বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

মানুষের ছোঁয়া থাকা খাদ্য ব্যবস্থা হাতিদের মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব বাড়ায়

Posted On: 01 JAN 2024 5:13PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০১ জানুয়ারি, ২০২৪ 


বনজঙ্গলের তুলনায় মানুষের তৈরি তৃণভূমিতে হাতিদের নিজেদের মধ্যে খাবারের জন্য প্রতিযোগিতা বেশি দেখা যায়। এখানে খাবার বেশি থাকলেও এমনটাই হয় জানাচ্ছে একটি সমীক্ষা। সেখানে বিভিন্ন প্রাণীর সামাজিক জীবনে মানুষের কাজকর্মের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 
এশিয়ার হাতিদের গোষ্ঠীবদ্ধ জীবনে মেয়েদের প্রাধান্য (পুরুষ হাতিরা সাধারণত একা থাকতেই পছন্দ করে)। এই গোষ্ঠীবদ্ধতা সামাজিক মেলবন্ধনের মতো। একেকটি গোষ্ঠীর মেয়ে হাতিদের মধ্যে আবার এক দল থেকে অন্য দলে চলে যাওয়ার প্রবণতাও থাকে। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই একেকটি দলের হাতির সংখ্যা এবং বিন্যাস পাল্টে যায়। 
এজন্যই দেখা যায়, নিজেদের মধ্যে ঝামেলা এড়াতে খাবারের সন্ধানে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হাতিরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। হাতিরা এক জায়গায় থাকে না। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তারা ঘুরে বেড়ায়। 
ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতাধীন স্বশাসিত সংস্থা জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড্ সায়েন্টিফিক রিসার্চ – এর গবেষকরা এ বিষয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন। 
২০০৯ সালে চালু হওয়া কাবিনী হাতি প্রকল্পে হাতিদের আচরণগত নানা দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন ডঃ হংসরাজ গৌতম এবং অধ্যাপক টি এন সি বিদ্যা। দেখা গেছে যে, তৃণভূমিতে খাবার বেশি থাকলেও সেখানে বনজঙ্গলের তুলনায় হাতিদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিযোগিতা বেশি।
এই সমীক্ষা হস্তিনীদের সামাজিক ও বাস্তুতান্ত্রিক জীবন সম্পর্কিত গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ – যেখানে দেখা যায়, জড়ো করা খাবার দেখলে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব বাড়ে। 
এই সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে রয়্যাল সোস্যাইটি ওপেন সায়েন্স পত্রিকায়। পশুদের বাসস্থানে মানুষ্যসৃষ্ট পরিবর্তন বাড়তে থাকায় এই বিষয়গুলি নিয়ে চর্চা ক্রমে জোরদার হচ্ছে। 

PG/AC/SB



(Release ID: 1992325) Visitor Counter : 73


Read this release in: English , Urdu , Hindi