প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

মন কি বাত, (পর্ব-১১৭)

সম্প্রচার- ২৯-১২-২০২৪, সময়-বেলা ১১ টা

Posted On: 29 DEC 2024 11:42AM by PIB Agartala

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার

২০২৫ তো প্রায় এসেই গেছে। দরজায় কড়া-ই নাড়ছে প্রায়। ২০২৫-এর ২৬শে জানুয়ারিতে আমাদের সংবিধান কার্যকর হওয়ার ৭৫ বছর হতে চলেছে। আমাদের সবার জন্য দারুণ গৌরবের বিষয় সেটা! আমাদের সংবিধান প্রণেতারা যে সংবিধান আমাদের হাতে দিয়ে গেছেন, তা সমসাময়িক সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করতে পেরেছে। সংবিধান আমাদের জন্য আলোর দিশারী। আমাদের পথপ্রদর্শক। ভারতের সংবিধানের কারণেই আজ আমি এখানে আছি। আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। এবছর ২৬শে নভেম্বর সংবিধান দিবসে সারা বছরের জন্য অনেক কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। দেশের নাগরিকদের সংবিধানের ঐতিহ‍্যের সঙ্গে যুক্ত করতে ‘কনস্টিটিউশন সেভেন্টি ফাইভ ডটকম’ নামে এক বিশেষ ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। এতে আপনি সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করে নিজের ভিডিও আপলোড করতে পারেন। আলাদা আলাদা ভাষায় সংবিধান পাঠ করতে পারেন। সংবিধানের ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারেন। আমি চাইছি মন কি বাতের শ্রোতাদের মধ্য থেকে, স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের মধ্য থেকে, কলেজ পড়ুয়া তরুণ তরুণীদের মধ্য থেকে বন্ধুরা এই ওয়েবসাইট অবশ্যই দেখবেন এবং এর অংশীদার হবেন।

বন্ধুরা আগামী মাসের ১৩ তারিখ থেকে মহাকুম্ভও শুরু হতে যাচ্ছে। সেখানে এখন এর ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। আমার মনে আছে, এইমাত্র কয়েকদিন আগে আমি যখন প্রয়াগরাজ গিয়েছিলাম সেখানে হেলিকপ্টার থেকে কুম্ভের গোটা জায়গাটা দেখে মন খুশিতে ভরে উঠেছিল। এত বিশাল! এত সুন্দর! এত সৌম্য দর্শন!

 বন্ধুরা, মহাকুম্ভের বৈশিষ্ট্য কেবল এর বিশালতাতেই নয়, এর বৈচিত্র্যতেও রয়েছে। এই আয়োজনে কোটি কোটি মানুষ এক জায়গায় সমবেত হয়ে থাকেন। লক্ষ লক্ষ সাধু-সন্ত, হাজারও ঐতিহ্য, শত শত সম্প্রদায়, আর তাদের আখড়া! প্রত্যেকে এই আয়োজনের অংশীদার হয়ে থাকেন। কোথাও কোনরকম ভেদাভেদ দেখা যায় না। কেউ বড় হয় না, কেউ ছোট হয় না। বহুত্বের মধ্যে একতার এই দৃশ্য বিশ্বের আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। এজন্যই আমাদের কুম্ভ একতার মহাকুম্ভও বটে! এবারের মহাকুম্ভ একতার মহাকুম্ভের মন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করবে। আমি আপনাদের সবাইকে বলবো, আমরা যখন কুম্ভ মেলায় শামিল হবো, তো সেখান থেকে একতার এই সংকল্পকে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে ফিরে যাবো। আমরা সমাজে বিভাজন এবং বিদ্বেষের ভাবনাকে দূর করার সংকল্প গ্রহণ করব। যদি সংক্ষেপে বলতে হয়, তো বলব-

মহাকুম্ভের এই বার্তা, গোটা দেশে উজ্জ্বল হবে একতা!

মহাকুম্ভের এই বার্তা, গোটা দেশে উজ্জ্বল হবে একতা!

  আর যদি অন্যভাবেও বলি, তো আমি বলব-

  গঙ্গার অবিরাম ধারায়, হবে না এই সমাজের বাটোয়ারা!

