদকে সুস্থতার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করছেন। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিকে ধরা যাক—সেখানে আয়ুর্বেদ দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। গত বছর, আমি ব্রাজিল সফরের সময় চিলির রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আয়ুর্বেদের এই জনপ্রিয়তা নিয়ে আমাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল। আমি ‘সমোস ইন্ডিয়া’ নামে একটি দলের সম্পর্কে জানতে পেরেছি। স্প্যানিশ ভাষায় এর অর্থ—‘আমরা ভারত’। এই দলটি প্রায় এক দশক ধরে যোগ ও আয়ুর্বেদের প্রসারে কাজ করছে। তারা চিকিৎসার পাশাপাশি শিক্ষামূলক কর্মসূচিতেও মনোযোগ দিয়েছে। তারা আয়ুর্বেদ ও যোগসংক্রান্ত তথ্য স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদও করাচ্ছে। শুধু গত বছরের কথা বললে, তাদের বিভিন্ন ইভেন্ট ও কোর্সে প্রায় ৯ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। আমি এই দলের সঙ্গে যুক্ত সকলকে তাদের এই প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
আমার প্রিয় দেশবাসীগণ, ‘মন কি বাত’-এ এবার এক মজাদার ও একটু ভিন্ন ধরনের প্রশ্ন! আপনারা কি কখনো ফুলের অভিযাত্রা নিয়ে ভেবেছেন? যেমন, গাছপালার কিছু ফুল মন্দিরে পৌঁছে, কিছু ফুল বাড়িকে সুন্দর করে তোলে, আবার কিছু ফুল সুগন্ধীতে মিশে চারপাশে মনোমুগ্ধকর সুবাস ছড়ায়। কিন্তু আজ আমি আপনাদের ফুলের আরেকটি ভিন্ন অভিযাত্রার গল্প বলব। আপনারা নিশ্চয়ই মহুয়া ফুলের কথা শুনেছেন। আমাদের গ্রামাঞ্চলে, বিশেষ করে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষেরা এর গুরুত্ব খুব ভালোভাবেই বোঝেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহুয়া ফুলের অভিযাত্রা এখন এক নতুন পথে এগোচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলায় মহুয়া ফুল থেকে বিস্কুট তৈরি করা হচ্ছে! রাজাখোঁ গ্রামের চার বোনের প্রচেষ্টায় এই বিস্কুট অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই নারীদের দৃঢ়তা দেখে একটি বড় কোম্পানি তাদের একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ শেখানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামের আরও অনেক নারী তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ফলে মহুয়া বিস্কুটের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ঠিক তেমনই, তেলেঙ্গানার আদিলাবাদ জেলায় দুই বোন মহুয়া ফুল দিয়ে অভিনব এক পরীক্ষা চালিয়েছেন। তারা এই ফুল থেকে নানা রকমের সুস্বাদু খাবার তৈরি করছেন, যা মানুষ খুবই পছন্দ করছেন। তাদের তৈরি খাবারের স্বাদে জনজাতি সংস্কৃতির এক বিশেষ মিষ্টতা রয়েছে।
বন্ধুগণ, এইবার আমি আপনাদের আরেকটি অসাধারণ ফুলের কথা বলব, যার নাম ‘কৃষ্ণ কমল’। আপনারা কি কখনও গুজরাটের একতা নগরে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ দেখতে গিয়েছেন? যদি যান, তাহলে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, স্ট্যাচুর আশপাশে প্রচুর পরিমাণে কৃষ্ণ কমল ফুল ফুটে থাকে। এই ফুলগুলোর সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। একতা নগরের ‘আরোগ্য বন’, ‘একতা নার্সারি’, ‘বিশ্ব বন’ এবং ‘মিয়াওয়াকি ফরেস্ট’-এ ‘কৃষ্ণ কমল’ একটি বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। এখানে পরিকল্পিতভাবে লাখ লাখ ‘কৃষ্ণ কমল’ গাছ লাগানো হয়েছে, যা এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আপনার চারপাশে তাকালে হয়তো এমন অনেক ফুলের আকর্ষণীয় অভিযাত্রা দেখতে পাবেন। যদি আপনার অঞ্চলেও ফুলের এমন কোনো চমকপ্রদ কাহিনি থাকে, তাহলে অবশ্যই আমাকে লিখে জানাবেন।
আমার প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবসময় আমার সঙ্গে আপনাদের মতামত, অভিজ্ঞতা এবং তথ্য শেয়ার বা ভাগ করে নেন, যা আমাকে খুব আনন্দ দেয়। হতে পারে, আপনার চারপাশে কিছু এমন ঘটছে যা সাধারণ মনে হয়, কিন্তু অন্যদের জন্য তা হতে পারে অত্যন্ত নতুন ও আকর্ষণীয়। আগামী মাসে আবার দেখা হবে, যেখানে দেশবাসীদের এমন সব কাহিনি নিয়ে আলোচনা করবো যা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।
আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, নমস্কার!
***
SKC/AGT/KMD
(रिलीज़ आईडी: 2116901)
आगंतुक पटल : 101
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English