মৎস্য ও পশু পালন এবং দুগ্ধশিল্প মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

চিরাচরিত ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জন্য বরাদ্দ

Posted On: 28 NOV 2024 1:52PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

 

মৎস্য, পশুপালন এবং ডেয়ারি মন্ত্রকের অধীন মৎস্য দফতর ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে “প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা” (পিএমএমএসওয়াই) রূপায়ণ করছে। এর জন্য ২০ হাজার ৫০ কোটি টাকা লগ্নি করা হয়েছে। এর লক্ষ্য ক্ষুদ্র চিরাচরিত মৎস্যজীবী সহ ধীবরদের কল্যাণ এবং মৎস্য চাষ ক্ষেত্রের সার্বিক উন্নতি। ভারত সরকারের মৎস্য, পশুপালন এবং ডেয়ারি মন্ত্রক পিএমএমএসওয়াই- এর মাধ্যমে চিরাচরিত ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী, মৎস্য চাষী এবং মৎস্য চাষে যুক্ত কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় জোর দিয়েছে, যাতে তাদের সামাজিক, প্রাকৃতিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বজায় থাকে। মাছ ধরার নৌকা এবং জাল, যোগাযোগ রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি সংগ্রহে সাহায্য করার পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে সমুদ্র সুরক্ষা কিট, বিমার ব্যবস্থা এবং অত্যাধুনিক মাছ ধরার উপকরণ সহ গভীর সমুদ্রের উপযোগী মাছ ধরার নৌকার জন্য সহায়তা। যাতে মাছ ধরার এবং মৎস্য চাষে আগ্রহ বাড়ে। এর পাশাপাশি বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা যেমন সামুদ্রিক আগাছা চাষ, সামুদ্রিক প্রাণী চাষ, রঙিন মাছের চাষ এবং সমুদ্রে মুক্ত খাঁচার ব্যবস্থা করে চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।  পিএমএমএসওয়াই চিরাচরিত মৎস্যজীবীদের নতুন প্রযুক্তি গ্রহণেও সাহায্য করছে। যেসময়ে মাছ ধরা বন্ধ থাকে সেই সময়ে আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা চিরাচরিত ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের পরিবারের জীবন জীবিকা এবং পুষ্টিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গত ৪ টি অর্থ বছরে অর্থাৎ ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ এবং বর্তমান অর্থ বছর ২০২৪-২৫-এর মৎস্য দফতর পিএমএমএসওয়াই-তে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সম্প্রদায়, চিরাচরিত মৎস্যজীবী এবং অন্যদের জীবন জীবিকায় সহায়তা সহ উন্নয়নের জন্য ৪,৯৬৯.৬২ কোটি টাকার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে কেন্দ্রের ভাগে আছে ১৮২৩.৫৮ কোটি টাকা। 


জলবায়ুর উপযোগী মৎস্য চাষের প্রসারে মৎস্য দফতর জলজ আগাছা, জলজ ঝিনুক, মুক্ত সামুদ্রিক খাঁচার চাষ ইত্যাদিতে সহায়তা দিচ্ছে। সুসংহত মৎস্য চাষের প্রসার ঘটাচ্ছে যাতে মূলত চিরাচরিত ও ক্ষুদ্র মৎস্য চাষীদের ওপর আবহাওয়ার প্রভাব কম পড়ে। এর জন্য ১১৫.৭৮ কোটি টাকার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়াও ভারত সরকারের মৎস্য দফতর চিরাচরিত মৎস্যজীবীদের জন্য ৪৮০টি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার নৌকা সংগ্রহে অনুমোদন দিয়েছে। চিরাচরিত মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার উন্নতির লক্ষ্যে ৭৬৯.৬৪ কোটি টাকা খরচ করে রফতানির ক্ষমতা বাড়াতে চালু ১৩৩৮ টি মাছ ধরার নৌকার উন্নতিকরণ করা হচ্ছে। চিরাচরিত এবং আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা সমুদ্রে এবং ঘরোয়া মৎস্যজীবী পরিবারকে সাহায্য করতে বার্ষিক ৮.৯৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে মাছ ধরার জন্য নিষিদ্ধ মরশুমে। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে বিমার সুযোগ।


ভারত সরকার সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের সুরক্ষার ওপর। যোগাযোগের যন্ত্রপাতি, সমুদ্র সুরক্ষা কিটের পাশাপাশি পিএমএমএসওয়াই-তে ৩৬৪ কোটি টাকা খরচ করে মাছ ধরার নৌকাগুলিতে এক লক্ষ ট্রান্সপন্ডার বসানোর নির্দিষ্ট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে আপৎকালীন সময়ে ছোট বার্তা আদানপ্রদান করা যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা সমুদ্রসীমা পেরিয়ে গেলে সতর্ক বার্তা দেওয়া যাবে। 


উপকূলবর্তী এলাকায় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এবং জীবন জীবিকার সুযোগ তৈরি করতে ১০০ টি গ্রাম উন্নয়নের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যার জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। মৎস্যজীবীদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে এবং দর কষাকষির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ফিস ফার্মাস প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন (এফএফপিও) গঠনে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।  গত ৪ বছরে ভারত সরকারের মৎস্য দফতর ২১৯৫ টি এফএফপিও তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২০০০ টি চালু সমবায়কে এফএফপিও করা হয়েছে এবং নতুন এফএফপিও-র সংখ্যা ১৯৫। এর জন্য পিএমএমএসওয়াই-তে মোট প্রকল্প খরচ ধরা হয়েছে ৫৪৪.৮৫ কোটি টাকা। সরকার ২০১৮-১৯ থেকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা দিচ্ছে মৎস্যজীবী এবং মৎস্য চাষীদেরও। যাতে তাদের কার্যকরী মূলধনের প্রয়োজন মেটে। এপর্যন্ত ২.৫৪ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ২১২১.২৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবী এবং মৎস্যচাষীদের।

আজ রাজ্যসভায় এই উত্তর দিয়েছেন মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রী শ্রী রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং। 


PG/ AP /SG


(Release ID: 2079633) Visitor Counter : 18


Read this release in: Tamil , English , Urdu , Hindi