 গঙ্গার অবিরাম ধারায়, হবে না এই সমাজের বাটোয়ারা!

বন্ধুরা, এবার প্রয়াগরাজে দেশ এবং গোটা বিশ্বের শ্রদ্ধাবান মানুষ ডিজিট্যাল মহাকুম্ভেরও সাক্ষী হবেন। ডিজিটাল নেভিগেশনের মাধ্যমে আপনারা ভিন্ন ভিন্ন ঘাট, মন্দির, সাধুদের আখড়ায় পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পাবেন। এই নেভিগেশন ব্যবস্থায় আপনি গাড়ি রাখার জায়গা পর্যন্ত পৌঁছানোর সুযোগ পাবেন। প্রথমবার কুম্ভের আয়োজনে ‘এ-আই চ্যাটবটে’র প্রয়োগ হবে। ‘এ-আই চ্যাটবটে’র মাধ্যমে এগারোটি ভারতীয় ভাষায় কুম্ভের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে। এই চ্যাটবটের মাধ্যমে যে কেউ টেক্সট টাইপ করে বা মুখে বলে, যে কোনোভাবেই সাহায্য চাইতে পারবেন। গোটা মেলার এলাকাকে এ-আই পাওয়ার্ড ক্যামেরায় কভার করা হচ্ছে।  কুম্ভতে কেউ যদি নিজের পরিচিতদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, তাহলে এর ক্যামেরার মাধ্যমে তাঁকে খুঁজে বের করতে সাহায্য পাওয়া যাবে। শ্রদ্ধাবান পূণ্যার্থীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরকার অনুমোদিত ভ্রমণ প্যাকেজ, থাকার জায়গা এবং হোমস্টে-র মতো ব্যবস্থাগুলোর তথ্য পেয়ে যাবেন। আপনিও মহাকুম্ভতে গেলে এই সুবিধাগুলোর আওতায় আসতে পারেন এবং হ্যাঁ, ‘হ্যাশট‍্যাগ একতা কা মহাকুম্ভে’তে নিজের সেলফি অবশ্যই আপলোড করবেন।

বন্ধুরা, মন কি বাত, অর্থাৎ এম.কে.বি.-তে এখন কে.টি.বি., মানে, যাঁরা বয়োবৃদ্ধ আছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ‘কেটিবি’র বিষয়ে কিছুই জানেন না। কিন্তু আপনি ছোটদের জিজ্ঞেস করুন, তাদের মধ্যে কেটিবি কিন্তু খুবই সুপারহিট! কেটিবি মানে কৃষ, তৃষ এবং বাল্টিবয়। আপনাদের হয়তো জানা আছে, ছোটদের এক জনপ্রিয় অ‍্যানিমেশন সিরিজ আছে এবং এর নামই কেটিবি--ভারত হ‍্যায় হাম। আর এর দ্বিতীয় মরশুমের উপাদানও এসে গেছে। এই তিন অ্যানিমেশন চরিত্র আমাদের ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই নায়ক-নায়িকাদের বিষয়ে বলে থাকে, যাদের সম্পর্কে খুব বেশি মানুষের জানা নেই। সম্প্রতি গোয়াতে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া-র আয়োজনে এর দ্বিতীয় মরশুমের আকর্ষণীয় ভাবে তৈরি করা পর্বের উদ্বোধন হয়েছে। দারুণ কথা হচ্ছে, এই সিরিজ শুধুমাত্র অনেকগুলি ভারতীয় ভাষাতেই নয়, একই সঙ্গে বিশ্বের অনেকগুলো ভাষাতেও সম্প্রচারিত হয়ে থাকে| একে দূরর্দশনের পাশাপাশি অন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও দেখতে পাওয়া যায়।

