তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক
ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়া ১৯৪০ এবং ১৯৫০ সালের আটটি বিরল হিন্দি ছবিকে যুক্ত করে তাদের সংগ্রহকে আরও সমৃদ্ধ করেছে
प्रविष्टि तिथि:
27 NOV 2021 4:24PM by PIB Kolkata
মুম্বাই, ২৭ নভেম্বর, ২০২১
ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়া ভারতীয় চলচ্চিত্রে হিন্দি সিনেমার সোনালী যুগের ৩১ টি দুষ্প্রাপ্য ফিচার ফিল্ম তাদের সংগ্রহে নিয়ে এসেছে। এই চলচ্চিত্রগুলির বিশেষত্ব হলো প্রবীণ কমেডি অভিনেতা মাস্টার ভগবান অভিনীত ছ'টি সিনেমার একটি সংগ্রহ, যা ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে। ওই বছর মুক্তি পাওয়া 'লালচ' এবং ১৯৪৯ সালে মুক্তি পাওয়া 'বাচকে রেহেনা' এই দুটি ছবিতেই মাস্টার ভগবান অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে, ১৯৫২ সালের সিনবাদ দ্যা সেলার, ১৯৬১ সালের ওয়াজির- ই- আজম, ১৯৬৯ সালের রাত কি আন্ধেরি মে এবং ১৯৬৯ সালেরই গুন্ডা।
এই ধরনের সংগ্রহ বাস্তবসম্মত বলে মনে হয়েছে। এই অধিগ্রহণ থেকে কমপক্ষে আটটি চলচ্চিত্র ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়ার সংগ্রহে খুবই বিরল এবং অভিনব। ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালে মুক্তি পাওয়া লালচ ও বাচকে রেহেনা ছবি দুটি সাদাকালো যেখানে মাস্টার ভগবান পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছিলেন। অন্যান্য তারকাদের মধ্যে ছিলেন বাবুরাও পেহলওয়ান, লীলা গুপ্তা প্রমূখ। চলচ্চিত্র দুটিতে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সি রামচন্দ্র বলে ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তা প্রকাশ মাগদুম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই সব ফিচার ফিল্ম গুলি ১৬ মিলিমিটারের। আটটি চলচ্চিত্রই প্রাথমিকভাবে দেখে তাঁরা বুঝেছেন যে সেগুলি ভালো অবস্থাতেই রয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়াও আর্কাইভের সংগ্রহে থাকা আরও একটি আকর্ষণীয় চলচ্চিত্র হচ্ছে মিস পাঞ্জাব মেল। ১৯৫৮ সালে ছবিটি নির্মিত হয়েছিল। নানু ভাই ওয়াকিল পরিচালিত এই ছবিতে নিশি এবং দলজীত অভিনয় করেছিলেন। এই ছবির চিত্রনাট্যের লিখেছিলেন কাইফি আজমি। এটি তাঁর প্রথম দিকের লেখা চিত্রনাট্য গুলির মধ্যে অন্যতম।
আরবিয়ান নাইটস এর গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি ফ্যান্টাসি ছবি সিনবাদ দ্যা সেলার, যেটি ১৯৫২ সালে মুক্তি পেয়েছিল এবং যার পরিচালক ছিলেন নানাভাই ভাট। এই ছবিতে নাসিম, নিরুপা রায়, মাস্টার ভগবান, জয়ন্ত এবং প্রাণের সাথে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় দক্ষিণ ভারতীয় তারকা রঞ্জন। এই ছবিটি হোমি ওয়াদিয়া এবং নানাভাই ভাটের প্রযোজনায় তৈরি হয়েছিল। যেখানে স্পেশাল এফেক্ট দিয়েছিলেন বাবু ভাই মিস্ত্রি।
এসবের পাশাপাশি, ১৯৬৬ সালে নির্মিত টারজান অর হারকিউলিস, আরও একটি বিরল চলচ্চিত্র যা প্রবীণ কমেডি অভিনেতা মেহমুদ দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল এটিও আর্কাইভের সংগ্রহে রাখা হয়েছে। এই ছবিতে অন্যান্যদের মধ্যে হাবিব হারকিউলিস, শাকিলা বানো ভোপালি অভিনয় করেছিলেন। আবার সুলতান পরিচালিত প্রফেসর ও যাদুগর ছবি দুটি ফ্যান্টাসি ড্রামা, যা ১৯৬৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। ওই ছবিতে ইন্দিরা (বিলি) এবং ইন্দ্রজিৎ অভিনয় করেছিলেন। বাবু ভাই মিস্ত্রি পরিচালিত ১৯৬৬ সালে নির্মিত ডাকু মানসিং ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শেখ মুক্তার, দারা সিং, হারকিউলিস এবং শাকিলা বানু ভোপালি। এই ছবিটি ছিল সাদা কালো। পরিস্থিতির চাপে পড়ে একজন সৎ ও সাধারন মানুষ কিভাবে ডাকাতে পরিণত হয়েছিলেন এটি সেই গল্প নিয়ে নির্মিত ছবি।
প্রবীণ গায়ক মান্না দে তাঁর জীবনে কয়েকটি চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীত রচনা করেছিলেন। ১৯৫৮ সালে নির্মিত নাগচম্পা ছবিটি ছিল তার প্রথম দিকের চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। এই ছবিতে নিরুপা রায়, মনোহর দেশাই এবং ললিতা পাওয়ার অভিনয় করেছিলেন। এটি একটি পৌরাণিক ছবি এবং সাদা কালো। ছবিটির পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছিলেন বিনোদ দেশাই।
আর্কাইভের সংগ্রহে অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে, সুরাইয়া অভিনীত দিল্লাগী, যেটি ১৯৪৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল। নলিনী জয়বন্ত অভিনীত জাদু, যেটি ১৯৫১ সালে মুক্তি পেয়েছিল। দেবানন্দ এবং নলিনী জয়বন্ত অভিনীত রাহী, যেটি ১৯৫২ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবির পরিচালক ছিলেন কে এ আব্বাস। ১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দিল এ নাদান, যে ছবিতে শ্যামা এবং তালাত মাহমুদ অভিনয় করেছিলেন। ১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চাচা চৌধুরী, যেখানে রাজা পরঞ্জাপে এবং শশী কলা অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া, ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নাগা মোহিনী, যে ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন শান্তিলাল সোনি। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মহিপাল এবং বিজয়া চৌধুরী।
CG/ SB
(रिलीज़ आईडी: 1775698)
आगंतुक पटल : 257