কর্মী, জন অভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রণালয়"
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারতের মূলধারায় অগ্রগতির অপরিহার্য অংশ হিসাবে গড়ে তুলেছেন: ড জিতেন্দ্র সিং

Posted On: 18 NOV 2024 4:20PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ১৮ নভেম্বর ২০২৪: অরুণাচল প্রদেশের নামসাই জেলা সফরের দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচীর (এডিপি) অধীনে জেলার পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করেছেন। সহযোগিতা, একীকরণ এবং প্রতিযোগিতামুলক মনোভাবের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দৃষ্টিভঙ্গি হল, পরিবর্তন ও পরিবর্তনের প্রভাবের উপর জোর দেওয়া।  ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারতের মূলধারার বিকাশে উত্তরপূর্বাঞ্চলকে এক  অপরিহার্য অঙ্গ করে তুলেছেন।

মন্ত্রী  ডঃ জিতেন্দ্র সিং উল্লেখ করেন যে ২০১৪ সালের আগে, এই অঞ্চল  দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করত। বর্তমানে, এটি ভারতের সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে  এক  অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে উঠে এসেছে। পর্যটন ও বিমান পরিবহণ শিল্পে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যুবকদের উৎকর্ষের উদাহরণ দিয়ে ডঃ জিতেন্দ্র সিং একাত্মতা ও জাতীয় সংহতির মনোভাব গড়ে তোলার উপর  জোর দেন।

নামসাইয়ের ভাল দিকগুলো  তুলে ধরে তিনি শৈশবকালীন শিক্ষা এবং শৈশব থেকে স্বাস্থ্য চর্চার উন্নতির জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে বিদ্যালয়ের সাথে একীভূত করা এবং নবজাতকদের জন্য "পেহলি সাওয়ারি" অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার মতো উদ্ভাবনী উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের চিন্তাভাবনা অন্যান্য উন্নয়নকামী জেলাগুলিতেও অনুকরণ করা উচিত।

ডঃ জিতেন্দ্র সিং এ ব্যপারে প্রশংসা করে বলেন যে নামসাই জেলা উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচীর (এডিপি)-র অধীনে অগ্রগতির নমুনা  হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অবকাঠামো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদর্শন করছে। জেলার সার্বিক  স্কোর ২০১৮ সালের এপ্রিলে যেখানে ছিল ৩৫.৮  থেকে বেড়ে  ২০২৪ সালের মার্চ মাসে বেড়ে হয়েছে ৫৪.০ , যা ৩৭.৬৪%  উন্নতি প্রতিফলিত করে। এই  উত্তোরন  নামসাইকে ১১২টি জেলার মধ্যে ৯৭ তম স্থান থেকে দ্বাদশ স্থানে নিয়ে গেছে, এটি টেকসই উন্নয়ন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন - ক্ষমতায়িত অ্যাকশন গ্রুপ (এসডিজি-ইএপি) এর অধীনে সাফল্য  এবং যথেষ্ট পুরষ্কার অর্জন করেছে।

নামসাইয়ের স্বাস্থ্য খাত রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের সাক্ষ্য দিচ্ছে :

জেলা উপ-কেন্দ্র এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে (প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র) স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্রে (এইচডব্লিউসি) ১০০% রূপান্তর করেছে। উপরন্তু, ৭৫% প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন ভারতীয় জনস্বাস্থ্য মান (আইপিএইচএস) মেনে চলে এবং ৭০% বিশেষজ্ঞ পরিষেবা জেলা হাসপাতালগুলিতে পাওয়া যায়। তবে, চ্যালেঞ্জগুলি রয়ে গেছে, যেমন জেনারেল ডিউটি মেডিকেল অফিসার (জিডিএমও) এবং নার্সদের তীব্র ঘাটতি এবং জেলা হাসপাতালে রেডিওলজিস্টের অনুপস্থিতি রয়েছে।