 বন্ধুরা আমাদের অ্যানিমেশন ছবি, সাধারণ চলচ্চিত্র, দূরদর্শন বা অন্য টেলিভিশন ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা এটাই দেখায় যে, ভারতের সৃজনশীল শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রের কত ক্ষমতা| এই শিল্প-উদ্যোগ ক্ষেত্র শুধুমাত্র দেশের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখে তাই নয়, একই সঙ্গে আমাদের অর্থনীতিকেও ব্যাপক উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের চলচ্চিত্র ও বিনোদন শিল্পোদ্যোগের জগৎ অনেক বিশাল পরিসরের। দেশের কত ভাষায় যে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, সৃজনশীল উপাদান তৈরি হয়! আমি আমাদের চলচ্চিত্র এবং বিনোদন শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রকে এজন্য অভিনন্দন জানাই। কেননা তারা ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতে’র ভাবনাকে শক্তিশালী করেছেন।

 বন্ধুরা, এই ২০২৪-এ চলচ্চিত্র জগতের অনেক মহান ব্যক্তিত্বের শততম জন্ম জয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে। এই ব্যক্তিত্বরা ভারতীয় চলচ্চিত্রকে বিশ্বপর্যায়ে পরিচিত করিয়েছেন। রাজ কাপুর মহোদয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের সফট পাওয়ারের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। রফি সাহেবের কণ্ঠস্বরের সেই জাদু ছিল, যা মনকে ছুঁয়ে যেত। তার কণ্ঠস্বর অসাধারণ ছিল! ভক্তিগীতি হোক, বা রোমান্টিক গান, ব্যথা হোক বা আবেগ, তিনি নিজের কণ্ঠস্বরে সে সমস্ত কিছুকে জীবন্ত করে তুলেছেন। প্রত্যেক শিল্পীর চেহারার সঙ্গে তার কন্ঠস্বরের মহানতার উচ্চতা পরখ করা যায়, আর এজন্যই, আজকের দিনেও তরুণ প্রজন্ম তার গাওয়া গান একই আকর্ষণে শুনতে থাকে।  এটাই তো সময় নির্বিশেষে শিল্পকলার গুণবত্ত্বা উপলব্ধির সুযোগ করে দেয়। আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাও গারু ‘তেলুগু চলচ্চিত্র’কে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন| তাঁর তৈরি করা ছবি ভারতীয় ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধের ব্যাপক উপস্থাপনা করেছে| তপন সিনহা মহোদয়ের ছবি সমাজকে নতুন ভাবে দেখার চোখ উপহার দিয়েছে। তার ছবিতে সামাজিক চেতনা ও জাতীয় একতার বার্তা স্পষ্টভাবে থাকতো। আমাদের গোটা চলচ্চিত্র জগতের জন্যই এই ব্যক্তিত্বরা নিজেদের জীবনের মাধ্যমে প্রেরণা জুগিয়ে গেছেন।

 বন্ধুরা, আমি আপনাদের আরও একটি সুখবর দিতে চাই, ভারতের সৃজনশীল প্রতিভা গোটা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরার জন্য আরও একটি বিশাল সুযোগ আসছে। আগামী বছর আমাদের দেশে প্রথমবার ওয়ার্ল্ড অডিও ভিজুয়াল এন্টারটেইনমেন্ট সামিট মানে ‘ওয়েভস’ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন হতে চলেছে। আপনারা সবাই হয়তো দাভোসের ব্যাপারে শুনে থাকবেন, যেখানে বিশ্বের আর্থিক দুনিয়ার শীর্ষ মানুষেরা সমবেত হয়ে থাকেন। একইভাবে ওয়েভস শীর্ষ সম্মেলনে গোটা দুনিয়ার ‘সংবাদ’ এবং ‘বিনোদন শিল্পোদ্যোগ জগতে’র শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা, সৃজনশীল দুনিয়ার মানুষ ভারতে আসবেন। এই শীর্ষ সম্মেলন ভারতকে বিশ্ব কন্টেন্ট ক্রিয়েশন জগতের হাব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে উঠবে। আমি এটা বলতে গিয়ে গৌরবান্বিত হচ্ছি যে, এই শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিতে আমাদের সৃজনশীল নবীন বন্ধুরা নিজেদের পরিপূর্ণ উদ্দীপনায় যুক্ত হচ্ছেন। আমরা যখন পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার দিকে এগিয়ে চলেছি, সেই সময়েই আমাদের সৃজনশীলতার অর্থনীতি এক নতুন শক্তি নিয়ে আসছে। আমি ভারতের বিনোদন এবং সৃজনশীল শিল্পোদ্যোগ জগতের সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, আপনি সেই সৃজন জগতের নবীন হোন বা প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, বলিউডের সঙ্গে যুক্ত হোন, বা আঞ্চলিক চলচ্চিত্র জগতের হোন, টিভি শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রের পেশাদার হোন, বা অ্যানিমেশন বিশেষজ্ঞ, গেমিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হোন, বা বিনোদন প্রযুক্তির উদ্ভাবক— আপনারা সবাই ওয়েভস শীর্ষ সম্মেলনের অংশীদার অবশ্যই হবেন।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা সবাই জানেন যে, ভারতীয় সংস্কৃতির আলোকবিভা আজ দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। আজ আমি আপনাদের তিন মহাদেশের এমন কয়েকটি প্রয়াসের ব্যাপারে অবহিত করবো, যেগুলি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতির সাক্ষ্য বহন করছে। এই প্রয়াসগুলির সবক’টারই একটার থেকে আরেকটার দূরত্ব বহু মাইলের। কিন্তু ভারতকে জানা এবং আমাদের সংস্কৃতি থেকে শেখার জন্য তাদের আগ্রহ একই ধরনের। 

