প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত - পর্ব-১১৮ (বাংলা অনুবাদ সংস্করণ)
সম্প্রচার তারিখ- ১৯-০১-২০২৫
Posted On:
19 JAN 2025 11:46AM by PIB Agartala
আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আজ ২০২৫ এর প্রথম ‘মন কি বাতে’ আপনাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আপনারা একটা জিনিস নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন- প্রত্যেকবার ‘মন কি বাত’ মাসের শেষ রবিবারে হয়ে থাকে, কিন্তু এবার আমরা এক সপ্তাহ আগে চতুর্থ রবিবারের বদলে তৃতীয় রবিবারেই মিলিত হয়েছি। কেননা, আগামী সপ্তাহে রবিবারেই সাধারণতন্ত্র দিবস পড়েছে। আমি সমস্ত দেশবাসীকে সাধারণতন্ত্র দিবসের আগাম শুভকামনা জানাচ্ছি।
বন্ধুরা এবারের সাধারণতন্ত্র দিবস খুবই বিশিষ্ট দিন। সেদিন ভারতীয় গণতন্ত্রের ৭৫তম বার্ষিকী। এ বছর সংবিধান কার্যকর হওয়ারও ৭৫ বছর হতে চলেছে। সংবিধান সভার এই মহান ব্যক্তিত্বদের প্রণাম জানাই, যাঁরা আমাদের এই পবিত্র সংবিধান উপহার দিয়েছেন। সংবিধান সভার সেই সময়ে অনেক বিষয়ে অনেক দীর্ঘ দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনাগুলি সংবিধান সভার সদস্যদের ভাবনাচিন্তা, তাদের বক্তব্য, আমাদের জন্য অনেক বড় সম্পদসুলভ উত্তরাধিকার। আজকের মন কি বাতে আমার এটাই চেষ্টা থাকবে, যাতে কয়েকজন মহান নেতার মূল কণ্ঠস্বর যেন আপনাদের শোনাতে পারি।
বন্ধুরা সংবিধান সভা যখন কাজ শুরু করেছিল সে সময় বাবাসাহেব আম্বেদকর পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন। তাঁর সে বক্তব্য ইংরেজিতে ছিল| আমি এরই অংশ বিশেষ আপনাদের শোনাচ্ছি—-
“... চূড়ান্ত লক্ষ্যের প্রশ্নে আমি যতদূর মনে করি আমাদের কারোর মনেই কোন শঙ্কা নেই। আমাদের কারোর কোন সংশয় নেই, কিন্তু, আমি আমার ভয়টা অবশ্যই এভাবে প্রকাশ করবো, আমাদের সমস্যা,.. আমি যেমন বলেছি, সেই চূড়ান্ত ভবিষ্যৎ নিয়ে নয়। আমাদের অসুবিধা হল আজকে আমরা যেরকম আছি, সে ধরনের ভিন্নমতাবলম্বী মানুষকে নিয়ে| কীভাবে সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো এবং সমবেতভাবে একতাবদ্ধ পথে এগিয়ে যাবো| আমাদের সমস্যা চূড়ান্ত বিষয়ে নয়, শুরু করার বিষয়ে।”
বন্ধুরা, বাবাসাহেব এই বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন যে, সংবিধান সভা যেন এক সঙ্গে, একমত হয়ে, মিলিতভাবে জনকল্যাণে কাজ করে। আমি আপনাদের সংবিধান সভার আরো একটি অডিও ক্লিপ শোনাচ্ছি। এই অডিও ক্লিপ ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদজি’র, যিনি আমাদের সংবিধান সভার প্রধান ছিলেন। আসুন, ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদজির কথা শুনি —
“... আমাদের ইতিহাস বলে এবং আমাদের সংস্কৃতি শেখায় যে, আমরা শান্তিপ্রিয় ছিলাম এবং আছি। আমাদের সাম্রাজ্য এবং আমাদের জয় অন্য ধরনের। আমরা শেকল দিয়ে, তা সে শেকল লোহার হোক বা সোনার হোক, অন্যদেরকে কখনোই বাঁধার চেষ্টা করিনি। আমরা অন্যদেরকে নিজেদের সঙ্গে লোহার চেয়েও মজবুত কিন্তু সুন্দর এবং সুখকর এক রেশমের দড়িতে বেঁধে রেখেছি, আর সে বন্ধন ধর্মের, সংস্কৃতির, জ্ঞানের বন্ধন। আমরা এখনো সেই রাস্তাতেই চলবো এবং আমাদের একটাই ইচ্ছা আর উদ্দেশ্য| আর সে উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা যেন গোটা বিশ্বে সুখ ও শান্তি পৌঁছে দিতে পারি এবং পৃথিবীর সবার হাতে সত্য ও অহিংসার অমোঘ হাতিয়ার তুলে দিতে পারি, যা নাকি আমাদের স্বাধীনতার এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলো। আমাদের জীবন এবং সংস্কৃতিতে এমন কিছু আছে, যা নাকি আমাদের সময়ের অস্থিরতা সত্ত্বেও জীবিত থাকার শক্তি যুগিয়েছে। যদি আমরা আমাদের আদর্শকে সামনে রেখে চলি, তাহলে আমরা গোটা পৃথিবীর সেবা করতে পারবো।”
বন্ধুরা ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদজি মানবিক মূল্যবোধের প্রতি দেশের দায়বদ্ধতার কথা বলেছিলেন। এখন আমি আপনাদের ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির কণ্ঠস্বর শোনাচ্ছি, যিনি সমান সুযোগের বিষয় তুলে ধরেছিলেন। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বলেছিলেন —-
“আমি আশা করি মহোদয় যে, আমরা সমস্ত সমস্যা সত্ত্বেও নিজেদের কাজে এগিয়ে যাবো এবং এভাবেই মহান ভারত গঠনে সাহায্য করবো| যার মহান মাটি কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা শ্রেণীর না হয়ে জাতপাত বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে দেশের বাসিন্দা প্রত্যেক ব্যক্তি, পুরুষ, মহিলা বা শিশুর মাতৃভূমি হয়ে উঠবে। প্রত্যেকের সমান সুযোগ থাকবে, যাতে করে তিনি পুরুষ বা মহিলা যা-ই হোন না কেনো, সেরা প্রতিভা অনুসারে নিজেকে বিকশিত করতে পারবেন এবং সবার নিজের মহান মাতৃভূমি ভারতকে সেবা করতে পারবেন।”
বন্ধুরা, আমি আশা করি, আপনাদেরও সংবিধান সভায় অনুষ্ঠিত বিতর্কের সেই মূল অডিও ভাষ্য শুনে ভালো লেগেছে। আমাদের দেশের মানুষকে এই আলোচনা থেকে প্রেরণা নিয়ে এই রকম ভারত গঠনের জন্য কাজ করতে হবে, যা নিয়ে আমাদের সংবিধান রচয়িতাদেরও গর্ব হবে।
বন্ধুরা, ‘সাধারণতন্ত্র দিবসে’র একদিন আগেই ‘জাতীয় ভোটার দিবস’। সেই দিনটা এজন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, সেদিন ভারতের নির্বাচন আয়োগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।… ইলেকশন কমিশন….আমাদের সংবিধান রচয়িতারা আমাদের নির্বাচন আয়োগকে, আমাদের গণতন্ত্রে জনগণের অংশিদারিত্বকে অনেক বড় স্থানে রেখেছেন। দেশে যখন প্রথমবার ১৯৫১-৫২তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তখন কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছিলেন, এই গণতন্ত্র টিকে থাকবে তো! কিন্তু আমাদের গণতন্ত্র তাদের সবার আশংকা অমূলক প্রমাণ করে দিয়েছে। আসলে ভারতই গণতন্ত্রের জননী কিনা! বিগত দশকগুলিতেও আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে, সমৃদ্ধ হয়েছে। আমি নির্বাচন আয়োগকেও ধন্যবাদ জানাবো। তারা সময় সময়ে আমাদের ভোট দানের প্রক্রিয়াকে আধুনিক করে তুলেছেন, শক্তিশালী করে তুলেছেন| আরো শক্তি দেওয়ার জন্য প্রযুক্তির শক্তিকে প্রয়োগ করেছেন। আমি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করানোর ব্যাপারে দায়বদ্ধতার জন্য নির্বাচন আয়োগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি দেশের মানুষকে বলবো, যত বেশি শ্রদ্ধায় সম্ভব আপনারা নিজেদের মতামত জানানোর অধিকারকে প্রয়োগ করবেন। সব সময় করবেন এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করে একে শক্তিশালীও করবেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের সূচনা হয়ে গেছে! চিরস্মরণীয় জনসমুদ্র, অকল্পনীয় দৃশ্য এবং সাম্য ও সমভাবনার অসাধারণ সঙ্গমের সহাবস্থান সেখানে। এবারের কুম্ভতে অনেকগুলি দিব্য যোগাযোগও তৈরি হয়ে যাচ্ছে। কুম্ভের এই উৎসবে বিভেদের মাঝে ঐক্যের উৎসবও উদযাপিত হচ্ছে। সঙ্গমের বালুচরে গোটা ভারতের গোটা পৃথিবীর মানুষ সমবেত হন। হাজার বছরের এই ঐতিহ্যে কোন ভেদাভেদ নেই, জাতপাত নেই| এতে ভারতের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে লোক আসেন, পূর্ব এবং পশ্চিম প্রান্ত থেকেও মানুষ আসেন। কুম্ভতে ধনী-গরিব সব এক হয়ে যান| সব মানুষ সঙ্গমে ডুব দেন। ভান্ডারায় একসংগে পাত পেড়ে খান, প্রসাদ গ্রহণ করেন। এভাবেই তো এই কুম্ভ– একতার মহাকুম্ভ! কুম্ভের আয়োজন আমাদের এই কথাই বলে, কিভাবে আমাদের পরম্পরা গোটা ভারতকে একসুতোয় বেঁধে রাখে। উত্তর থেকে দক্ষিণ আমাদের বিশ্বাস আমাদের আস্থা যেন একই ধরনের| একদিকে প্রয়াগরাজ, উজ্জয়িনী, নাসিক এবং হরিদ্বারে কুম্ভের আয়োজন হয়ে থাকে| কিভাবে দক্ষিণে গোদাবরী, কৃষ্ণা, নর্মদা এবং কাবেরী নদীর উপকূলে পুস্করমের আয়োজন হয়ে থাকে। এই দু’ধরনের আয়োজনই আমাদের পবিত্র নদীদের সঙ্গে জুড়ে আছে। সেখানকার মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে জুড়ে আছে। একইভাবে কুম্ভকোণম থেকে তিরুক্কড়ইয়ুর, কুড়ওয়াসল থেকে তিরুচেরইতে অনেক এমন মন্দির আছে, যেগুলির ঐতিহ্য কুম্ভের সঙ্গে জুড়ে আছে।
বন্ধুরা, এবার আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, কুম্ভে তরুণদের অংশগ্রহণ অনেক ব্যাপক মাত্রায় দেখা যাচ্ছে, এবং এটাও সত্য যে, যখন তরুণ প্রজন্ম সগর্বে নিজের সভ্যতার সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন তার শিকড় আরও শক্তিশালী হয়। এতে তার সোনালি ভবিষ্যৎও সুনিশ্চিত হয়। আমরা এবার কুম্ভের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট-ও এত বড় পরিসরে দেখতে পাচ্ছি। কুম্ভের এই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গর্বের বিষয়।
বন্ধুরা, কিছুদিন আগেই, পশ্চিমবঙ্গে 'গঙ্গা সাগর' মেলারও বিশাল আয়োজন করা হয়েছিল। সংক্রান্তির শুভ উপলক্ষে, এই মেলায় গোটা বিশ্ব থেকে আসা লক্ষ লক্ষ ভক্ত ডুব দিয়ে স্নান করেছেন। ‘কুম্ভ’, ‘পুষ্করম’ এবং ‘গঙ্গা সাগর মেলা’ – আমাদের এই উৎসবগুলি আমাদের সামাজিক যোগাযোগ, সম্প্রীতি এবং ঐক্যকে উৎসাহিত করে। এই উৎসবগুলি ভারতের মানুষকে ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করে, এবং ঠিক যেমন আমাদের ধর্মগ্রন্থগুলি বিশ্বে - ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ - এই চারটির উপর জোর দিয়েছে। একইভাবে, আমাদের উৎসব এবং ঐতিহ্যগুলি আধ্যাত্মিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক - প্রতিটি দিককেই শক্তিশালী করে।
