উত্তর-পূর্বাঞ্চলেরউন্নয়নসংক্রান্তমন্ত্রক
উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য গৃহীত কার্যাবলী
Posted On:
04 AUG 2022 3:32PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৪ আগস্ট, ২০২২
৫৫টি অছাড়যোগ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রক বা দপ্তরকে কেন্দ্রীয় এবং কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত কর্মসূচীতে বাধ্যতামূলকভাবে তাদের মোট বাজেট সহায়তার অন্তত ১০ শতাংশ খরচ করতে হয় উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য। ২০১৭-১৮ অর্থ বছর থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছর পর্যন্ত এই বাবদ সম্ভাব্য বাজেটের পরিমান ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪১.৭৭ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটের পরিমান ২ লক্ষ ৬১ হাজার ১৪৪.৯৯ কোটি টাকা। প্রকৃত খরচের পরিমান ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৮০.১৬ কোটি টাকা।
উত্তর পূর্বাঞ্চলে পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক কর্মসূচী নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এবং দপ্তর। এই কর্মসূচীর মধ্যে আছে বিমান যোগাযোগ, রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগ, জলপথ যোগাযোগ, বিদ্যুৎ যোগাযোগ এবং টেলিফোন যোগাযোগ।
১. আকাশপথে যোগাযোগ - ২০১৬-১৭ থেকে ২০২১-২২এর মধ্যে ২৮টি প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এর জন্য খরচ অনুমোদিত হয়েছিল ৯৭৫.৫৮ কোটি টাকা। প্রকৃত ব্যয় হয়েছে ৯৭৯.০৭ কোটি টাকা। ১৫টি প্রকল্পের কাজ চলছে, যার জন্য ২ হাজার ২১২.৩০ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২. রেল যোগাযোগ - ২০২২এর পয়লা এপ্রিল পর্যন্ত রেল মন্ত্রক ৭৭ হাজার ৯৩০ কোটি টাকার ১৯টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এই ১ হাজার ৯০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্প আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে উত্তর পূর্বাঞ্চলেই অবস্থিত, যার মধ্যে বেশ কিছু আছে যা ২০১৪ থেকেই অনুমোদিত হয়েছে। এইসব প্রকল্প রূপায়ণের নানা স্তরে আছে। ৪০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে। ২০২২এর মার্চ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৩১২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
৩. সড়ক যোগাযোগ - উত্তর পূর্বাঞ্চলে ৫৮ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার ৪ হাজার ১৬.৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পের কাজ চলছে। গত ৫ বছরে এই প্রকল্পগুলির কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ৩ হাজার ৯৯.৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। খরচ হয়েছে ১৫ হাজার ৫৭০.৪৪ কোটি টাকা। চালু প্রকল্পগুলির কাজ ২০২৪এর মে মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
৪. জলপথ যোগাযোগ - ১৯৮৮ সালে ধুবড়ী থেকে সদিয়া পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদীর ৮৯১ কিলোমিটার জলপথকে জাতীয় জলপথ ২ হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। এই জলপথ থেকে দিনে-রাতে ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এর জন্য ২০২০ থেকে ২০২৫ পাঁচ বছরে খরচ হবে ৪৬১ কোটি টাকা। বরাক নদীকে জাতীয় জলপথ হিসেবে ঘোষনা করা হয় ২০১৬য়। এটি অসমের কাছাড় উপত্যকার শিলচর, করিমগঞ্জ এবং বদরপুরকে ইন্দো-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটের মাধ্যমে হলদিয়া এবং কলকাতা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করে। ২০২০ থেকে ২০২৫ পাঁচ বছরে পরিকল্পনা রূপায়নের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১৪৫ কোটি টাকা।
৫. বিদ্যুৎ যোগাযোগ - বিদ্যুৎ মন্ত্রক উত্তর পূর্বাঞ্চলে ২০১৪ থেকে তাপ বিদ্যুৎ ও জল বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ পরিবহন ও বিতরণ ব্যবস্থাও শক্তিশালী করা হয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে। মোট ৭৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ১৪.০২.২০১৮য় অসম পাওয়ার জেনারেশন কর্পোরেশন লিমিটেড ৬৯.৭৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করেছে অসমে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিবহন নেটওয়ার্ক জোরদার করতে আন্তঃরাজ্য পরিবহন প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে আছে নতুন লাইন, চালু সাব স্টেশনগুলির প্রসারণ, রূপান্তরকারী ক্ষমতার বৃদ্ধি ইত্যাদি। এছাড়া পাওয়ার গ্রীড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড দুটি বড় আন্তঃরাজ্য বিদ্যুৎ পরিবহণ ও বিতরণ কর্মসূচী রূপায়ণ করছে।
৬. টেলিকম যোগাযোগ - টেলিকম দপ্তরও উত্তর পূর্বাঞ্চলে টেলিকম সংযোগের উন্নতিতে একাধিক প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে আছে অসম, মনিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম এবং অরুণাচলপ্রদেশ (শুধুমাত্র জাতীয় সড়ক)-এর যে সমস্ত গ্রামে মোবাইল পরিষেবা পৌঁছায়নি সেখানে মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। মেঘালয় এবং জাতীয় সড়কগুলিতে ফোরজি প্রযুক্তির মোবাইল যোগাযোগ, অরুণাচলপ্রদেশ এবং অসমের দুটি জেলায় মোবাইল যোগাযোগ, উত্তর পূর্বাঞ্চলের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির জন্য ভারত নেট এবং ওয়াইফাই যোগাযোগ এবং কক্সবাজার হয়ে বাংলাদেশের বিএসসিসিএল থেকে আগরতলা ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ১০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ ভাড়া করা। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ১ হাজার ২৪৬টি গ্রামের জন্য ১ হাজার ৩৫৮টি টাওয়ার বসানো হয়েছে।
এছাড়া উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রক একাধিক কর্মসূচী রূপায়ণ করছে। এই কর্মসূচীগুলির মধ্যে আছে ১০ হাজার ৮৭৬.৬৩ কোটি টাকার ১ হাজার ১টি প্রকল্প। যার মধ্যে আছে যোগাযোগ প্রকল্প। এগুলি অনুমোদিত হয়েছে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত।
PG/AP/NS
(Release ID: 1848434)
Visitor Counter : 169