বন্ধুরা, চিত্রাঙ্কনের জগতে যত রংয়ের বাহার দেখা যায়, ততই তাকে আরো বেশি সুন্দর লাগে। আপনাদের মধ্যে যারা টিভির মাধ্যমে ‘মন কি বাতে’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তারা কয়েকটি চিত্রাংকনের নমুনা টিভিতে দেখতেও পাবেন। এই চিত্রাঙ্কনে আমাদের দেবী-দেবতা, নৃত্যকলা এবং মহান ব্যক্তিত্বদের দেখে আপনাদের খুবই ভালো লাগবে। এগুলিতে আপনারা ভারতে পাওয়া যায় এমন কিছু জীবজন্তু থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছু দেখতে পাবেন। এর মধ্যে তাজমহলের এক অসাধারণ চিত্র আছে, যা এক ১৩ বছরের মেয়ে এঁকেছে। আপনারা এটা জেনে অবাক হয়ে যাবেন, এই দিব্যাঙ্গ মেয়ে নিজের মুখ দিয়ে এই ছবিটি এঁকেছে। সবচেয়ে  চমকে যাওয়ার কথা হচ্ছে যে, এই ছবি আঁকার শিল্পী মোটেই ভারতের নয়, বরং মিশরের এক ছাত্রী! কয়েক সপ্তাহ আগে মিশরের প্রায় ২৩ হাজার পড়ুয়া এক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। সেখানে তাঁদেরকে ভারতের সঙ্গে মিশরের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রামাণ্য ছবি আঁকার জন্য বলা হয়েছিলো। আমি সেই প্রতিযোগিতায় যোগদানকারী সমস্ত নবীন বন্ধুদের প্রশংসা করছি। তাদের সৃজনশীলতার যত বেশি প্রশংসা করা যায়, সেটাও বোধহয় কম হবে।

বন্ধুরা, দক্ষিণ আমেরিকার এক দেশ প্যারাগুয়ে। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সংখ্যা সাকুল্যে এক হাজারের বেশি হবে না। প্যারাগুয়েতে এক আশ্চর্য প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে এরিকা হ্যুবার বিনা খরচে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই পরামর্শ নেওয়ার জন্য সেখানকার স্থানীয় মানুষও আজ ব্যাপক সংখ্যায় হাজির হচ্ছেন। এরিকা হ্যুবার যতই ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনো করে থাকুন না কেন, কিন্তু তাঁর মন জুড়ে ছেয়ে আছে আয়ুর্বেদের জগত। তিনি আয়ুর্বেদ সংক্রান্ত কোর্স করেছিলেন, আর দিনে দিনে তিনি এই বিদ্যায় অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করে চলেছেন।

