প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোতে কেন-বেতোয়া নদী সংযোগ জাতীয় প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন

Posted On: 25 DEC 2024 3:27PM by PIB Agartala

নতুন দিল্লি, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। এই উপলক্ষে এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে শ্রী মোদী ভারত তথা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জনগণকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান। মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদবের নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শ্রী মোদী মধ্যপ্রদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান। তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে হাজার হাজার কোটি টাকারও বেশি নতুন পরিকাঠামো প্রকল্প রূপায়ণের পাশাপাশি, উন্নয়নমূলক কাজকর্মে গতি এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ঐতিহাসিক কেন-বেতোয়া আন্ত: নদী সংযোগ প্রকল্প, দাউধন বাঁধ এবং মধ্যপ্রদেশের প্রথম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ওঙ্কারেশ্বর ভাসমান সৌর প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। এজন্য তিনি মধ্যপ্রদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজকের দিনটিকে একটি উল্লেখযোগ্য অনুপ্রেরণাদায়ক দিন হিসাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সুপ্রশাসন ও সু-সেবার উৎসব। এই দিনটি আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।  এদিন তিনি একটি স্মারক ডাকটিকিট ও মুদ্রা প্রকাশ করেন। শ্রী বাজপেয়ীকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রী বাজপেয়ী বছরের পর বছর ধরে তাঁর মতো বহু পদাতিক সৈনিককে লালন করেছেন ও পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন । প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির উন্নয়নে অটলজীর সেবা সর্বদাই আমাদের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে, শ্রী মোদী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, আজ থেকে ১১০০টিরও বেশি অটল গ্রাম সুশন সদনের কাজ শুরু হবে এবং এর জন্য প্রথম কিস্তি প্রকাশ করা হয়েছে। অটল গ্রাম সেবা সদন গ্রামগুলির উন্নয়নে গতিশীল হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সুশাসন দিবস যে একদিনের বিষয় নয় একথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, "সুশাসনই আমাদের সরকারগুলির পরিচয়"। কেন্দ্রে টানা তৃতীয়বার সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং মধ্যপ্রদেশে ক্রমাগত সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর পিছনে সুশাসনই সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির পর উন্নয়ন, জনকল্যাণ ও সুশাসনের মাপকাঠিতে দেশকে মূল্যায়ন করার জন্য বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যখনই জনগণের সেবা করার সুযোগ এসেছে তখনই তাঁদের সরকার জনকল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কাজ নিশ্চিত করতে সফল হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, "যদি আমাদের মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে দেশ দেখতে পাবে যে আমরা সাধারণ মানুষের প্রতি কতটা দায়বদ্ধ"। তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামী যাঁরা দেশের জন্য রক্ত ঝরিয়েছেন, তাঁদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন যে, সুশাসনের জন্য শুধুমাত্র ভাল প্রকল্পগুলিই প্রয়োজন নয়, তার কার্যকর রূপায়ণও প্রয়োজন। তিনি বলেন, সুপ্রশাসনের মাপকাঠি হল সরকারি প্রকল্পগুলি জনসাধারণের উপকারে কতটা আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ববর্তী সরকারগুলি যখন ঘোষণা করেছিল, তখন তা রূপায়ণে সদিচ্ছা ও গুরুত্বের অভাবে সুফল জনগণের কাছে পৌঁছয়নি। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির মতো প্রকল্পগুলির সুবিধার উপর জোর দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, এখানে মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা ১২ হাজার টাকা পান। প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশের লাডলি বেহনা যোজনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার এবং মোবাইল নম্বরের সংযুক্তিকরণ ছাড়া এই কর্মসূচি সম্ভব হত না।

শ্রী মোদী মন্তব্য করেন যে, সুপ্রশাসনের অর্থ হল নাগরিকদের তাঁদের অধিকারের জন্য সরকারের কাছে হাত পাততে হবে না বা সরকারি অফিসগুলির আশেপাশে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। তিনি বলেন, ১০০ শতাংশ সুফলভোগীকে ১০০ শতাংশ সুবিধার সঙ্গে যুক্ত করাই তাঁদের নীতি, যা তাঁদের সরকারকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র দেশ এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে, সেজন্য তাঁরা বারবার তাঁদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।

বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুপ্রশাসনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বুন্দেলখন্ডের জনগণ পূর্ববর্তী সরকারগুলির অপশাসনের কারণে কয়েক দশক ধরে প্রচণ্ড কষ্ট ভোগ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বুন্দেলখন্ডের বহু প্রজন্মের কৃষক ও মহিলারা প্রতিটি জলবিন্দুর জন্য সংগ্রাম করেছেন, কারণ কার্যকর প্রশাসনের অভাব এবং পূর্ববর্তী সরকারগুলির দ্বারা জল সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের কথা চিন্তাভাবনা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডঃ বি আর আম্বেদকরই প্রথম ব্যক্তি যিনি ভারতে নদীর জলের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন । শ্রী মোদী বলেন, ভারতের প্রধান প্রধান নদী উপত্যকা প্রকল্পগুলি ডঃ আম্বেদকরের দূরদৃষ্টির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এবং তাঁর প্রচেষ্টায় কেন্দ্রীয় জল কমিশনও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, পূর্ববর্তী সরকারগুলি জল সংরক্ষণ এবং বড় বাঁধ প্রকল্পে ডঃ আম্বেদকরের অবদানের কৃতিত্ব কখনই দেয়নি এবং এই প্রচেষ্টার ব্যাপারে তাঁরা কখনই আন্তরিক ছিলেন না। সাত দশক পরেও ভারতের বহু রাজ্যে এখনও জল নিয়ে বিরোধ রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদিচ্ছার অভাব এবং পূর্ববর্তী সরকারগুলির অপশাসনের ফলে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রচেষ্টা রুদ্ধ হয়েছে।

অতীতে শ্রী বাজপেয়ীর সরকার গুরুত্ব সহকারে জল সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা শুরু করেছিল, কিন্তু ২০০৪ সালের পর তা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে তাঁর সরকার এখন সারা দেশের নদীগুলিকে যুক্ত করার অভিযানকে ত্বরান্বিত করছে। তিনি আরও বলেন, কেন-বেতোয়া যদি সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে এবং বুন্দেলখন্ড অঞ্চলে সমৃদ্ধি ও সুখের নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে চলেছে। কেন-বেতোয়া লিঙ্ক প্রকল্পের সুবিধার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এই প্রকল্প উত্তরপ্রদেশের বান্দা, মাহোবা, ললিতপুর ও ঝাঁসি জেলা সহ উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখন্ড অঞ্চলকেও উপকৃত করবে।

দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে মধ্যপ্রদেশ নদী সংযোগের মহা অভিযানের আওতায় দুটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক রাজস্থান সফরকালে পার্বতী-কালীসিন্ধ-চম্বল এবং কেন-বেতোয়া সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি নদীর সংযোগ নিশ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই চুক্তির ফলে মধ্যপ্রদেশও বিশেষভাবে উপকৃত হবে।

 শ্রী মোদী বলেন, জল নিরাপত্তা হল একুশ শতকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির অন্যতম। তিনি বলেন, যেসব দেশ ও অঞ্চলে পর্যাপ্ত জল রয়েছে কেবল সেসব দেশের অগ্রগতি হবে এবং সমৃদ্ধ ক্ষেত্র ও সমৃদ্ধ শিল্পের জন্য জল অপরিহার্য। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রদেশের খরা কবলিত অঞ্চলগুলিকে জলসঙ্কট থেকে মুক্ত করা তাঁর দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বুন্দেলখন্ডের জনসাধারণকে, বিশেষ করে কৃষক ও মহিলাদের অসুবিধা লাঘবে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি তুলে ধরেন যে এই দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে, বুন্দেলখণ্ডের জন্য ৪৫,০০০ কোটি জল সম্পর্কিত পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে তাদের সরকারকে ক্রমাগত উৎসাহিত করা হচ্ছে, যার ফলে কেন-বেতোয়া লিঙ্ক প্রকল্পের আওতায় দৌধন বাঁধের শিলান্যাস হয়েছে। তিনি বলেন, এই বাঁধে কয়েকশো কিলোমিটার বিস্তৃত একটি খাল থাকবে, যা প্রায় ১১ লক্ষ হেক্টর জমিতে জল সরবরাহ করবে।

শ্রী মোদী বলেন, "গত দশকটি ভারতের ইতিহাসে জল নিরাপত্তা ও সংরক্ষণের এক অভূতপূর্ব দশক হিসাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, পূর্ববর্তী সরকারগুলি জল সম্পর্কিত দায়িত্বগুলি বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিল, কিন্তু তাঁর সরকারই এই সমস্যা সমাধানের জন্য জলশক্তি মন্ত্রক তৈরি করেছিল।

