কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা দিয়েছেন: শ্রী মুন্ডা

আসামের ভারতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাস এবং অতিথিশালার উদ্বোধন

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যথাযথ কৃষি বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে উঠে আসবে আইএআরআই: কৃষিমন্ত্রী শ্রী মুন্ডা

Posted On: 04 MAR 2024 8:29PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি মার্চ২০২৪৷৷ আজ আসামের গোগামুখের দিরপাই চাপোরির আইএআরআই-তে প্রশাসনিক তথা একাডেমিক ভবন, মানস গেস্ট হাউস, সুবনসিরি গার্লস হোস্টেল এবং ব্রহ্মপুত্র পুত্র ছাত্রাবাসের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী কৈলাশ চৌধুরী এবং আসামের ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করেন।

 

কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে কৃষির বিকাশের শূণ্যতাকে দূর করে সেগুলিকে মূলস্রোতে নিয়ে আসার কাজ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার সংকল্প নিয়ে কাজ করছে, যেখানে কৃষির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রী অর্জুন মুন্ডা বলেন, ভোজ্য তেল আমদানির বোঝা হ্রাস করতে এবং তৈলবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে ১১ হাজার কোটি টাকার একটি মিশন চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী দিনে আমরা আমদানি করব না, রফতানি করব, এই চিন্তা নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, যখন আমরা একটি দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করি, তখন আমরা অবশ্যই সাফল্য পাই।

 

শ্রী অর্জুন মুন্ডা জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, কৃষি শিক্ষাকে জীবিকা নির্বাহ ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। শ্রী মুন্ডা বলেন, জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত গবেষণায়ও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। এক বছরের মধ্যে এই ইনস্টিটিউট গবেষণার জন্য সবচেয়ে পছন্দের বিষয় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রযুক্তিকে জলবায়ু নিরপেক্ষ এবং লিঙ্গ নিরপেক্ষ হতে হবে।   

  

প্রতিমন্ত্রী শ্রী কৈলাশ চৌধুরী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্যমান প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যকে কাজে লাগানোর জন্য বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানান। তিনি প্রকৃতির কাছাকাছি প্রযুক্তিগুলির বিকাশের বিষয়েও জোর দিয়েছেন এবং বলেন, এটি করার সময় আসুন আমরা জৈব ও প্রাকৃতিক চাষের সাথে যুক্ত হই। ডালশস্য ও তৈলবীজ সম্পর্কিত গবেষণার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, যাতে দেশকে ডালশস্য রপ্তানিতে খুব বেশি অর্থ ব্যয় করতে না হয়। তিনি বলেন, কৃষি গবেষণাকে উদ্যোক্তার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে; আর এ সবই সম্ভব হয় যখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মতের অবাধ আদান-প্রদান হয়।

আসাম সরকারের শিক্ষা, সমতল জনজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ রনোজ পেগু আসামের আইএআরআই-এর প্রয়াসের প্রশংসা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আসামের আইএআরআই যে গবেষণা করবে তা উদ্ভিদ, প্রাণী ও মৎস্য বৈচিত্র্যের কথা বিবেচনা করার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক হবে।

লখিমপুরের সাংসদ শ্রী প্রদান বরুয়া বলেন, আসামে এই মাপের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এটা আমাদের স্বপ্ন ছিল। আমরা আশা করি যে এই প্রতিষ্ঠানটি সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের তরুণ মনের প্রত্যাশা পূরণ করবে।

নয়াদিল্লি থেকে ডিএআরই সচিব এবং ডিজি আইসিএআর, ডঃ হিমাংশু পাঠক ভার্চুয়ালি সমাবেশে ভাষণ দেন এবং আসামের আইএআরআই-এর উদ্দেশ্য ও আদেশ বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা যা গবেষণা ও উন্নয়নের মধ্য দিয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে আইসিএআর প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য কোনও প্রয়াস ছাড়বে না। এই ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন আইসিএআর-এর ইতিহাসে একটি লাল অক্ষরের দিন হিসাবে চিহ্নিত হবে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত সকলকে এই মর্যাদার জন্য অভিনন্দন জানান।

আইএআরআই-এর ডিরেক্টর ডঃ এ কে সিং আসামের আইএআরআই-এর শ্রমিক কমিটির সমস্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন ড. ডি কে সিং, ড. অনিল সিরোহি, ড. মনোজ খান্না, ড. অনুপম মিশ্র, ভগবান শর্মা, ড. ওয়াই এল সিং, ড. কে বি পুন ও দেমাজির ডিস্টি্ক্ট কমিশনার শ্রী অঙ্কুর ভারালি৷

****** 

SKC/DM/KMD


(Release ID: 2011412)
Read this release in: English