  বন্ধুরা, এটা আমাদের জন্য খুবই গর্বের যে, দুনিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা তামিল এবং প্রত্যেক ভারতবাসী এজন্য গর্বিত। গোটা পৃথিবীর সমস্ত দেশের মধ্যে এই ভাষা শিখতে থাকা লোকের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। গত মাসের শেষ দিকে ফিজিতে ভারত সরকারের সহযোগিতায় তামিল শিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিগত ৮০ বছরে এটাই প্রথম সুযোগ যে, ফিজিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তামিল ভাষা শেখাচ্ছেন। আমি এটা জেনে খুশি হয়েছি যে, আজকের পড়ুয়ারা তামিল ভাষা ও সংস্কৃতি শেখার জন্য খুবই আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

বন্ধুরা, এই কথা, এই ঘটনামালা, শুধুমাত্র যে সাফল্যের আখ্যান, তা কিন্তু নয়! এগুলো আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিস্মরণীয় গাঁথা! এই দৃষ্টান্তগুলি আমাদের গর্বে ভরিয়ে তোলে। চিত্রাংকন থেকে আয়ুর্বেদ এবং ভাষা থেকে শুরু করে সংগীত পর্যন্ত ভারতের কত কিছু আজ গোটা দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়ছে!

বন্ধুগণ, শীতের এই মরশুমে সারা দেশে খেলাধুলা এবং ফিটনেস সম্পর্কিত অনেক কর্মসূচি চলছে। আমি আনন্দিত যে, মানুষ ফিটনেসকে তাদের দিনচর্চার অংশ করে তুলছেন। কাশ্মীরের স্কিইং থেকে শুরু করে গুজরাটের ঘুড়ি ওড়ানো পর্যন্ত সব দিক থেকেই খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। “হ্যাশট্যাগ সান্ডে অন সাইকেল” (#SundayOnCycle) এবং ‘হ্যাশট্যাগ সাইক্লিং টুইসডে” (#CyclingTuesday)-এর মতো প্রচারাভিযানের মাধ্যমে সাইক্লিং-এর প্রচার করা হয়েছে।

বন্ধুগণ, এখন আমি আপনাদের একটি অনন্য কথা বলতে চাই, যা আমাদের দেশের পরিবর্তন এবং আমাদের তরুণ বন্ধুদের উৎসাহ ও উদ্দীপনার প্রতীক। আপনারা কি জানেন যে, আমাদের বস্তার এলাকায় এক ব্যতিক্রমী অলিম্পিকের সূচনা হয়েছে| হ্যাঁ, প্রথমবারের মত বস্তার অলিম্পিক থেকে বস্তার এলাকায় এক নতুন বিপ্লবের জন্ম হচ্ছে। আমার জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, বস্তার অলিম্পিকের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। আপনাদেরও এটা জেনে ভালো লাগবে যে, এই অলিম্পিক সেই এলাকায় হচ্ছে, যে এলাকা একসময় মাওবাদী হিংসার সাক্ষী ছিল। বস্তার অলিম্পিকের শুভ প্রতীক হচ্ছে, “বুনো-মহিষ” এবং 'পাহাড়ি ময়না'। এটি বস্তারের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির নিদর্শন। এই বস্তার ক্রীড়া-মহাকুম্ভ-এর মূল মন্ত্র হল –

“করসায় তা বস্তার, বরসায় তা বস্তার”

অর্থাৎ

“খেলবে বস্তার, জিতবে বস্তার”

