পরিবেশ, অরন্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক
সংসদে প্রশ্নোত্তর : আরও এলাকাকে সবুজ আচ্ছাদনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পদক্ষেপ
Posted On:
06 FEB 2025 3:38PM by PIB Agartala
জাতীয় বননীতি (এনএফপি) ১৯৮৮-তে জাতীয় লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে যে, দেশের মোট ভৌগোলিক এলাকার জমির ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ বন বা বৃক্ষ আচ্ছাদিত হাতে হবে এবং পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষেত্রে মোট দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা বনভূমি অর্থাৎ বন বা বৃক্ষ আচ্ছাদিত থাকবে।
ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এফ. এস. আই), দেরাদুন কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ ইন্ডিয়া স্টেট অফ ফরেস্ট রিপোর্ট (আই এস এফ আর)-২০২৩ অনুসারে, দেশে বৃক্ষ এবং বনাঞ্চল আচ্ছাদিত মোট এলাকা হলো হল ৮,২৭,৩৫৬.৯৫ বর্গ কিলোমিটার যা দেশের মোট ভৌগোলিক এলাকার ২৫.১৫ %। পূর্ববর্তী ইন্ডিয়া স্টেট অফ ফরেস্ট রিপোর্ট, ২০২১ -এর মূল্যায়নের সাপেক্ষে ২০২৩ এর রিপোর্ট অনুযায়ী বৃক্ষ ও বনাঞ্চল আচ্ছাদিত এলাকার পরিমান বেড়েছে ১৪৪৫.৮১ বর্গ কিলোমিটার।
আইএসএফআর ২০২৩ অনুযায়ী, ভারতে গাছ ও বনাঞ্চল আচ্ছাদিত ভূমির রাজ্য-ভিত্তিক বিবরণ নীচে দেওয়া হলঃ
(বর্গ কিমি)
রাজ্য/কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল
|
ভৌগলিক এলাকা
|
বনাঞ্চল
|
বৃক্ষ আচ্ছাদন
|
বৃক্ষ আচ্ছাদন সহ মোট বনাঞ্চল
|
অন্ধ্র প্রদেশ
|
১,৬২,৯২২.৫৭
|
৩০,০৮৪.৯৬
|
৫,৩৪০.০২
|
৩৫,৪২৪.৯৮
|
অরুনাচল প্রদেশ
|
৮৩,৭৪৩.২২
|
৬৫,৮৮১.৫৭
|
১২০১.৬৩
|
৬৭,০৮৩.২০
|
আসাম
|
৭৮,৪৩৮.০০
|
২৮,৩১৩.৫৫
|
২১০১.৪৬
|
৩০,৪১৫.০১
|
বিহার
|
৯৪,১৬৩.০০
|
৭৫৩২.৪৫
|
২৩৭০.২১
|
৩০,৪১৫.০১
|
ছত্তিশগড়
|
১,৩৫,১৯২.০০
|
৫৫,৮১১.৭৫
|
৬৫৩৮.৭০
|
৬২৩৫০.৪৫
|
দিল্লি
|
১৪৮৩.০০
|
১৯৫.২৮
|
১৭৬.০৩
|
৩৭১.৩১
|
গোয়া
|
৩,৭০২.০০
|
২,২৬৫.৭২
|
২৫৭.৮২
|
২,৫২৩.৫৪
|
গুজরাট
|
১,৯৬,২৪৪.০০
|
১৫,০১৬.৬৪
|
৬৬৩২.২৯
|
২১,৬৪৮.৯৩
|
হরিয়ানা
|
৪৪২১২.০০
|
১৬১৪.২৬
|
১৬৯৩.০২
|
৩৩০৭.২৮
|
হিমাচল প্রদেশ
|
৫৫,৬৭৩.০০
|
১৫৫৮০.৩৫
|
৮৫৫.০৭
|
১৬৪৬৫.৪২
|
ঝারখন্ড
|
৭৯৭১৬.০০
|
২৩৭৬৫.৭৮
|
৩৬৩৭.৫৫
|
২৭৪০৩.৩৩
|
কর্ণাটক
|
১৯১,৭৯১
|
৩৯,২৫৪.২৭
|
৭,৭৭৯.১৫
|
৪৭,০৩৩.৪২
|
কেরালা
|
৩৮,৮৫২.০০
|
২২,০৫৯.৩৬
|
২৯০৫.৯৪
|
২৪,৯৬৫.৩০
|
মধ্যপ্রদেশ
|
৩০৮২৫০.১১
|
৭৭০৭৩.৪৪
|
৮৬৫০.১৪
|
৮৫৭২৩.৫৮
|
মহারাষ্ট্র
|
৩,০৭,৭১৩.০০
|
৫০,৮৫৮.৫৩
|
১৪,৫২৪.৮৮
|
৬৫,৩৮৩.৪১
|
মণিপুর
|
২২,৩২৭.০০
|
১৬,৫৮৫.৪৬
|
২০৯.৮২
|
১৬,৭৯৫.২৮
|
মেঘালয়
|
২২,৪২৯.০০
|
১৬,৯৬৬.৮৪
|
৭২০.৫৬
|
১৭,৬৮৭.৪০
|
মিজোরাম
|
২১,০৮১.০০
|
১৭,৯৯০.৪৬
|
৫৬৭.৮০
|
১৮,৫৫৮.২৬
|
নাগাল্যান্ড
|
১৬,৫৭৯.০০
|
১২,২২২.৪৭
|
৩৯৪.০২
|
১২,৬১৬.৪৯
|
ওড়িশা
|
১,৫৫,৭০৭.০০
|
৫২,৪৩৩.৫৬
|
৬,১৬৩.৪৫
|
৫৮,৫৯৭.০১
|
পাঞ্জাব
|
৫০,৩৬২.০০
|
১,৮৪৬.০৯
|
১,৪৭৫.১৫
|
৩,৩২১.২৪
|
রাজস্থান
|
৩,৪২,২৩৮.৯৯
|
১৬,৫৪৮.২১
|
১০,৮৪১.১২
|
২৭,৩৮৯.৩৩
