ভোক্তা বিষয়ক,খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রক
পেঁয়াজ রপ্তানির উপর ২০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার; ২০২৫ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর
Posted On:
22 MAR 2025 7:18PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ২২ মার্চ, ২০২৫: ভারত সরকার ২০২৫ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির উপর ২০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আজ রাজস্ব ও ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
দেশে পেয়াঁজের অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের জন্য শুল্ক আরোপ, সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য বা এমইপি এবং ২০২৩ সালের ৮ই ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩রা মে পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাস ধরে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মতো ব্যবস্থা আরোপ করেছিল। বর্তমানে যে ২০ শতাংশ রপ্তানি মাশুল প্রত্যাহার করা হয়, তা ২০২৪ এর ১৩ই সেপ্টেম্বর থেকে চালু করা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মোট পেঁয়াজ রপ্তানি ছিল ১৭.১৭ লক্ষ মেট্রিক টন এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৮ই মার্চ পর্যন্ত ছিল ১১.৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ০.৭২ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ১.৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রবি ফসল হিসাবে পেঁয়াজের প্রত্যাশিত ফলনের পর যখন মজুরী এবং খুচরো দাম কমে গেছে, তখন এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গ্রাহকদের কাছে পেঁয়াজের সাশ্রয় বজায় রেখে কৃষকদের জন্য লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির আরেকটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত। যদিও, বর্তমান মজুরীর দাম আগের বছরগুলির সংশ্লিষ্ট সময়কালের চেয়ে উর্ধে উঠেছে, তবুও সর্বভারতীয় ওজনযুক্ত গড় দাম ৩৯% কমেছে। একইভাবে, গত এক মাসে সর্বভারতীয় গড় খুচরো মূল্য ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
চলতি মাস থেকে বাজারে লাসালগাঁও ও পিম্পলগাঁওয়ে পেঁয়াজের যোগান বেড়েছে, যার ফলে দাম অনেক কমেছে। ২০২৫ এর ২১ মার্চ, লাসালগাঁও এবং পিম্পলগাঁও-এ পেঁয়াজের মূল্য ছিল যথাক্রমে কুইন্টাল প্রতি ১৩৩০ টাকা এবং ১৩২৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, এ বছর রবি উৎপাদনের পরিমাণ ২২৭ লক্ষ মেট্রিক টন (এলএমটি), যা গত বছরের ১৯২ লক্ষ মেট্রিক টনের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। রবি শস্য হিসাবে পেঁয়াজ, যা ভারতের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের ৭০-৭৫% গঠন করে, অক্টোবর/নভেম্বর থেকে খরিফ ফসলের আগমনের আগ পর্যন্ত মোটামুটিভাবে সরবরাহ এবং দামের স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মরশুমে আনুমানিক বেশি উৎপাদন আগামী মাসগুলিতে বাজারের দাম আরও কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে দেশ যখন তুলনামূলক কম উৎপাদন এবং উচ্চ আন্তর্জাতিক মূল্যের সমস্যায় জর্জরিত ছিল, তখন আভ্যন্তরীন উৎপাদন এবং দামের স্থিতিশীল অবস্থা দেশের জন্য স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।
***
SKC/KG/pS
(Release ID: 2114203)
Visitor Counter : 13