এই প্রথম বস্তার অলিম্পিকে ৭টি জেলা থেকে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছেন। এটি শুধুমাত্র একটি সংখ্যাই নয়, এটাই আমাদের যুবসমাজের সংকল্পের গৌরব-গাঁথা। অ্যাথলেটিক্স,  তীরন্দাজি,  ব্যাডমিন্টন,  ফুটবল,  হকি,  ভারোত্তোলন, ক্যারাটে, কাবাডি, খো-খো এবং ভলিবল— প্রতিটি খেলায় আমাদের যুবসমাজ তাদের প্রতিভা দেখিয়েছে। কারি কাশ্যপজির গল্প আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে। একটি ছোট গ্রাম থেকে আসা কারি-জি তীরন্দাজিতে রৌপ্য পদক জিতেছেন। তিনি বলেন-"বস্তার অলিম্পিক আমাদেরকে শুধুমাত্র খেলার মাঠ নয়, জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে।" সুকমা এলাকার পায়েল কাওয়াসিজি’র গল্পও কম অনুপ্রেরণামূলক নয়। জ্যাভেলিন থ্রো-তে স্বর্ণপদক জয়ী পায়েলজি বলেন-"শৃঙ্খলা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কোনো লক্ষ্যই অসম্ভব নয়।" সুকমার দোরনাপালের পুনেম সন্নাজির গল্প তো নতুন ভারতের অনুপ্রেরণার প্রতীক। একসময় নকশাল প্রভাবের মধ্যে থাকা পুনেমজি আজ হুইলচেয়ারে বসেও দৌড়ে পদক জিতছেন। তাঁর সাহস ও আত্মবিশ্বাস প্রত্যেকের জন্য প্রেরণাদায়ক। কোডাগাঁওয়ের তীরন্দাজ রনজু সোরিজিকে ‘বস্তার ইয়ুথ আইকন’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাঁর বিশ্বাস— বস্তার অলিম্পিক প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুবকদের জাতীয় স্তরে পৌঁছানোর সুযোগ দিচ্ছে।

বন্ধুগণ, বস্তার অলিম্পিক শুধুমাত্র একটি খেলার আয়োজন নয়। এটি এমন একটি মঞ্চ, যেখানে উন্নয়ন ও খেলার মিলন ঘটছে। এখানে আমাদের যুবসমাজ তাঁদের প্রতিভাকে ক্ষুরধার করছে এবং এক নতুন ভারতের নির্মাণে অংশগ্রহণ করছে। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি:

--আপনার এলাকায় এমন খেলার আয়োজনকে উৎসাহিত করুন।

--‘হ্যাশট্যাগ খেলবে ভারত-জিতবে ভারত’-এর সঙ্গে আপনার এলাকার খেলাধুলার প্রতিভার গল্প শেয়ার করুন।

--স্থানীয় প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিন|

মনে রাখবেন যে, খেলাধুলা কেবল একটি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নয়, এটি খেলোয়াড়ের চেতনার সাথে সমাজকে সংযুক্ত করার একটি শক্তিশালী মাধ্যমও। তাই,  ভালোভাবে খেলুন, ভালোভাবে এগিয়ে যান|

প্রিয় দেশবাসী, ভারতের দুটি বড় সাফল্য আজ বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এগুলি শুনে আপনিও গর্বিত বোধ করবেন। এই দুটি সাফল্য স্বাস্থ্যক্ষেত্র থেকে পাওয়া গেছে। প্রথম সাফল্য হল – ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই। ম্যালেরিয়া রোগ ৪০০০ বছর ধরে মানবতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়েছে। স্বাধীনতার সময়ও এটি আমাদের অন্যতম বৃহত্তম স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ ছিল। একমাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের প্রাণহানি ঘটানোর ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া ছিল তৃতীয় স্থানের অধিকারী। আজ, আমি সন্তুষ্টির সঙ্গে বলতে পারি যে, দেশের জনগণ একত্রিত হয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “হু”-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, "ভারত ২০১৫ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ এবং এর ফলে মৃত্যু ৮০ শতাংশ কমিয়েছে।" এটি কোনো ছোট সাফল্য নয়। সবচেয়ে সুখকর বিষয় হলো, এই সাফল্য জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। ভারতের প্রতিটি কোণ থেকে, প্রতিটি অঞ্চল থেকে সবাই এই অভিযানে অংশ গ্রহণ করেছেন। আসামের জোড়হাটের চা-বাগানগুলোতে ম্যালেরিয়া চার বছর আগে পর্যন্ত লোকদের উদ্বেগের একটি বড় কারণ ছিল। কিন্তু যখন চা বাগানে বসবাসকারী লোকেরা একত্রিত হয়ে এই রোগ নির্মূলের জন্য কাজ শুরু করলেন, তখন এতে যথেষ্ট সাফল্য আসতে শুরু করল। এই প্রয়াসে তারা প্রযুক্তির পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ারও ব্যবহার করেছেন।