|
সিকিম
|
৭,০৯৬.০০
|
৩,৩৫৮.৪০
|
৪৮.৩৩
|
৩,৪০৬.৭৩
|
তামিল নাড়ু
|
১,৩০,০৬০.০০
|
২৬,৪৫০.২২
|
৫,৩৭০.৭২
|
৩১,৮২০.৯৪
|
তেলাঙ্গানা
|
১,১২,১২২.৪৪
|
২১,১৭৯.০৪
|
৩,৫১৭.৬৬
|
২৪,৬৯৬.৭০
|
ত্রিপুরা
|
১০৪৬৮.০০
|
৭৫৮৪.৭৭
|
২৪৭.৫৬
|
৭৮৩২.৩৩
|
উত্তর প্রদেশ
|
২,৪,৯২৭.৫৬
|
১৫,০৪৫.৮০
|
৮,৯৫০.৯২
|
২৩,৯৯৬.৭২
|
উত্তরাখন্ড
|
৫৩,৪৮৩.৩৬
|
২৪,৩০৩.৮৩
|
১২৩১.১৪
|
২৫,৫৩৪.৯৭
|
পশ্চিমবঙ্গ
|
৮৮,৭৫২.০০
|
১৬,৮৩২.৩৩
|
২,৯৩৮.১২
|
১৯,৭৭০.৪৫
|
আন্দামান ও নিকোবর
|
৮,২৪৯.০০
|
৬,৭৩২.৯২
|
২৬.৯৭
|
৬,৭৫৯.৮৯
|
চন্ডীগড়
|
১১৪.০০
|
২৫.০০
|
২১.১৮
|
৪৬.১৮
|
দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন দিও
|
৬০২.০০
|
২২৫.৬২
|
৩৬.৮৩
|
২৬২.৪৫
|
জম্মু ও কাশ্মীর
|
২,২২,২৩৬.০০
|
২১,৩৪৬.৩৯
|
৩,৬৬৬.৯৭
|
২৫,০১৩.৩৬
|
লাদাখ
|
২,২৮৫.৯২
|
৮৯৩.০২
|
৩,১৭৮.৯৪
|
লাক্ষাদ্বীপ
|
২৯.৬৩
|
২৭.০৬
|
০.২০
|
২৭.২৬
|
পুডুচেরি
|
৪৯০.০০
|
৪৪.৩১
|
২৮.৮৯
|
৭৩.২০
|
|
|
|
|
|
মোটঃ
|
৩২,৮৭,৪৬৮.৮৮
|
৭,১৫,৩৪২.৬১
|
১,১২,০১৪.৩৪
|
৮,২৭,৩৫৬.৯৫
|
বন সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব মূলত রাজ্য সরকারের। সরকার জাতীয় ও রাজ্য পর্যায়ে পর্যাপ্ত আইনি ও নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামো প্রণয়ন করেছে, যা দেশের বনভূমির সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে। বন ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সম্পর্কিত প্রধান কেন্দ্রীয় স্তরের নীতি ও আইনগুলির মধ্যে রয়েছে জাতীয় বন নীতি, ১৯৮৮, ভারতীয় বন আইন, ১৯২৭, বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) আইন, ১৯৭২, বন (সংরক্ষণ এবং সংবর্ধন) অধিনিয়ম ১৯৮০ এবং জৈব বৈচিত্র্য আইন, ২০০২ ইত্যাদি।
দেশে সবুজ আচ্ছাদনের জন্য এলাকা আরো সম্প্রসারের জন্য সরকার সরকার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করে চলেছে। এরমধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল মিশন ফর এ গ্রিন ইন্ডিয়া (জিআইএম), বন্যপ্রাণী আবাসস্থলগুলির সমন্বিত উন্নয়ন, ক্ষতিপূরণমূলক বনায়ন তহবিল পরিচালনা ও পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ (সিএএমপিএ), নগর বন যোজনা (এনভিওয়াই) এবং ম্যানগ্রোভ ইনিশিয়েটিভ ফর শোরলাইন হ্যাবিট্যাট অ্যান্ড ট্যাঞ্জিবল ইনকাম (এমআইএসএইচটিআই)-এর মতো আরো প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলির সহায়তায় মূলত বনভূমির অভ্যন্তরে ও বাইরে বনায়ন, বনভূমি পুনরুদ্ধার, প্রাকৃতিক ভূমির উন্নতি, মাটি ও জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং সুরক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশগত অবস্থার পুনরুদ্ধারের কাজ করা হচ্ছে।
সারা দেশে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০২৪ সালের ৫ই জুন প্রধানমন্ত্রী বৃক্ষরোপণ অভিযানেই উদ্দেশ্যে "এক পেড় মা কে নাম"- কর্মসূচির সূচনা করেন।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তি বর্ধন সিং।
(Rajya Sabha US Q367)
(Release ID: 2100557)
|