শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক
বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানীর ভারতে স্থানান্তর
Posted On:
11 FEB 2022 3:39PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
কেন্দ্র উন্নয়নের স্বার্থে এবং আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা করেছে। দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে, উদ্ভাবনে উৎসাহ দিতে এবং উন্নতমানের পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ২০১৪র ২৫শে সেপ্টেম্বর মেক ইনি ইন্ডিয়া কর্মসূচির সূচনা হয়। ভারতকে উৎপাদন ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির আওতায় সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের ভারতীয় দূতাবাস ও রাজ্য সরকারগুলি এর জন্য নানা সম্মেলনের আয়োজন করে, যার মধ্য দিয়ে ভারতে বিনিয়োগ করতে শিল্পপতিদের উৎসাহিত করা হয়।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহজে বাণিজ্য করার তালিকায় ২০১৪ সালে ভারত ১৪২তম স্থানে ছিল। বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ গড়ে ওঠার ফলে ২০২০ সালে দেশ ৬৩তম স্থানে উঠে এসেছে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে পরামর্শক্রমে শিল্পোৎসাহ ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দপ্তর ব্যবসা-বাণিজ্য সংস্কার সংক্রান্ত বিজনেস রিফর্মস অ্যাকশন প্ল্যান বা বিআরএপি-র আওতায় সর্বাঙ্গীন সংস্কার কর্মসূচির বাস্তবায়ন করেছে। দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে গৃহীত সংস্কারের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে রাজ্যগুলিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশের উন্নতি হয়েছে।
দেশজুড়ে দ্রুত বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে একটি ক্ষমতাশালী সচিব গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তরে প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট সেল গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি শিল্পের জন্য ভৌগলিক সূচক যুক্ত ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। এরফলে বিনিয়োগকারীরা নিজেদের পছন্দমতো জায়গা সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং সেখানে বিনিয়োগ করবেন। বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুমতি পাওয়ার জন্য যে সমস্যা দেখা দেয় তা দূর করতে সরকার ২০২১এর সেপ্টেম্বরে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমের সূচনা করেছে।
দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলার জন্য উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্পে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে উৎপাদন শুরু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগগুলির ফলে দেশে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে ও আর্থিক বিকাশ গতি পাবে।
কেন্দ্র প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতির সংস্কার করেছে। ফল হিসেবে প্রতি বছর বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। কোভিড সংক্রান্ত নানা বিধি-নিষেধের মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে ৮,১৯৭ কোটি মার্কিন ডলার। ভারতে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক প্রভাবের প্রতিফলন। ২০১৪ থেকে ২০২১ সময়কালে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৪,০২৭ কোটি মার্কিন ডলার, যা ২০১৪র পূর্ববর্তী ২১ বছরের বিদেশী বিনিয়োগের ৯৮ শতাংশ। ২০১৪র পূর্ববর্তী ২১ বছরে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে ৭৬,৩৮৩ কোটি মার্কিন ডলার। এরমধ্য দিয়ে এটি স্পষ্ট যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে ক্রমশ আগ্রহী হয়ে উঠছে।
দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কেন্দ্র বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ- শিল্প সংস্থাগুলির জন্য বহু নিয়মের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এসে সহজ পদ্ধতিতে নানা অনুমতি পাবার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে; ন্যাশনাল ইনফ্রাসট্রাকচার পাইপ লাইনের আওতায় কর্পোরেট করের হার কমানো হয়েছে ; নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাঙ্কগুলিতে মূলধনের যোগান বাড়ানো হয়েছে ; পর্যায়ক্রমে উৎপাদন ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ইত্যাদি।
এছাড়াও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রক ও দপ্তর ও রাজ্য সরকারগুলি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নানা প্রকল্প ও কর্মসূচির সূচনা করে। শিল্পোৎসাহ ও অন্তর্বর্তী বাণিজ্য দপ্তরের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী শ্রী সোম প্রকাশ।
CG/CB/NS
(Release ID: 1797910)
Visitor Counter : 374