কৃষিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প

Posted On: 30 JUL 2024 6:31PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২৪

 

দেশের কৃষকদের কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করে চলেছে ভারত সরকার। সম্প্রতি এই ধরণের যেসব কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে প্রধান মন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা (পিএম-কিষাণ), প্রধান মন্ত্রী কিষাণ মান ধন যোজনা (পিএম- কেএমওয়াই), প্রধান মন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা (পিএমএফবিওয়াই), কৃষি পরিকাঠামো তহবিল (এআইএফ), জাতীয় মৌমাছিপালন ও মধু অভিযান (এনবিএইচএম), ১০,০০০ কৃষক উৎপাদক সংগঠন বা এফপিও গঠন ও তার প্রসার, জাতীয় ভোজ্য তেল অভিযান- তেল পাম (এনএমইও-ওপি) ইত্যাদি। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের প্রধান প্রকল্পগুলির এক ঝলক :

 

ক্রমিক সংখ্যা

 প্রকল্পের নাম

 উদ্দেশ্য

প্রধান মন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (পিএম-কিষাণ)

পিএম-কিষাণ চালু হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ । এর লক্ষ্য জমির মালিকানা রয়েছে এমন কৃষকদের শর্ত সাপেক্ষে অর্থ সহায়তা। প্রতি বছর ৪ টি কিস্তিতে কৃষকদের পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৬ হাজার টাকা করে।

প্রধান মন্ত্রী কিষাণ মান ধন যোজনা (পিএম- কেএমওয়াই)

পিএম- কেএমওয়াই-এর সূচনা ১২.০৯.২০১৯ তারিখে। এর লক্ষ্য চরম দুর্দশাগ্রস্ত, ১৮-৪০ বয়সসীমার যেসব কৃষকের সর্বোচ্চ ২ হেক্টর জমির মালিকানা রয়েছে তাঁদের অর্থ সহায়তা। ৬০ বছর বয়সের পর তাঁরা মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন।

প্রধান মন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা (পিএমএফবিওয়াই)

পিএমএফবিওয়াই –এর সূচনা ২০১৬ সালে। এর আওতায় প্রাকৃতিক কারণে ফসলহানির ক্ষেত্রে কৃষকরা সুলভে বিমার সুযোগ পাবেন। 

 সুদে ছাড়, অর্থাৎ ইন্টারেস্ট সাবভেনশন স্কিম (আইএসএস)

আইএসএস-এর লক্ষ্য কৃষক, পশুপালক এবং মাছ চাষীদের সহজ শর্তে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেওয়া। প্রতি বছর ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের সংস্থান রয়েছে বার্ষিক ৭ শতাংশ সুদে। যথা সময়ে ঋণ শোধ করলে পরবর্তীতে সুদের হার হবে ৪ শতাংশ। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড থাকলে ফসল তোলার পরে উৎপাদিত পণ্য প্রাকৃতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৬ মাস পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতায় সুদে ছাড় পাবেন। সেক্ষেত্রে হস্তান্তরযোগ্য গুদাম রসিদ থাকা প্রয়োজন।

কৃষি পরিকাঠামো তহবিল (এআইএফ)

কৃষি পরিকাঠামোর খামতি দূর করতে আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচির আওতায় এই তহবিলের সূচনা করা হয়। ফসল পরবর্তী পর্যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং গোষ্ঠীগত কৃষি সম্পদ তৈরির প্রশ্নে এই প্রকল্পের আওতায় অর্থ সংস্থান করা হয়। সুদে ছাড় এবং ঋণ নিশ্চয়তার সুবিধাও মেলে। ২০২০-২১ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত এবাবদ এক লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হবে। প্রকল্পটির আওতায় অন্য ধরণের সহায়তা মিলবে ২০৩২-৩৩ পর্যন্ত।

 

এই এক লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হবে ব্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ হিসেবে। প্রতিবছর সুদে ৩ শতাংশ ছাড় মিলবে। ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে পরিশোধ সংক্রান্ত গ্যারান্টিও পাবে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ টি পর্যন্ত প্রকল্পে ঋণ দিতে পারবে।

 

এর ফলে কৃষক, কৃষি-উদ্যোগী, স্টার্ট আপ, প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি, বিপণন সমবায় সমিতি, কৃষক উৎপাদক সংগঠন, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, বহুমুখী সমবায় সমিতি সহ নানা পক্ষ উপকৃত হবেন।   

১০,০০০ নতুন কৃষক উৎপাদক সংগঠন বা এফপিও গঠন ও প্রসার

২০২০ সালে এই প্রকল্পের সূচনা হয়, এজন্য বাজেট বরাদ্দ ৬৮৬৫ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে কাজ হবে চিহ্নিত নানা সংস্থার মাধ্যমে।

 

৩ বছরের জন্য প্রতিটি কৃষক উৎপাদক সংগঠন ফি বছর ১৮ লক্ষ টাকা পাবে।

প্রতি বিন্দু আরও ফসল (পিডিএমসি)

 এই প্রকল্পের লক্ষ্য কৃষিকাজে জলের ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি।

কৃষি প্রসার উপ-অভিযান (এসএমএই)

কৃষকদের প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

কৃষি যন্ত্রায়ন উপ-অভিযান(এসএমএএন)

