বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক
উত্তর-পূর্ব ভারত কেশর চাষের পরবর্তী কেন্দ্র হয়ে উঠবে, কৃষি-প্রযুক্তি বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলোজি অ্যাপ্লিকেশন এন্ড রিচ বা এনইসিটিএআরঃ ডা. জিতেন্দ্র সিং
Posted On:
13 MAR 2025 5:31PM by PIB Agartala
নতুন দিল্লি ১৩ মার্চ ২০২৫: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূ-বিজ্ঞান পারমাণবিক শক্তি বিভাগ, মহাকাশ বিভাগ, কর্মীবল, জন অভিযোগ এবং পেনশন মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডা. জিতেন্দ্র সিংহ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে, ২০২১ সাল থেকে সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ এবং মেঘালয় জুড়ে কেশর চাষের প্রসার ঘটে চলেছে। বর্তমানে মেনচুখা (অরুণাচল প্রদেশ) এবং জূকসম (সিকিম) এ বৃহৎ পরিসরে কেশর চাষ চলছে, এবং নগাল্যান্ড এবং মণিপুরেও এর প্রসারের পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে, জম্মু ও কাশ্মীরের পাম্পোরের পরে উত্তর-পূর্ব ভারত কেশরের কেন্দ্রস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এই উদ্যোজের জন্য পতিত জমি ব্যবহার করা হবে। যাতে করে, বিদ্যমান ফসলের ব্যাঘাত না করে কৃষি সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।

শিলংয়ে নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলোজি অ্যাপ্লিকেশন এন্ড রিচ বা এনইসিটিএআর কেন্দ্রের নতুন স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সময়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উত্তর-পূর্বকে ভারতকে পরবর্তী কেশর কেন্দ্রে পরিণত করার ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনাগুলি তুলে ধরেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রযুক্তিগত ও কৃষিক্ষেত্রের অগ্রগতির মাধ্যমে এই অঞ্চলের দ্রুত রূপান্তরের নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।

এই অনুষ্ঠানে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বিগত এক দশকে উল্লেখযোগ্য পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে এই অঞ্চলের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। সম্প্রসারিত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আকাশপথে পরিবহনের মতো উদ্যোগগুলি প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি। ২০১৪ সালের আগের এবং আজকের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে, পরিবর্তন স্পষ্ট। যেখানে একসময় যোগাযোগ ব্যবস্থায় সঙ্কট ছিল, সেখানে এখন মজবুত পরিকাঠামো রয়েছে, যার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সম্ভব হয়ে উঠছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে ২০১৪ সালে নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলোজি অ্যাপ্লিকেশন এন্ড রিচ বা এনইসিটিএআর প্রতিষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী উল্লেখ করেন যে এর বিকাশ এই অঞ্চলে আত্মনির্ভরতা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে ল্যাভেন্ডার চাষের মতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কেশর চাষের প্রচার, 'স্বামীত্ব' কর্মসূচির আওতায় ভূমি ম্যাপিংয়ের জন্য ড্রোন প্রযুক্তি এবং বাঁশ ও মধু উৎপাদনের অগ্রগতির মতো নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলোজি অ্যাপ্লিকেশন এন্ড রিচ বা এনইসিটিএআর-এর উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

ডঃ জিতেন্দ্র সিং আরও উল্লেখ করেন যে, প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং বিস্তারের ক্ষেত্রে শেষ মাইলের চ্যালেঞ্জগুলি সমাধানের জন্য নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলোজি অ্যাপ্লিকেশন এন্ড রিচ বা এনইসিটিএআর সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। শিলং-এ নতুন পরিকল্পিত স্থায়ী ক্যাম্পাসটি একটি সহযোগিতামূলক উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে, যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং দক্ষতা বিকাশের সুবিধার্থে কাজ করবে। দেশীয় প্রযুক্তিগত সমাধানগুলিকে একীভূত করে, এই অঞ্চলে সুস্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করে আর্থ-সামাজিক ব্যবধানগুলি দূর করতে এনইসিটিএআর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলোজি অ্যাপ্লিকেশন এন্ড রিচ বা এনইসিটিএআর-এর সম্ভাবনার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে ডঃ জিতেন্দ্র সিং প্রতিষ্ঠানটিকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পরিচয় তৈরি করার আহ্বান জানান। সর্বভারতীয় স্বীকৃতি অর্জনের জন্য, এনইসিটিএআরকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করতে হবে। আইআইটি এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন বিশেষত্ব অর্জন করেছে, তেমনই এনইসিটিএআর-এরও একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উৎকর্ষ অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করা উচিত বলে জানান তিনি।
ভারতের অগ্রগতিতে এই অঞ্চলের ভূমিকার উপর প্রতিফলন করতে গিয়ে, ডা. জিতেন্দ্র সিংহ দাবি করেছেন যে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার পথে উত্তর-পূর্বাঞ্চল একটি মূল চালিকাশক্তি হবে। যখন ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন উত্তর-পূর্বের মতো অঞ্চলগুলি থেকেই মূল্য সংযোজন আসতে হবে। এটিই ভারতের অগ্রগতির পরবর্তী সীমানা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
***
SKC/KG/PS/KMD
(Release ID: 2111575)
Visitor Counter : 6