বন্ধুরা, এই মাসে আমরা ‘পৌষ শুক্লা দ্বাদশী’ তিথিতে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করেছি। এই বছর 'পৌষ শুক্লা দ্বাদশী' ১১ই জানুয়ারিতে ছিল। এই দিনে, লক্ষ লক্ষ রামভক্ত অযোধ্যায় রামলালার দর্শন করেছিলেন এবং তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ করেছিলেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠার এই দ্বাদশী হল ভারতের সাংস্কৃতিক চেতনার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দ্বাদশী। অতএব, পৌষ শুক্লা দ্বাদশীর এই দিনটি একদিক থেকে প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী দিবসেও পরিণত হয়েছে। আমাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের ঐতিহ্যকেও রক্ষা করতে হবে এবং তা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ২০২৫-এর শুরুতেই ভারত মহাকাশ ক্ষেত্রে ব্যাপক ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে। আজ, আমি সগর্বে ঘোষণা করছি যে, একটি ভারতীয় মহাকাশ প্রযুক্তি স্টার্ট আপ, বেঙ্গালুরুর পিক্সেল, ভারতের প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন – ‘ফায়ারফ্লাই’কে সফলভাবে চালু করেছে। এই স্যাটেলাইট কনস্টেলেশনটি বিশ্বের সবচেয়ে হাই রিজলিউশন হাইপার স্পেক্ট্রাল স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন। এই সাফল্য ভারতকে শুধুই আধুনিক মহাকাশ প্রযুক্তিতে শীর্ষস্থানীয় করে তোলেনি, বরং আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপও। এই সাফল্য আমাদের বেসরকারি মহাকাশ ক্ষেত্রের ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং উদ্ভাবনের প্রতীক। আমি এই সাফল্যের জন্য পিক্সেলের টিম, ইসরো এবং ইন-স্পেসকে সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুরা, কিছুদিন আগে আমাদের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ ক্ষেত্রে আরও একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছেন। আমাদের বিজ্ঞানীরা উপগ্রহের স্পেস ডকিং করিয়েছেন। যখন মহাকাশে দুটি মহাকাশ-যান যুক্ত করা হয়, তখন এই প্রক্রিয়াটিকে স্পেস ডকিং বলা হয়। এই প্রযুক্তি মহাকাশে স্পেস স্টেশন পর্যন্ত সরবরাহ অব্যাহত রাখা এবং ক্রিউ মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এমন চতুর্থ দেশ হয়ে উঠেছে, যারা এই সাফল্য অর্জন করেছে।
বন্ধুরা, আমাদের বিজ্ঞানীরা মহাকাশে উদ্ভিদের চাষ ও তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই উদ্দেশ্যে ইসরো’র বিজ্ঞানীরা বরবটির বীজ বেছে নিয়েছেন। ৩০শে ডিসেম্বর পাঠানো এই বীজ মহাকাশেই অঙ্কুরিত হয়েছে। এটি এক অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক পরীক্ষা, যা ভবিষ্যতে মহাকাশে সবজি চাষের পথ খুলে দেবে। এটি প্রমাণ করে আমাদের বিজ্ঞানীরা কত দূরদর্শী চিন্তা নিয়ে কাজ করছেন।
বন্ধুরা, আমি আপনাদের আরও একটি অনুপ্রেরণাদায়ক উদ্যোগের কথা বলতে চাই। আইআইটি মাদ্রাজের ExTeM (এক্সটেম) কেন্দ্র মহাকাশে ম্যানুফ্যাকচারিং বা নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির ওপর কাজ করছে। এই কেন্দ্রটি মহাকাশে থ্রি-ডি প্রিন্টেড ভবন, মেটাল ফোম এবং অপটিক্যাল ফাইবারের মতো প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছে। এছাড়াও, এই কেন্দ্রটি জল ছাড়াই কংক্রিট দিয়ে নির্মাণের মতো বিপ্লবাত্মক পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে। এক্সটেম-এর এই গবেষণা ভারতের গগনযান মিশন এবং ভবিষ্যতের স্পেস স্টেশনকে আরও শক্তিশালী করবে। এর ফলে নির্মাণ ক্ষেত্রেও আধুনিক প্রযুক্তির নতুন দিক উন্মোচিত হবে।