শ্রী মোদী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, প্রত্যেক বাড়িতে কলের জল পৌঁছে দিতে প্রথমবার একটি জাতীয় মিশন চালু করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর সাত দশকে মাত্র ৩ কোটি গ্রামীণ পরিবারে কলের সংযোগ ছিল বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, বিগত পাঁচ বছরে তারা ১২ কোটি নতুন পরিবারকে কলের জল সরবরাহ করেছে, এই প্রকল্পে ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছে। জল জীবন মিশনের আরেকটি দিক জলের গুণমান পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ২১০০টি জলের গুণমান পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে এবং ২৫ লক্ষ মহিলাকে গ্রামে পানীয় জল পরীক্ষা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে

 শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন যে পর্যটন এমন একটি ক্ষেত্র যা যুবকদের কর্মসংস্থান প্রদান করে এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে চলেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী কৌতূহল বাড়ছে এবং বিশ্ব ভারতকে জানতে ও বুঝতে চায়, এতে মধ্যপ্রদেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী একটি মার্কিন সংবাদপত্রের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরেন যেখানে মধ্যপ্রদেশকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দশটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্যের একটি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন পর্যটনকে সহজ করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে।তিনি বলেন, সরকার বিদেশী পর্যটকদের জন্য ই-ভিসা প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি ভারতে ঐতিহ্য ও বন্যপ্রাণী পর্যটন সম্প্রসারণে পদক্ষেপ নিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে পর্যটনের ব্যতিক্রমী সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, খাজুরাহো অঞ্চল ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে কান্ডারিয়া মহাদেব, লক্ষ্মণ মন্দির এবং চৌষট্টি যোগিনী মন্দিরের মতো স্থানগুলি। তিনি আরও বলেন, ভারতে পর্যটনের প্রচারের জন্য, খাজুরাহোতে একটি অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের সাথে খাজুরাহো সহ সারা দেশে জি-২০ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

পর্যটন ক্ষেত্র সম্পর্কে আরও আলোচনা করে শ্রী মোদী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের আওতায় মধ্যপ্রদেশে পর্যটকদের জন্য ইকো-ট্যুরিজম সুবিধা এবং নতুন সুযোগ-সুবিধার উন্নয়নের জন্য কয়েকশো কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি তুলে ধরেন যে সাঁচী এবং অন্যান্য বৌদ্ধ স্থানগুলিকে বৌদ্ধ সার্কিটের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হচ্ছে এবং গান্ধী সাগর, ওঙ্কারেশ্বর বাঁধ, ইন্দিরা সাগর বাঁধ, ভেদাঘাট এবং বানসাগর বাঁধ ইকো সার্কিটের অংশ ছিল। তিনি আরও জানান, খাজুরাহো, গোয়ালিয়র, ওরছা, চান্দেরি এবং মান্ডুর মতো স্থানগুলিকে হেরিটেজ সার্কিটের অংশ হিসাবে সংযুক্ত করা হচ্ছে। পান্না জাতীয় উদ্যানকে বন্যপ্রাণী সার্কিটের অন্তর্ভুক্ত বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর প্রায় আড়াই লক্ষ পর্যটক পান্না ব্যাঘ্র প্রকল্প পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন যে সংযোগকারী খালটি পান্না টাইগার রিজার্ভের বন্যপ্রাণীদের বিবেচনা করবে।

পর্যটন বিকাশের পদক্ষেপ স্থানীয় অর্থনীতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করে, একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটকরা স্থানীয় পণ্য কেনা, অটো ও ট্যাক্সি পরিষেবা, হোটেল, ধাবা, হোমস্টে এবং অতিথিশালার মতো সুযোগ-সুবিধাগুলি ব্যবহার করবেন। দুধ, দই, ফল এবং শাকসব্জির মতো পণ্যের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরাও উপকৃত হবেন বলে তিনি জানান।

বিগত দু'দশকে মধ্যপ্রদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেন, আগামী দশকগুলিতে মধ্যপ্রদেশ দেশের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতিতে পরিণত হবে, যার সঙ্গে বুন্দেলখন্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাঁর ভাষণের শেষে শ্রী মোদী আশ্বাস দেন যে মধ্যপ্রদেশকে উন্নত ভারতের জন্য একটি উন্নত রাজ্য হিসাবে গড়ে তুলতে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে।

অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মাঙ্গুভাই সি প্যাটেল, কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী শ্রী বীরেন্দ্র কুমার,  কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী শ্রী সি আর পাতিল সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

***

SKC/DM


(Release ID: 2088004) Visitor Counter : 12


Read this release in: English