স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী জে পি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রীমতি অন্নপূর্ণা দেবী 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও" প্রকল্পের দশম বার্ষিকী উদযাপনের সূচনা করেছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও" প্রকল্প অমৃতকালে বিকশিত ভারত গঠনে অবদান রাখবেঃ অন্নপূর্ণা দেবী

Posted On: 22 JAN 2025 7:30PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ২২ জানুয়ারী ২০২৫: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রীমতি অন্নপূর্ণা দেবী বুধবার নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে যৌথভাবে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও (বিবিবিপি) প্রকল্পের ১০ বছর পূর্তি উদযাপনের উদ্বোধন করেছেন। কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি সাবিত্রী ঠাকুর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই দিনটি ভারতে কন্যা শিশুদের সুরক্ষা, শিক্ষা এবং ক্ষমতায়নের জন্য এক দশকের নিরলস প্রচেষ্টার প্রতীক।

 


বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযান ১০ বছর পূর্ণ করার এক মাইলফলক অতিক্রম করেছে। একথা জানিয়ে শ্রী নাড্ডা তাঁর ভাষণে বলেন, ২০১৫ সালের এই দিনে, প্রধানমন্ত্রী মোদী হরিয়ানার পানিপথে 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও" প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পের সাফল্য হল সামগ্রিকভাবে মহিলাদের ক্ষমতায়নের মূলধারার দিকে সরকারের নীতির পরিবর্তন। আমরা এখন মহিলাদের উন্নয়ন থেকে মহিলাদের নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছি।

 


শ্রী নাড্ডা বলেন, সরকার নারীর ক্ষমতায়ন এবং মেয়েদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর নেতৃত্বে সরকারের মানসিকতার পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্পের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন নিশ্চিত করা হয়েছে কারণ এই প্রকল্পের সাফল্যের সুযোগ ও দায়িত্ব কেবল মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং শিক্ষা মন্ত্রকের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।


শ্রী নাড্ডা পিএনডিটি আইন সম্পর্কে সকলের মধ্যে সচেতনতা প্রচার এবং সংবেদনশীলতার মতো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দ্বারা গৃহীত প্রকল্পের দিকগুলিও তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, "সরকার মহিলা ও শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে আশা কর্মীদের দ্বারা প্রাক-প্রসবকালীন চেকআপের মাধ্যমে গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের টিকা দেওয়া এবং সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে"।


শ্রী নাড্ডা জোর দিয়ে বলেন, সরকারের প্রচেষ্টার ফলে প্রসব কালীন সময়ে মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৩০ থেকে ৯৭-এ নেমে এসেছে। ২০১৪ সালে যেখানে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে ৩৯ ছিল তা বর্তমানে ২৮ এ নেমে এসেছে। ভারতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ৭৫% হ্রাস পেয়েছে যা বিশ্বব্যাপী গড় ৬০% এর চেয়ে বেশি। তিনি মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য সুকন্য সমৃদ্ধি যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, স্বচ্ছতা অভিযান, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া এবং নমো ড্রোন দিদির মতো সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন।


তিনি নারী ও মেয়েদের লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখে এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের মতামতের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করে নিজেদেরকে পরিবর্তনের দূত হওয়ার আহ্বান জানান।


অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রীমতি অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও শুধুমাত্র একটি প্রকল্প নয়, এটি কন্যা সন্তানের বিষয়ে মানুষের মানসিকতা ও আচরণে পরিবর্তন আনার এবং মেয়েদের প্রতি বৈষম্যকে চ্যালেঞ্জ করার একটি প্রচেষ্টা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অমৃতকালে বিকশিত ভারত নির্মাণে বিশেষ অবদান রাখবে। তিনি মহিলা ও শিশু বিকাশের লক্ষ্যে গৃহীত মিশন বৎসল্য, পোষণ অভিযান এবং মিশন শক্তি পোর্টালের মতো বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্যোগের সাফল্য ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।

 


মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি সাবিত্রী ঠাকুর বলেন, বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও শুধুমাত্র একটি প্রকল্পই নয়, এটি মানুষের মানসিকতার পরিবর্তনের একটি মাধ্যম এবং মেয়েদের শিক্ষিত, সুরক্ষিত ও ক্ষমতায়িত করার একটি প্রচেষ্টা। তিনি সমস্ত অংশীদারদের মহিলাদের ক্ষমতায়নকে বাধা দেয় এমন সামাজিক কুফলের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং তাদেরকে মহিলাদের সক্ষমতার দিকটিকে উন্নত করার জন্য লক্ষ্যে ব্রতী হবার আহ্বান জানান যা নারীদের উন্নয়ন যেমন নিশ্চিত করবে, তেমনি বিকাশিত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করতেও অবদান রাখবে।


এই অনুষ্ঠানে 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও এর সেরা অনুশীলন, মিশন বৎসল্য পোর্টাল, মিশন শক্তি পোর্টাল এবং মিশন শক্তির মোবাইল অ্যাপের একটি সংকলনও চালু করা হয়।

 


এই অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী, দিল্লি পুলিশের মহিলা আধিকারিকরা এবং উপ-সচিব এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের উর্ধতন মহিলা আধিকারিকরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, ছাত্রী (আমার ভারত স্বেচ্ছাসেবক) অঙ্গনওয়াড়ি তত্ত্বাবধায়ক/কর্মী এবং রাজ্য ও জেলার প্রতিনিধিদেরও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

***

SKC/KMD


(Release ID: 2095481) Visitor Counter : 7


Read this release in: English