এভাবেই হরিয়াণার কুরুক্ষেত্র জেলা ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি খুব ভাল মডেল উপস্থাপন করেছে। এখানে ম্যালেরিয়া মনিটরিংয়ের জন্য জনসাধারণের অংশগ্রহণ কার্যকরভাবে কাজ করেছে। পথনাটক এবং রেডিওর মাধ্যমে এই সংক্রান্ত বার্তাগুলো প্রচারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, যা মশার প্রজনন কমাতে সহায়ক হয়েছে। দেশব্যাপী এমন প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধকে আরও দ্রুত এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি।

বন্ধুগণ, আমাদের সচেতনতা এবং সংকল্পের শক্তি দিয়ে আমরা যে অনেক কিছু অর্জন করতে পারি, তার আরেকটি উদাহরণ হল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই। বিশ্বখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের গবেষণা সত্যিই অনেক আশা জাগানো। এই জার্নালের মতে, এখন ভারতে সময়মতো ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। সময়মতো চিকিৎসা শুরু হওয়ার মানে হচ্ছে, ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা ৩০ দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাওয়া এবং এতে বড় ভূমিকা রেখেছে ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’। এই যোজনার কারণে ক্যান্সারের ৯০ শতাংশ রোগী সময়মতো তাদের চিকিৎসা শুরু করতে পেরেছেন। এর কারণ হলো, আগে অর্থের অভাবে গরিব রোগীরা ক্যান্সারের পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করাতে সংকোচ বোধ করতেন। এখন ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ তাদের জন্য একটি বড় সহায়ক হয়ে উঠেছে। এখন তারা এগিয়ে এসে তাদের চিকিৎসা করাচ্ছেন। ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ ক্যান্সারের চিকিৎসায় অর্থের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। আর এটাও ভালো বিষয় যে, এখন সময়মতো ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পর্কে মানুষ আগে থেকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। এই সাফল্য যতটা আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ডাক্তার, নার্স এবং টেকনিক্যাল স্টাফদের জন্য, তার চেয়ে অনেক বেশি আপনাদের, আমার নাগরিক ভাই-বোনদের জন্য। সবার প্রচেষ্টায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সংকল্প আরও শক্তিশালী হয়েছে। এই সাফল্যের কৃতিত্ব তাদের সকলের, যারা সচেতনতা তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি মন্ত্র আছে— অ্যাওয়ারনেস, অ্যাকশন এবং এসুরেন্স অর্থাৎ সচেতনতা, পদক্ষেপ এবং নিশ্চয়তা। সচেতনতা মানে ক্যান্সার এবং এর লক্ষণের প্রতি সচেতনতা, পদক্ষেপ মানে সময়মতো পরীক্ষা ও চিকিৎসা  এবং নিশ্চয়তা মানে রোগীদের জন্য সব ধরনের সাহায্য পাওয়ার বিশ্বাস। আসুন, আমরা সবাই মিলিত হয়ে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই লড়াইকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাই এবং আরও বেশি রোগীর সাহায্য করি।"

আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ আমি আপনাদের ওড়িশার কালাহান্ডি জেলার একটি এমন উদ্যোগের কথা বলতে চাই, যা কম জল এবং কম সম্পদ থাকা সত্ত্বেও সফলতার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এটি হল কালাহান্ডির ‘সবজি বিপ্লব’। যেখান থেকে একসময় কৃষকরা অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছিলেন, আজ সেই কালাহান্ডির গোলামুন্ডা ব্লক একটি ভেজিটেবল হাব বা সবজির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই পরিবর্তন কীভাবে ঘটল? এর শুরু হয়েছিল শুধুমাত্র ১০ জন কৃষকদের একটি ছোট্ট দল থেকে। এই দলের সদস্যরা একত্রে একটি এফ.পি.ও. অর্থাৎ ‘কৃষক উৎপাদন সংগঠন’ গঠন করেন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেন এবং আজ তাদের এই এফ.পি.ও. কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে। বর্তমানে ২০০-এরও বেশি কৃষক এই এফ.পি.ও.-এর সঙ্গে যুক্ত আছেন, যার মধ্যে ৪৫ জন মহিলা কৃষকও আছেন। তারা একসাথে ২০০ একর জমিতে টম্যাটোর চাষ করছেন, ১৫০ একর জমিতে করলা উৎপাদন করছেন। এখন এই এফ.পি.ও.-এর বার্ষিক টার্নওভার বেড়ে আড়াই কোটি টাকারও বেশি হয়েছে। আজ কালাহান্ডির সবজি শুধু ওড়িশার বিভিন্ন জেলার মধ্যে নয়, বরং অন্য রাজ্যগুলিতেও পৌঁছাচ্ছে এবং সেখানকার কৃষকরা এখন আলু এবং পেঁয়াজ চাষের নতুন প্রযুক্তি শিখছেন।

