শিক্ষা মন্ত্রক
পরীক্ষা পে চর্চা-২০২৫: পাঁচ কোটিরও বেশি অংশগ্রহণকারী যুক্ত হয়েছে, এর মধ্যে ৩.৫৬ কোটি নিবন্ধন করেছে এবং ১.৫৫ কোটি দেশব্যাপী 'জন আন্দোলন' কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে; “ভারত হ্যায় হাম” সিরিজের উপর কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
Posted On:
28 JAN 2025 4:02PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পরীক্ষা পে চর্চা (পিপিসি) অনুষ্ঠিত শুরু করেন ২০১৮ সালে। শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষা সম্পর্কিত মানসিক চাপকে শেখার উৎসবে পরিণত করার লক্ষ্যে। এবছর এই আয়োজনের ৮ম পর্বে অভূতপূর্ব অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া পিপিসি এখন একটি জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এবছর, ২০২৫ সালে অর্থাৎ ৮ম সংস্করণে পরীক্ষা পে চর্চার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৩.৫৬ কোটি। যা ৭ম সংস্করণের তুলনায় অনেক বেশি| সপ্তম সংস্করণে নিবন্ধন হয়েছিল হয়েছিল ২.২৬ কোটি অর্থাৎ এ বছরে রেজিস্ট্রেশন বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৩ কোটি।
“পরীক্ষা পে চর্চা” শুধু একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হয়ে ওঠেনি, এটি এখন একটি "জন আন্দোলন" রূপে পরিণত হয়েছে, যা দেশব্যাপী ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে গভীরভাবে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। পরীক্ষার চাপ নিরসন করা এবং ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাকে একটি উৎসব হিসেবে দেখতে উদ্বুদ্ধ করার উপর এই অনুষ্ঠানটির গুরুত্ব এখন সারা দেশের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে প্রবল সাড়া ফেলেছে। পিপিসির ব্যাপক অংশগ্রহণ আসলে মানসিক সুস্থতা এবং সার্বিক শিক্ষার গুরুত্বের প্রতি একটি বাড়তি সচেতনতা এবং গ্রহণযোগ্যতার প্রতিফলন।এই অনুষ্ঠানের মত-বিনিময় ও আলোচনামূলক পর্বে শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর খোলামেলা বার্তালাপ হয়ে থাকে। এই পর্বটি অনুষ্ঠানের সাফল্যের পেছনে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।
পিপিসিকে "জন আন্দোলন" হিসেবে আরও শক্তিশালী করতে, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ (জাতীয় যুব দিবস) থেকে ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ (নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী) পর্যন্ত সারা দেশের স্কুল স্তরে নানা আকর্ষণীয় কর্মসূচি পালন করা হয়। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই অনুষ্ঠান হয়েছে, যার উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র, অভিভাবক এবং শিক্ষককে পিপিসি-কে উৎসব হিসেবে উদযাপনে অন্তর্ভুক্ত করা। মোট ১.৪২ কোটি শিক্ষার্থী, ১২.৮১ লাখ শিক্ষক এবং ২.৯৪ লাখ স্কুল এতে অংশগ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল পরীক্ষার চাপ কমানো, মনোযোগ বৃদ্ধি করা এবং পরীক্ষা ও তার পরবর্তী সময়ে কর্মক্ষমতা উন্নত করা। ছাত্রদের বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হয়, যেমন স্থানীয় খেলা খো-খো এবং কাবাডি, কম দূরত্বের ম্যারাথন, সৃজনশীল মিম প্রতিযোগিতা, আকর্ষণীয় পথনাটক এবং দৃষ্টিনন্দন পোস্টার তৈরির প্রতিযোগিতা। এর মাধ্যমে শিশুরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে, ছাত্রছাত্রীদের-নেতৃত্বাধীন আলোচনায় অংশগ্রহণে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যোগব্যায়াম এবং ধ্যান অনুশীলনে অংশ নিতে উৎসাহিত হয়। বিভিন্ন স্কুল ছাত্রদের নাটকের আয়োজন করেছিল, কর্মশালা পরিচালনা করেছিল এবং বিশেষ অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের সাথে মত বিনিময়ের সুযোগ করে দেওয়া হয়।
এই কর্মসূচিগুলোর সমাপ্তি হিসেবে, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সাহসিকতা এবং ত্যাগের গৌরবময় অনুপ্রেরণামূলক বিভিন্ন কাহিনীর প্রদর্শন, "ভারত হ্যায় হাম" সিরিজ প্রদর্শন করা হয়। এরপর, "ভারত হ্যায় হাম" সিরিজের ওপর ভিত্তি করে ৫৬৭টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ৫৫,৯৬১ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে ১৭,৪০৮ জন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের, ৪,৫৬৭ জন জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের, ৫,৫৪২ জন পিএম-শ্রী স্কুলের, ১৮,৩৯৪ জন সিবিএসই-সংযুক্ত স্কুলের এবং ১০,০৫০ জন রাজ্য শিক্ষা পর্ষদের স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল। বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয় এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত "এক্সাম ওয়ারিয়র্স" বইটির কপি তুলে দেওয়া হয়। এই উদ্যোগটি শুধু শিক্ষার্থীদের জ্ঞান পরীক্ষা করেনি, বরং "ভারত হ্যায় হাম" সিরিজের মাধ্যমে প্রদান করা মূল্যবান পাঠসমূহকেও শক্তিশালী করেছে।
পরীক্ষা পে চর্চা-২০২৫ আবারও এক অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে, যা সারা ভারতের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ইতিবাচক এবং সহায়ক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে তুলে ধরছে।
***
SKC/ADK/KMD
(Release ID: 2097532)
Visitor Counter : 6