মা ও শিশু স্বাস্থ্য সূচকেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। চার বা ততোধিক প্রসবপূর্ব যত্নের চেক-আপ প্রাপ্ত গর্ভবতী মহিলাদের হার  ২০১৮ সালের এপ্রিলে ৩৫.৪৬ % থেকে বেড়ে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ৮১.৩ % হয়েছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব ৪৬.৭ %   থেকে বেড়ে ১১৭% হয়েছে। জেলায় ৯-থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের টিকাকরণের হার ১১৯%।

শিক্ষাক্ষেত্রে নামসাইয়ের সাক্ষরতা এবং বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। জেলায়, গ্রামীণ জনসংখ্যার ৭৬% ই যেখানে কৃষির উপর নির্ভরশীল, সেই অংশের জনগন সরকারী বিদ্যালয়ের উন্নতির দিকে আকৃষ্ট হয়েছে,। ৬৭% শিক্ষার্থীই গ্রামীন এলাকার।  সাক্ষরতার হার উন্নত হয়েছে, তবে এটি এখনও রাজ্য এবং জাতীয় গড়ের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।

মূল উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে ২৭টি পুরাতন বিদ্যালয় ভবন সংস্কার, অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ এবং পাঁচটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাবের ব্যবস্থা করা। জেলার ৮১ শতাংশ স্কুলে শৌচাগার এবং ৯৮ শতাংশ স্কুলে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণে ও অনুপস্থিতি কমাতে উদ্ভাবনী ই-ফেন্সিং সফটওয়্যার বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

জেলার অগ্রগতি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতার প্রচেষ্টার ফলাফল। উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) উদ্যোগের অধীনে একটি পরীক্ষাগার ভবন এবং একটি ওপিডি ভবন নির্মাণ, মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র স্থাপন এবং জেলা হাসপাতাল ও কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির (সিএইচসি) জন্য আধুনিক ডায়াগনস্টিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল) এর অর্থায়নে "পেহলি সাওয়ারি" উদ্যোগটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সরবরাহ করে, যা মাতৃস্বাস্থ্যের ফলাফলকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

কৃষি ও পরিকাঠামো : চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার:

নামসাইয়ের জন্য কৃষিকাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, জনসংখ্যার ৭৪% কৃষিতে নিযুক্ত রয়েছে। জেলায় অপর্যাপ্ত সেচ সুবিধা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা শোষণ এবং স্থানীয় গবাদি পশুর কম উৎপাদনশীলতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তবে উর্বর  জমি  এবং চমৎকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা  কৃষি বহুমুখীকরণ এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা  নিয়ে আসে। 

১০০ শতাংশ বাড়িতে বৈদ্যুতিকীকরণ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার (পিএমজিএসওয়াই) অধীনে উন্নত সড়ক যোগাযোগ এবং পানীয় জল ও স্যানিটেশনের সুবিধা  সহ পরিকাঠামো উন্নয়নও একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।

এডিপির অধীনে নামসাইয়ের যাত্রা অন্যান্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলির জন্য এক মডেল হিসাবে কাজ করে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পরিকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে জেলার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। নামসাই তার চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করে চলেছে এবং এর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে, এটি  উন্নয়ন কর্মসূচীর পরিবর্তনীয় শক্তির একটি প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে।

ডঃ জিতেন্দ্র সিংয়ের সফর কেবল নামসাইয়ের কৃতিত্বই প্রদর্শন করেনি, অন্যান্য জেলার জন্য মডেল হিসাবে এর সম্ভাবনাও তুলে ধরেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জোর দেন যে এই জাতীয় উদ্দেশ্যমুলক উন্নয়ন প্রচেষ্টাগুলি দেখায় যে কীভাবে সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনী অনুশীলনগুলি চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করে  এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

নামসাই তার অগ্রগতির যাত্রা অব্যাহত রাখার সাথে সাথে এর তথ্য সারা ভারত জুড়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলির জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই সফর স্থানীয় সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো এবং ন্যায়সঙ্গত উন্নয়ন নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করেছে, যা সরকারের স্ব-নির্ভরতার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

***

 SKC/TD/ KMD


(Release ID: 2074416) Visitor Counter : 13


Read this release in: English