নয়াদিল্লি, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪৷৷ পরিবর্তনকালীন সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে দেশের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার জন্য যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের (ডিএসটি) উপর ব্যাপক প্রত্যাশা, তখন নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করার উপায়গুলি নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে ডিএসটি।

বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় ডিএসটি সচিব অধ্যাপক অভয় কারান্দিকর বলেন, উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার ভারতের লক্ষ্য কেবল তখনই সম্ভব হবে যখন দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বনেতা হয়ে উঠবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফোরামের সমন্বিত সভায় ডিএসটি সচিব বলেন, "আমাদের বিদ্যমান কর্মসূচিগুলিকে একত্রিত করতে হবে এবং বড় প্রকল্পগুলি শুরু করতে হবে যা জাতীয় পর্যায়ে প্রভাব ফেলতে পারে। ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরির মতো বেশ কয়েকটি বিঘ্নসৃষ্টিকারী কর্মসূচী ছাড়াও, ইন্সপায়ার প্রোগ্রাম; এনএম-আইসিপিএস, ইন্টারন্যাশনাল বাইলিটারেল প্রোগ্রাম সেন্টার এবং এসইআরবির মত বেশ কয়েকটি নির্ভুল প্রোগ্রাম কৃষি; দেশীয় বায়োমেডিকেল ডিভাইস; ৬জি সেমিকন্ডাক্টর, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন, হাইড্রোজেন এনার্জি, অটোমোবাইল সেক্টরে গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই কর্মসূচী চালু করা যেতে পারে ।

তিনি বলেন, এই কর্মসূচিগুলি চালু করার ক্ষেত্রে প্রধান সহযোগী হিসাবে শিল্পসংস্থাগুলিকে যুক্ত করা যেতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, এএনআরএফ গঠনের সাথে সাথে ডিএসটির ভূমিকা আরও বাড়বে। তারপরে ডিএসটি ফ্ল্যাগশিপ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম এবং নীতির বিকাশে মনোযোগ দেবে। অধ্যাপক কারান্দিকর বলেন, " এই উদ্যোগ আবিষ্কার বিজ্ঞানের অভিমুখে এগিয়ে যাওয়ার পথে বেশ কিছু বড় মৌলিক বিজ্ঞান কর্মসূচীর শুরু করবে। আর্থিক নিয়ম-কানুন সহজ করার মাধ্যমে গবেষণার সহজতা উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন তিনি।

এই জাতীয় পরিকল্পনাগুলিতে আরও মনোযোগ প্রদানের জন্য কিছু চিন্তাকর্ষক আলোচনা কর্মসূচী আয়োজন করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএসটি সচিব এবং কয়েকটি মূল ক্ষেত্রগুলিতে একটি কাজের কর্মসূচী প্রস্তুত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷

*****

SKC/DM

(Release ID: 1993229)