সাথীরা, কালাহান্ডির এই সাফল্য আমাদের শেখায় যে, সংকল্প-শক্তি এবং সমাজিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে কিছুই অসম্ভব নয়। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি যে:-

** নিজেদের অঞ্চলে এফ.পি.ও.-কে উৎসাহিত করুন।

** কৃষক উৎপাদন সংগঠনের সাথে যুক্ত হন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করুন।

 

মনে রাখবেন, ছোটো আকারের সূচনা থেকেও বড়ো পরিবর্তন সম্ভব। আমাদের শুধু দৃঢ় সংকল্প এবং দলগত মানসিকতার প্রয়োজন।

বন্ধুরা, আজকের 'মন কি বাত'-এ আমরা শুনলাম, কীভাবে আমাদের ভারত, বৈচিত্র্যের মধ্যে একতায় এগিয়ে চলেছে। সেটা খেলাধুলার মাঠ হোক বা বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য বা শিক্ষা – প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারত নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে। আমরা এক পরিবার হিসেবে একত্রে প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছি এবং নতুন সাফল্য অর্জন করেছি। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ‘মন কি বাত’-এর ১১৬টি পর্বে আমি দেখেছি, ‘মন কি বাত’ দেশের সমাজিক শক্তির একটি জীবন্ত দলিল হয়ে উঠেছে। আপনাদের সবাই এই কর্মসূচিকে গ্রহণ করেছেন, আপনাদের চেষ্টায় তা সফল হয়েছে। প্রতি মাসে আপনারা আপনাদের চিন্তা-ভাবনা ও উদ্যোগগুলি বিনিময় করেছেন। কখনও কোনো তরুণ উদ্ভাবকের ধারণা প্রভাবিত করেছে, তো কখনো কোনো মেয়ের সাফল্য গর্বিত করেছে। এই অংশ গ্রহণই দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে ইতিবাচক শক্তিকে একত্রিত করেছে। ‘মন কি বাত’ এখন সেই ইতিবাচক শক্তির প্রবৃদ্ধির মঞ্চ হয়ে উঠেছে এবং এখন ২০২৫ আমাদের দ্বারপ্রান্তে। আগামী বছর ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে আমরা আরও অনুপ্রাণিত প্রয়াসগুলি বিনিময় করব। আমি বিশ্বাস করি, দেশবাসীর ইতিবাচক চিন্তা ও উদ্ভাবনী মনোভাবে ভারত আরও নতুন উচ্চতা ছুঁয়ে ফেলবে। আপনারা নিজেদের আশপাশের বিশেষ উদ্যোগগুলো হ্যাশট্যাগ মন কি বাত (#Mannkibaat)-এর মাধ্যমে শেয়ার করতে থাকবেন। আমি জানি, আগামী বছর ‘মন কি বাত’-এর প্রতিটি পর্বে আমাদের বিনিময় করার জন্য অনেক কিছু থাকবে। আপনাদের সবাইকে ২০২৫-এর জন্য অনেক শুভকামনা। সুস্থ থাকুন, সুখী থাকুন, ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে যোগ দিন এবং নিজেকে সুস্থ রাখুন। জীবনে উন্নতি করতে থাকুন। অনেক ধন্যবাদ।...

SKC/Agt


(Release ID: 2088691) Visitor Counter : 27


Read this release in: English