পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেরোসিনের বিকল্প হিসেবে দূষণমুক্ত জ্বালানির প্রসারে উদ্যোগী সরকার

Posted On: 17 MAR 2025 4:17PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৭ মার্চ, ২০২৫


রান্নাবান্না এবং আলো জ্বালানোর জন্য সরকার গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে কেরোসিন সরবরাহ করে। এছাড়া রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি গণবন্টন ব্যবস্থায় সরবরাহ করা কেলোসিনের এক মাসের কোটা তুলতে পারে। এগুলি প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মৎস্য ক্ষেত্র, বিভিন্ন যাত্রার মতো বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কেরোসিনের থেকে যে দূষণ ছড়ায় তা প্রতিহত করতে সরকার কেরোসিনের ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। গণবন্টন ব্যবস্থায় সরবরাহ করা কেরোসিন স্বেচ্ছায় ত্যাগ করলে রাজ্যগুলিকে আর্থিক উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত ১৩টি রাজ্য কেলোসিন মুক্ত হয়েছে।

দূষণমুক্ত জ্বালানির দিকে হাঁটার লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে গঠিত আন্তর্জাতিক সৌর জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হল ভারত। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জি২০ সভাপতিত্বের সময়ে ভারতের উদ্যোগে বিশ্ব জৈব জ্বালানি জোটের সূত্রপাত হয়েছে। চলতি বছরের ইন্ডিয়া এনার্জি উইকে ভারত রান্নার দূষণমুক্ত জ্বালানি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। এতে উন্নয়নশীল দেশগুলির এসংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা হয়। 

দূষণমুক্ত জ্বালানি প্রসারে ভারত বহুমাত্রিক কৌশল অবলম্বন করেছে। প্রাকৃতিক গ্যাস ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে ইথানল, বায়ো গ্যাস, বায়ো ডিজেল উৎপাদনের উপর। যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে কমপ্রেসড বায়ো গ্যাসের (সিবিজি) ব্যবহারকে উৎসাহ দিতে Sustainable Alternative Towards Affordable Transportation (SATAT) উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

আলো জ্বালানোর ক্ষেত্রে কেরোসিনের বিকল্প হিসেবে ভারত ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উপর জোর দিচ্ছে। এজন্য সৌভাগ্য (প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলি হর ঘর যোজনা) দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামজ্যোতি যোজনা (ডিডিইউজিজেওয়াই) প্রভৃতি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

গরীব পরিবারগুলিতে রান্নার দূষণমুক্ত জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১৬ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা চালু করা হয়েছে। এই যোজনার গ্রাহকরা যাতে গ্যাস সিলিন্ডার কম দামে কিনতে পারেন সেজন্য বছরে ১২টি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে সরকার ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দিচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। দিল্লিতে বর্তমানে ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার ভর্তুকি মূল্যে ৫০৩ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দেশজুড়ে ১০.৩৩ কোটি উজ্জ্বলা গ্রাহক এই সুবিধা ভোগ করছেন।

এলপিজি-র ব্যবহার বাড়াতে এবং এই নিয়ে সচেতনতার প্রসারে হোডিং, ব্যানার, রেডিও জিঙ্গল প্রভৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচারমূলক অভিযান চালানো হচ্ছে। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় এই নিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। এলপিজি সংযোগ পাওয়ার প্রক্রিয়ার সরলীকরণ করা হয়েছে। ১৪.২ কেজির পাশাপাশি ৫ কেজির সিলিন্ডারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এলপিজি-র নতুন ডিস্ট্রিবিউটারশিপ দেওয়া হচ্ছে। সরকারের এই সব উদ্যোগের সুবাদে ভারতে এলপিজি-র ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে এলপিজি ব্যবহারের হার ছিল ৬২ শতাংশ, বর্তমানে তা পরিপূর্ণতার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতিমন্ত্রী শ্রী সুরেশ গোপী এই তথ্য জানিয়েছেন।

 

SC/SD/SKD


(Release ID: 2112180)
Read this release in: English , Urdu , Hindi , Gujarati