বন্ধুরা, এই সমস্ত সাফল্য প্রমাণ করে যে, ভারতের বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকেরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য কতটা দূরদর্শী। আজ আমাদের দেশ মহাকাশ প্রযুক্তিতে নতুন মাইলফলক স্থাপন করছে। আমি ভারতের বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের গোটা দেশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা অনেকবার মানুষ এবং পশুর মধ্যে অবিশ্বাস্য বন্ধুত্বের ছবি দেখেছেন, পশুর বিশ্বস্ততার গল্প শুনেছেন। বাড়িতে পালন করা পশু হোক, বা বনে বাস করা জীব, মানুষের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অনেক সময় অবাক করে দেয়। পশুরা হয়তো কথা বলতে পারে না, কিন্তু তাদের অনুভূতি, তাদের অঙ্গভঙ্গি, মানুষ খুব ভালোভাবে বুঝে ফেলে। পশুরাও ভালোবাসার ভাষা বুঝতে পারে, এবং সেই ভালোবাসার প্রতিদান তারা দেয়।
আমি আপনাদের সঙ্গে আসামের একটি উদাহরণ শেয়ার করতে চাই। আসামের একটি জায়গার নাম ‘নগাঁও’। ‘নগাঁও’ আমাদের দেশের মহান ব্যক্তিত্ব শ্রীমন্ত শংকরদেব এর জন্মস্থানও। এই জায়গাটি অত্যন্ত সুন্দর। এখানে হাতিদের একটি বড় বাসস্থানও রয়েছে। এই অঞ্চলে একটা সময় হাতির দল ফসল নষ্ট করে দিত, কৃষকরা খুবই চিন্তিত ছিলেন| আশপাশের প্রায় ১০০টি গ্রামের মানুষ খুবই দুশিন্তায় ছিলেন। কিন্তু গ্রামের মানুষরা হাতিদের অবস্থাও বুঝতে পারছিলেন। তারা জানতেন যে, হাতিরা ক্ষুধা নিবারণের জন্যই ক্ষেতের দিকে আসছে| তাই গ্রামবাসীরা এর সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করলেন। গ্রামবাসীদের একটি দল গঠন করা হল, যার নাম ছিল ‘হাতি-বন্ধু’। হাতি-বন্ধুরা বুদ্ধিমত্তা দেখিয়ে প্রায় ৮০০ বিঘা পতিত জমিতে একটি অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলেন। গ্রামবাসীরা একসাথে মিলিত হয়ে এখানে নেপিয়ার ঘাস লাগিয়ে দিলেন। এই ঘাস হাতির খুবই প্রিয়। এর ফলে, হাতিরা ক্ষেতের দিকে যাওয়া কমিয়ে দিল। এটি হাজার হাজার গ্রামবাসীর জন্য একটি বিশাল স্বস্তির বিষয় হয়ে উঠে। তাদের এই প্রচেষ্টা হাতিদেরও খুব পছন্দ হয়েছে।
বন্ধুরা, আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য আমাদেরকে আশপাশের পশু-পাখিদের সঙ্গে ভালোবাসা ও সহানুভূতির সঙ্গে বাস করতে শেখায়। এটা আমাদের সবার জন্য এক আনন্দের বিষয় যে, গত দুই মাসে আমাদের দেশে দুটি নতুন টাইগার রিজার্ভ বা ব্যাঘ্র প্রকল্প হয়েছে। এর একটি হল ছত্তিশগড়ের গুরু ঘাসিদাস-তামোর পিংলা ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং অন্যটি হল মধ্যপ্রদেশের রাতাপানি ব্যাঘ্র প্রকল্প।
আমার প্রিয় দেশবাসী, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, যে ব্যক্তির মধ্যে নিজের ধারণা বা লক্ষ্য নিয়ে গভীর আগ্রহ থাকে, সেই ব্যক্তি তার লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়। কোনো আইডিয়াকে সফল করার জন্য আমাদের প্যাশন এবং ডেডিকেশন সবচেয়ে জরুরি। পূর্ণ মনোযোগ এবং উদ্দীপনার সাথে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং সাফল্যের পথ অবশ্যই উন্মুক্ত হয়ে যায়। কিছুদিন আগে, স্বামী