এই প্রকল্প চালু হয় ২০১৪-র এপ্রিল থেকে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের যন্ত্রপাতি ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা এর লক্ষ্য।

১০

বীজ ও রোপণ সরঞ্জাম উপ-অভিযান (এসএমএসপি)

এই প্রকল্পের লক্ষ্য উন্নতমানের বীজের ব্যবহার ও সরবরাহ জোরদার করা।

১১

পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা (পিকেভিওয়াই)

এই প্রকল্পের লক্ষ্য চিরাচরিত কৃষি পদ্ধতি এবং আধুনিক বিজ্ঞানের মেলবন্ধনে ধারাবাহিক জৈব কৃষির পালে হাওয়া লাগানো। এক্ষেত্রে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং রাসায়নিকের ব্যবহার কমানোর বিষয়গুলি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত।

১২

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা অভিযান (এনএফএসএম)

এই প্রকল্পের লক্ষ্য, ধান, গম, ডাল, মিলেট প্রভৃতি খাদ্যশস্য এবং পাট কিংবা তুলোর মত বাণিজ্যিক ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে চিহ্নিত কয়েকটি জেলায়।

১৩

কৃষি বিপণন সমন্বয় প্রকল্প (আইএসএএম)

এই প্রকল্পের লক্ষ্য সার্বিকভাবে কৃষি পণ্যের বিপণন ব্যবস্থাকে জোরদার করা।২০১৭-২০১৮য় জাতীয় কৃষি বিপণন কর্মসূচি বা ই-নামকে এই প্রকল্পের অঙ্গীভূত করা হয়। ২৩ টি রাজ্য এবং ৪ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৩৮৯ টি মান্ডি ই-নাম মঞ্চে সংযুক্ত হয়েছে।

১৪

সমন্বিত ফুল-ফল চাষ উন্নয়ন প্রকল্প
(এমআইডিএইচ)

২০১৪-১৫ সালে ফুল-ফল, শাকসব্জি, মাশরুম, নারকেল, বাঁশ উৎপাদনে গতি আনতে এই প্রকল্প চালু হয়েছে।

১৫

সয়েল হেল্থ কার্ড

মাটির উর্বরতা যাচাইয়ে এই কার্ড ব্যবহার করা হয়। কার্ডে কৃষকদের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পাওয়া মাটির উর্বরতা সংক্রান্ত তথ্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।

১৬

বৃষ্টিস্নাত অঞ্চল উন্নয়ন (আরএডি)

এই প্রকল্পের লক্ষ্য, মরশুমে একাধিকবার চাষ এবং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা ধরণের ফসল উৎপাদনের প্রবণতা বাড়ানো। এর ফলে কোনো একবার ফসলহানি হলেও ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা কম আতান্তরে পড়েন।  

১৭

রাষ্ট্রীয় কৃষিবিকাশ যোজনা (আরকেভিওয়াই)

এই প্রকল্পের লক্ষ্য ফসল তোলার আগে ও পরে এবং সার্বিকভাবে সবসময়ই প্রয়োজনীয় কৃষি পরিকাঠামোর বিকাশ। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অঞ্চল অনুযায়ী প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্যগুলির স্বাধীনতা রয়েছে। ২০২২-২৩ –এ এবাবদ বরাদ্দ হয়েছে ৩০৩১.০৮ কোটি টাকা।    

১৮

জাতীয় ভোজ্য তেল অভিযান (এনএমইও)-তেল পাম

এই প্রকল্প চালু করা হয় ২০২১-২২ সালে। এর লক্ষ্য ভোজ্য তেলের উৎপাদন ও সরবরাহের বৃদ্ধি। এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে আরও ৬.৫ লক্ষ হেক্টর জমিকে।

১৯

বিপণন সহায়তা এবং মূল্য সহায়তা প্রকল্প (এমআইএস-পিএসএস)

ডাল, তৈলবীজ এবং শুকনো নারকেলের শাঁস ক্রয় এবং বিপণনের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের আওতায় সহায়তা দেওয়া হয়।

২০

জাতীয় বাঁশ অভিযান (এনবিএম)

বনাঞ্চল নয় এমন জায়গায় বাঁশ উৎপাদন বৃদ্ধি এই অভিযানের লক্ষ্য। এর লক্ষ্য কৃষকদের অতিরিক্ত আয় এবং শিল্পের জন্য কাঁচামালের সরবরাহ বাড়নো।

২১

জাতীয় মৌমাছিপালন ও মধু অভিযান (এনবিএইচএম)

এই প্রকল্পের সূচনা ২০২০ সালে আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণ অভিযানের অঙ্গ হিসেবে।  এর আওতায় ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত মৌমাছি পালনের প্রসারে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২৫-২৬ পর্যন্ত চালানোর প্রস্তাবে অনুমোদন মিলেছে। এই প্রশ্নে মঞ্জুর হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা।

২২

উত্তর পূর্বাঞ্চলে জৈব মূল্য শৃঙ্খল বিকাশ অভিযান (এমওভিসিডিএনইআর)

উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে নির্দিষ্ট কিছু জৈব চাষ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে এই প্রকল্পের আওতায়।

 

লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে আজ এই তথ্য দিয়েছেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামনাথ ঠাকুর।

 

PG/AC /SG


(Release ID: 2039783) Visitor Counter : 138