নয়াদিল্লি, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং এবং শিক্ষা মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আজ নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বীরগাঁথা-৪ এর সুপার- ১০০ বিজয়ীদের সম্বর্ধনা জানিয়েছেন। এই ১০০ জন বিজয়ীর মধ্যে  দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৬৬ জন মেয়ে রয়েছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে, প্রতিটি বিজয়ীকে ১০,০০০ টাকা নগদ পুরস্কার, একটি পদক এবং একটি শংসাপত্র প্রদান করা হয়। এবছর ২০২৫ সালের ২৬ শে জানুয়ারি করতব্য পথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করবেন ১০,০০০ জন বিশেষ অতিথি, তাঁদের সঙ্গে থেকে প্যারেড ও কুচকাওয়াজ  প্রত্যক্ষ করবেন এই সুপার-১০০ জন।

আজকের এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান এবং বীর গাথার উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও শিক্ষা মন্ত্রকের যৌথ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের চতুর্থ সংস্করণে সারা ভারত থেকে ১ কোটি ৭৬ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। তিনি বলেন, এই শিক্ষামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে সাহসী ছাত্র-ছাত্রীদের স্বীকৃতি প্রদান করা হচ্ছে। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধিমত্তা, উৎসাহ ও দেশপ্রেমের প্রশংসা করেন। বীর গাথা ৪.০ পর্বে সুপার-১০০ বিজয়ীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই যে মেয়েরা, তা জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শ্রী সিং মণিপুরের 'নেমনেইনেং' নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, যে ছোটবেলায় তাঁর বাবা-মাকে হারিয়েছিল। অসংখ্য অসুবিধা সত্ত্বেও পড়াশোনা ছেড়ে না দেওয়ার জন্য এবং বিজয়ীদের মধ্যে স্থান সুরক্ষিত করার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তাঁর অধ্যবসায়ের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের কাছে 'নায়ক "-এর প্রকৃত অর্থ ব্যাখ্যা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, একজন নায়ক দেশের উন্নতির জন্য কাজ করেন, যার কাজ সমাজকে নতুন দিশা দেখায়। তিনি আরও বলেন, যুবসমাজ ভারতের ভবিষ্যৎ নায়ক এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে 'বিকাশিত ভারত "-এ পরিণত করতে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর প্রাণবন্ত নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মঞ্চে আজ ভারতের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ যখন আমরা যে কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে কথা বলি, তখন গোটা বিশ্ব শোনে। আমাদের সাহসী সৈনিক, বিজ্ঞানী এবং তরুণ প্রজ্বলিত মন সহ প্রত্যেক ভারতীয়ের কঠোর পরিশ্রমের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রায় ৫০ কোটি যুবক-যুবতীর একটি বড় গোষ্ঠী রয়েছে। এই ধরনের সৃজনশীল মনের দেশ কীভাবে উন্নতি করতে পারে না ", শ্রী সিংহ ছাত্রছাত্রীদের সামনে প্রশ্ন করেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তাঁদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, আশফাকউল্লা খান এবং সাহসী সৈনিকদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন এই বীর মহান নেতাদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ কখনও ভোলা যাবে না। তিনি জাতীয় গর্ববোধকে যে কোনও দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে অভিহিত করেন। শ্রী সিং ছাত্রছাত্রীদের চ্যালেঞ্জের মুখে ভয় না পেয়ে আত্মবিশ্বাস ও সদিচ্ছার সঙ্গে তাঁদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন। তিনি তাঁদের অনুরোধ করেন, তাঁরা যখন আরও উচ্চতায় পৌঁছাবেন, তখনও যেন তাঁদের হৃদয়ে অহঙ্কারের অনুভূতি না প্রবেশ করে। তিনি বলেন, সর্বদা বিনয়ী থাকা হল মূল বিষয়।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দৃঢ়তার সাথে বলেন যে, বীর গাথার মতো পদক্ষেপ সাহসিকতার জন্য পুরস্কার বিজয়ীদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে স্কুল পড়ুয়াদের শিক্ষা দেয় এবং তাদের তরুণ মনের সৃজনশীলতাকে পরিপুষ্ট করে। তিনি তাঁর বক্তব্যে ও জানান যে, সারা দেশের আড়াই লক্ষেরও বেশি বিদ্যালয় থেকে এক কোটি ৭৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর রেকর্ডকালীন অংশগ্রহণ করে এবং তারা অঙ্কন, চিত্রকলা এবং প্রবন্ধ রচনার মতো কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বীরদের অতুলনীয় সেবা ও আত্মত্যাগের জন্য তাঁদের উদ্দেশে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানায়।

***

SKC/KG/PS/KMD

(Release ID: 2096313) Visitor Counter : 21