বিবেকানন্দের জয়ন্তী উপলক্ষ্যে, আমার ‘বিকশিত ভারত ইয়ং লিডার্স ডায়লগ’-এ অংশ গ্রহণের সুযোগ হয়েছিল। এখানে আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তরুণ বন্ধুদের সাথে পুরো একটি দিন কাটিয়েছি। তরুণদের মধ্যে অনেকেই স্টার্টআপ, সংস্কৃতি, নারী, যুব-অংশ এবং পরিকাঠামো ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তাদের আইডিয়া শেয়ার করেছেন। এই অনুষ্ঠানটি আমার জন্য খুবই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বন্ধুরা, কিছু দিন আগে স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়ার ৯ বছর পূর্ণ হয়েছে। আমাদের দেশে যেসব স্টার্টআপ গত ৯ বছরে গড়ে উঠেছে, তার মধ্যে অধিকাংশই দ্বিতীয় স্তরের শহর বা টায়ার-টু এবং তৃতীয় স্তরের শহর বা টায়ার-থ্রি শহর থেকে এসেছে| আর যখন এই তথ্য জানা যায়, তখন প্রতিটি ভারতীয়ের মন আনন্দে ভরে ওঠে। এর মানে হল যে, আমাদের স্টার্টআপ সংস্কৃতি কেবল বড় শহরগুলিতেই সীমাবদ্ধ নয়। আর জানলে আপনাদের অবাক হতে হবে যে, ছোট শহরের স্টার্টআপগুলোর অর্ধেকের বেশি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের মেয়েরা।
যখন এটা শোনা যায় যে, অম্বালা, হিসার, কাংড়া, চেঙ্গালপট্টু, বিলাসপুর, গোয়ালিয়র এবং ওয়াসিম-এর মতো শহরগুলি স্টার্টআপসের কেন্দ্র হয়ে উঠছে, তখন মন সত্যিই আনন্দে ভরে ওঠে। নাগাল্যান্ড-এর মতো রাজ্যে, গত বছর স্টার্টআপসের রেজিস্ট্রেশন-এ ২০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুনর্নবীকরণ করা যায় না এমন বিদ্যুত, জৈব-প্রযুক্তি এবং পরিবহনের সার্বিক বিষয় বা লজিস্টিক—এই ক্ষেত্রগুলোতে যেখানে সবচেয়ে বেশি স্টার্টআপ দেখা যাচ্ছে। এগুলো প্রচলিত ক্ষেত্র নয়, কিন্তু আমাদের যুব অংশের বন্ধুরা তো প্রচলিত ধারণার বাইরে চিন্তা করেন, তাই তারা সফলও হচ্ছেন।
বন্ধুরা, ১০ বছর আগেও যখন কেউ স্টার্টআপের জগতে পা রাখার কথা বলতেন, তখন তাকে বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা শুনতে হতো। কেউ বলতো, "স্টার্টআপ আসলে কী ধরনের বিষয়?" আবার কেউ বলতো, "এটা থেকে কিছু হবে না!" কিন্তু এখন দেখুন, এক দশকে কত বড় পরিবর্তন এসেছে। আপনারাও ভারত-এ তৈরি হওয়া নতুন সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করুন। যদি আপনি নিজের উপর বিশ্বাস রাখেন, তাহলে আপনার স্বপ্নও নতুন এক দিগন্তে পৌঁছানোর সুযোগ পাবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, সৎ ইচ্ছা ও নিস্বার্থভাবে করা কাজের আলোচনা দূরদূরান্তে পৌঁছায়। আর আমাদের ‘মন কি বাত’ তো এর একটি বিশাল মঞ্চ। আমাদের এত বড় দেশে, যদি কোথাও কেউ ভালো কাজ করে, কর্তব্যবোধকে সর্বোচ্চ মূল্য দেয়, তবে তার প্রচেষ্টাগুলিকে সামনে আনার জন্য এটি একটি অসাধারণ মঞ্চ।
আরুণাচল প্রদেশ-এর দীপক নাবামজি সেবার এক অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করেছেন। দীপকজি এখানে লিভিং হোম বা সেবাকেন্দ্র চালান| যেখানে মানসিকভাবে অসুস্থ, শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষ এবং বৃদ্ধদের সেবা করা হয়| আর সেখানে মাদকের শিকার ব্যক্তিদেরও দেখভাল করা হয়। দীপক নাবামজি কোনো সাহায্য ছাড়াই সমাজের বঞ্চিত মানুষদের, হিংসা-পীড়িত পরিবারগুলোকে এবং গৃহহীনদের সহায়তা করার কাজ শুরু করেছিলেন। এখন তাঁর এই সেবা একটি প্রতিষ্ঠানের রূপ নিয়েছে এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানকে অনেক পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।
