স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
ডাঃ মনসুখ মান্ডভিয়া সিজিএইচএস-এর সদর দপ্তরে ই-সঞ্জিবনী টেলি-পরামর্শ কেন্দ্রের কাজকর্ম পর্যালোচনা করেছেন; তিনি এই পরিষেবার সুফলভোগী, চিকিৎসক ও আধিকারিকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন
দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ই-সঞ্জিবনী বিপ্লব নিয়ে এসেছে : ডাঃ মান্ডভিয়া
प्रविष्टि तिथि:
14 JAN 2022 6:25PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৪ জানুয়ারি, ২০২২
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মান্ডভিয়া আজ নতুন দিল্লিতে সিজিএইচএস-এর সদর দপ্তরে ই-সঞ্জিবনী টেলি-পরামর্শ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে চিকিৎসকদের টেলি-পরামর্শ দেওয়ার প্রক্রিয়াও চাক্ষুষ করেন। রোগীরা এই পরিষেবার মাধ্যমে জ্বর, সর্দি, অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা এবং নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জানতে চান। প্রবীণ নাগরিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তিরা ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থায় চিকিৎসা পরামর্শ নিয়ে থাকেন। পরামর্শদাতা চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন এবং সংশ্লিষ্ট রোগী যে সব ওষুধ খাচ্ছেন, সে ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেন। মহামারীর সময় চিকিৎসকের পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পরামর্শ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে টেলি-পরামর্শ অত্যন্ত কার্যকর হাতিয়ার।
টেলি-পরামর্শের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার এই প্রয়াসের প্রশংসা করে ডাঃ মান্ডভিয়া বলেন, দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ই-সঞ্জিবনী বিপ্লব নিয়ে এসেছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে সর্বজনীন চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দরিদ্র মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে টেলি-মেডিসিন সুবিধার কথা উল্লেখ করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বহু রাজ্যে সাধারণ মানুষ ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থার সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এর ফলে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিধি আরও বেড়েছে। এই পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের ঘাটতি অনেকাংশে দূর করা গেছে। সেইসঙ্গে সেকেন্ডারি ও টার্সিয়ারি পর্যায়ের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার বোঝা অনেকাংশে কমেছে। শুধু তাই নয়, শহর ও গ্রামীণ ভারতে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে যে বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করতে ই-সঞ্জিবনী অত্যন্ত কার্যকর হয়ে উঠেছে।
চিকিৎসকদের উদ্দেশে ডাঃ মান্ডভিয়া বলেন, সরকার সারা দেশে আরও বেশি হাব গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অন্ধ্রপ্রদেশে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ম্যানেজিং ডায়রেক্টর শ্রী ভাস্কর কাটমনেনি চিকিৎসা পরিষেবার পরিধি বাড়াতে রাজ্যে যে সমস্ত অভিনব প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে ডাঃ মান্ডভিয়াকে অবহিত করেন। কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যে গুণগত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গৃহীত অভিনব প্রয়াসগুলি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, জাতীয় স্তরে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা পৌঁছে দিতে ভারত সরকার ই-সঞ্জিবনী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রযুক্তি নির্ভর এই পরিষেবা রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে সি-ড্যাক। এখনও পর্যন্ত ৩৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থার ওপিডি প্ল্যাটফর্মে ৬৫ লক্ষের বেশি রোগীকে চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি চিকিৎসক ও চিকিৎসা সহায়তাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থায় এখনও পর্যন্ত ৬৬৪টি অনলাইন ওপিডি চালু হয়েছে। এর ফলে, আজ পর্যন্ত ২ কোটি ১৭ লক্ষ টেলি-পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দৈনিক ভিত্তিতে ১ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি রোগীকে ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থায় টেলি-পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শ্রীমতী আরতি আহুজা, যুগ্ম সচিব শ্রী লভ আগরওয়াল এবং মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
CG/BD/AS/
(रिलीज़ आईडी: 1790157)
आगंतुक पटल : 251