সংখ্যালঘুবিষয়কমন্ত্রক
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোচিং-এর ব্যবস্থা
Posted On:
20 DEC 2021 3:32PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১
সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রক নয়া সবেরা (বিনামূল্যে কোচিং-এর ব্যবস্থা) কর্মসূচি বাস্তবায়িত করছে। এর আওতায় শিখ, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, পার্শি, জৈন ও মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা বিনামূল্যে কোচিং-এর সুবিধা পেয়ে থাকেন। যেসব সংস্থাগুলি সরকারি এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত তাদের নিম্নলিখিত শর্তগুলি পূরণ করতে হয়।
১৮৬০ সালে সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট এবং ২০১৪ সালের কোম্পানী আইন অথবা সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রাসঙ্গিক আইন অনুযায়ী ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে নিবন্ধীকরণ করতে হবে।
নিবন্ধীকরণের তিন বছর পর ওই সংস্থা সরকারি তালিকাভুক্ত সংস্থার মর্যাদা পাওয়ার আবেদন করতে পারে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সংস্থায় পর পর তিন বছর কমপক্ষে ১০০ জন ছাত্রছাত্রী থাকতে হবে।
ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকতে হবে। এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা সংস্থার স্থায়ী বা আংশিক সময়ের কর্মী হতে পারেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাড়ি, গ্রন্থাগার সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও পরিকাঠামো থাকতে হবে। যে পাঠক্রমের জন্য বিনামূল্যে পঠন-পাঠনের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে সেই পাঠক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো থাকা আবশ্যক।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে যারা পড়াশোনা করেছেন তাদের মধ্যে ন্যূনতম ১৫ শতাংশকে পরীক্ষায় সফল হওয়ার তিন বছরের রেকর্ড থাকতে হবে। একইসঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানে কতজন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হন এবং কতজন সফল হয়েছেন সেই বিষয়গুলিও বিবেচনা করা হয়।
ওই প্রতিষ্ঠানটিকে নীতি আয়োগের পোর্টালে http://ngodarpan.gov.in নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির কোনো অবস্থাতে ঋণ খেলাপি হলে চলবেনা এবং কখনোই কোন সরকারি দপ্তরের কালো তালিকাভুক্ত ছিল না , সেটি নিশ্চিত করতে হবে ।
মন্ত্রক ১৩০টি এ ধরণের প্রতিষ্ঠানকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তালিকাভুক্ত করেছে। যোগ্য ছাত্রছাত্রীরা যেকোন অঞ্চল থেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে নয়া সবেরা প্রকল্পে ৩৭টি এ ধরণের প্রতিষ্ঠানে ৫১৪০ জন ছাত্রছাত্রী বিনামূল্যে কোচিং পাচ্ছেন।
বিগত তিনটি অর্থবর্ষে প্রাক ম্যাট্রিক, ম্যাট্রিক পরবর্তী, মেধাভিত্তিক বৃত্তি প্রকল্প এবং বেগম হজরত মহল জাতীয় বৃত্তি প্রকল্পে ১,৯৬,৮১,১৩৩ জন ছাত্রছাত্রী এই বৃত্তির সুযোগ পেয়েছে। নয়া সবেরা প্রকল্পে ৩০,১১৭ জন ছাত্রছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত প্রাক ম্যাট্রিক, ম্যাট্রিক পরবর্তী, মেধা ভিত্তিক বৃত্তি প্রকল্প এবং বেগম হজরত মহল জাতীয় বৃত্তি প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৮৭ জন, ত্রিপুরায় ১৬ হাজার ৪৯৩ জন , আসামে ৭ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৫৪ জন এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৩২৭৫ জন ছাত্রছাত্রী বৃত্তি পেয়েছেন। বিনামূল্যে কোচিং-এর সুবিধা ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ২৩৮০ জন ও আসামে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী বৃত্তি পেয়েছেন।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুক্তার আব্বাস নকভি।
CG/CB/NS
(Release ID: 1783671)
Visitor Counter : 105