লক্ষদ্বীপ-এর কাভারাত্তি দ্বীপে নার্স হিসেবে কাজ করা কে. হিন্ডুম্বিজির কাজও অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, তিনি ১৮ বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন| কিন্তু আজও আগের মতোই সেই করুণা ও স্নেহ নিয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছেন। লক্ষদ্বীপেরই কেজি মোহাম্মদজির প্রচেষ্টাও অতুলনীয়। তাঁর প্রচেষ্টায় মিনিকয় দ্বীপ-এর সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছে। তিনি পরিবেশের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য অনেক গান লিখেছেন এবং লক্ষদ্বীপ সাহিত্য কলা একাডেমি থেকে “শ্রেষ্ঠ লোক সঙ্গীত পুরস্কারেও” সম্মানিত হয়েছেন। অবসর নেওয়ার পরও, তিনি সেখানে মিউজিয়াম-এর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন।
বন্ধুরা, আরেকটি অসাধারণ খবর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে এসেছে। নিকোবর জেলাতে ভার্জিন কোকোনাট ওয়েল-কে সম্প্রতি জি.আই.-ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। ভার্জিন কোকোনাট ওয়েলের জি.আই.-ট্যাগ পাওয়ার পরে আরও একটি কাজ হয়েছে| জি.আই.-ট্যাগ পাওয়ার পর এই তেলের উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত মহিলাদের সংগঠিত করে স্ব-সহায়ক দল তৈরি করা হচ্ছে এবং তাদেরকে মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং-এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এটি আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়কে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার পথে একটি বড় পদক্ষেপ। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে নিকোবরের ভার্জিন কোকোনাট ওয়েল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করবে এবং এতে সবচেয়ে বড় অবদান থাকবে আন্দামান ও নিকোবরের মহিলা স্বসহায়ক দলের।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এক মিনিটের জন্য একটি দৃশ্যপটের কল্পনা করুন যে,—কলকাতা শহরে জানুয়ারি মাস, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তার তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ভারতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে। যার ফলে শহরের প্রতিটি কোণায় পুলিশ বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে। কলকাতার শহরের মাঝামাঝি একটি বাড়ির আশেপাশে পুলিশের উপস্থিতি একটু বেশিই রয়েছে। এরই মাঝে ব্রাউন কোট, প্যান্ট এবং কালো টুপি পরে এক ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে একটি বাংলো থেকে একটি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে এলেন। তিনি কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে একাধিক চেকপোস্ট পার হয়ে গোমো রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান| এই রেলস্টেশনটি এখন ঝাড়খন্ড-এ অবস্থিত। সেখানে থেকে একটি ট্রেন ধরে তিনি তার যাত্রা শুরু করেন| এরপর আফগানিস্তান হয়ে তিনি পৌঁছান ইউরোপে। আর এই সবকিছুই ঘটে, ব্রিটিশ শাসনের কঠোর কড়াকড়ির মধ্যেই।
বন্ধুগণ, এই গল্পটি আপনাদের কাছে হয়ত চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মতো মনে হবে। আপনাদের মনে হতে পারে, এত সাহসিকতা দেখানো মানুষটি কোন ধাতু দিয়ে তৈরি? প্রকৃতপক্ষে, এই ব্যক্তি আর কেউ নন, আমাদের দেশের মহান ব্যক্তিত্ব নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ২৩শে জানুয়ারি অর্থাৎ তাঁর জন্মবার্ষিকী এখন আমরা 'পরাক্রম দিবস' হিসাবে পালন করি। তাঁর সাহসিকতার এই গাথায়ও তাঁর বীরত্বের এক অনন্য প্রতিফলন দেখা যায়। কয়েক বছর আগে আমি তাঁর বাড়িতে সেই ঘরে গিয়েছিলাম, যেখান থেকে তিনি ব্রিটিশদের এড়িয়ে বের হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর গাড়ি এখনও সেখানে রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা আমার কাছে খুব বিশেষ ছিল। সুভাষবাবু একজন দূরদর্শী ছিলেন। সাহসিকতা তো তাঁর স্বভাবের মধ্যেই নিহিত ছিল। শুধু তাই নয়, তিনি অত্যন্ত দক্ষ প্রশাসকও ছিলেন। মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হন এবং তারপরে তিনি মেয়রের দায়িত্বও গ্রহণ করেন। প্রশাসক হিসেবেও তিনি অনেক বড় কাজ করেছেন। শিশুদের জন্য বিদ্যালয়, দরিদ্র শিশুদের জন্য দুধের ব্যবস্থা এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত তাঁর প্রচেষ্টা আজও স্মরণীয়। রেডিওর সঙ্গেও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি 'আজাদ হিন্দ রেডিও' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেখানে মানুষ তাঁর কথা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। তাঁর এই বক্তৃতাগুলি বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইকে নতুন শক্তি দিত। 'আজাদ হিন্দ রেডিও'-তে ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, বাংলা, মারাঠি, পাঞ্জাবি, পশতু এবং উর্দুতে সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারিত হত। আমি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে প্রণাম জানাই। আমি সারা দেশের যুবসমাজকে তাঁর সম্পর্কে আরও বেশি করে পড়ার এবং তাঁর জীবন থেকে নিরন্তর অনুপ্রেরণা নেওয়ার আহ্বান জানাই।
বন্ধুরা, 'মন কি বাত'-এর এই অনুষ্ঠানটি আমাকে প্রতিবারই দেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সঙ্গে, আপনাদের সম্মিলিত ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করে| প্রতিমাসে আমি আপনাদের কাছ থেকে অনেক চিন্তা-ভাবনা ও পরামর্শ পাই, এবং প্রতিবার এই চিন্তাগুলি দেখে বিকশিত ভারতের সংকল্পের প্রতি আমার বিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পায়| আপনারা সবাই এইভাবে নিজের-নিজের কাজের মাধ্যমে ভারতকে সর্বশ্রেষ্ঠ করার অবিরত প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। এবারের ‘মন কি বাত’-এ এই পর্যন্তই। আগামী মাসে আবার দেখা হবে— ভারতবাসীর নতুন অভিজ্ঞতা, সংকল্প ও সাফল্যের কাহিনি নিয়ে। অনেক-অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার।...
SKC/Agt
(Release ID: 2094407)
Visitor Counter : 166